অনিয়ম বন্ধে তৃণমূলে সাংবাদিকদের বেতন নিশ্চিত করা হোক

উপ-সম্পাদকীয় এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
অনিয়ম বন্ধে তৃণমূলে সাংবাদিকদের বেতন নিশ্চিত করা হোক
সাংবাদিক আল আমিন

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশার নাম। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত সর্বমহলে। সমাজের উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও অনিয়মগুলোর চিত্র একজন সাংবাদিকের কলম ও কালির মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়। এ পেশার লোকজন তথ্যের সন্ধানে সারাদিনই ঘুরে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশণ করে মূলত রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই নিরলস প্রচেষ্টা একজন সংবাদকর্মীর। এজন্যই রাষ্ট্র ও সমাজের দর্পণ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যমগুলো। মানুষের যেকোনো বিপদ আপদ, সুখ – দুঃখ, সমস্যা – সম্ভাবনা সর্বক্ষেত্রেই একজন সংবাদকর্মী উপস্থিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

পিছনে কে কি বললো তার পরোয়া করে এ পেশায় টিকে থাকা অসম্ভব। সমাজের মানুষের উপকার করতে গেলে স্বার্থান্বেষী কোনো একটি মহল খুশি হবেন এমনটা ভাবলে বোকার স্বর্গে বসবাস করতে হবে।

কোনো কারন ছাড়াই শত্রুভাবাপন্ন মন তৈরি করবে এ পেশার লোকজনের প্রতি কিছু অসাধু মহল এমনটা মেনেই এ পেশায় টিকে থাকতে হবে। সবার মন খুশি রেখে চলতে পারবে না এ পেশার লোকজন।

আপনি যখন একজন অসহায় ভুক্তভোগীকে সহযোগিতা করতে যাবেন অথবা কোনো অনিয়মের চিত্র তুলে ধরবেন জাতির সামনে তখন ওই সমস্ত বিষয়ে ফায়দা লুটে নেওয়া ব্যক্তিরা আপনার প্রতি মনঃক্ষুণ্ন হবে এটাই চিরন্তন সত্য।
তখন তারা আপনার প্রতি ক্ষোভ রাগ বিভিন্নভাবে প্রকাশ করবে। কারন আপনি তাদের অবৈধ আয়ের উৎস বন্ধ করে দিয়েছেন।

আজকাল মেধাবী ও সৎ সাহসের অনেক ব্যক্তিরা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সেক্টরে আসছেন। তারা কোনো কিছু পরোয়া করে চলে না। তবে মামা খালুর জোরে অবৈধ অর্থের জোরে যারা চেয়ারে বসেন তারা আবার বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে। তবে সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের কাছে তারা কিছুই না। সাময়িকভাবে তাদের বিরোধীতা ও শত্রুতা করতে পারবে কিছু কুচক্রী মহল। দিনশেষে সত্যের বিজয় নিশ্চিত।

সমাজে সবাই সমান না। কেউ ভালো কেউ মন্দ, এমন চিত্র মেনেই চলতে হবে। এটা আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে।

বর্তমানে সংবাদকর্মীর পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, দালালি, চাটুকারিতা ও তদবির নামক ব্যবসা করে আসছে। তাদের মুখোশ উন্মোচনে প্রশাসন ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।

নিজের ও নিজের পরিবারের এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়মের চিত্র ঢাকার জন্য আজকাল অনেকেই সাংবাদিক পরিচয় বহন করছেন। এ যুগে কিছু গণমাধ্যম বের হয়েছে যারা সঠিক পরিচয় যাচাই বাছাই না করেই গণমাধ্যমের কার্ড দিচ্ছে। কিছু টাকা খরচ করলেই সাংবাদিকতার কার্ড পাওয়া সহজলভ্য হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তিটি আসলে অন্যকোনো সরকারী, বেসরকারী লাভজনক পেশায় নিয়োজিত আছে কি না এমনটিও যাছাইয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না তাদের কাছে। অনেকেই সরকারী কোষাগার থেকে বেতনভুক্ত কর্মচারী অথবা পৌরসভার কর্মচারী। প্রত্যেকটি পেশারই কর্মচারী নীতিমালা রয়েছে। সাংবাদিকতার কার্ড বহন করা ওই পেশার নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক কি না এমনটা নিয়েও ভাবছে না কেউ।।

যারা অন্য পেশায় নিয়োজিত তারা নিজেদের ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ঢাকতে বা সুপারিশ নামক কাজটি করিয়ে ফায়দা লুটার একটা সহজ মাধ্যম হচ্ছে সাংবাদিক পরিচয় বহন করা।

আর এটি করায় মূলধারার সংবাদকর্মী যারা তারা কাজ করতে গিয়ে ওই ব্যক্তিদের সিন্ডিকেটের রোষাণলে পরে সাজানো চাঁদাবাজ হতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। এমন চিত্র চলতে থাকলে মূলধারার সাংবাদিকতা চর্চা কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে এটা আর বেশিদিন বাকি নেই।

এখন কথা হচ্ছে, সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাটিকে জীবিত রাখতে গণমাধ্যমগুলো যেনো শুধু সাংবাদিকতা করার জন্যই কার্ড দেয় এবং তৃণমূলে বেতন নিশ্চিত করে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

অনিয়ম বন্ধে তৃণমূলে সাংবাদিকদের বেতন নিশ্চিত করা হোক

অনিয়ম বন্ধে তৃণমূলে সাংবাদিকদের বেতন নিশ্চিত করা হোক
সাংবাদিক আল আমিন

সাংবাদিকতা একটি মহান পেশার নাম। এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ হিসেবে পরিচিত সর্বমহলে। সমাজের উন্নয়ন, সম্ভাবনা ও অনিয়মগুলোর চিত্র একজন সাংবাদিকের কলম ও কালির মাধ্যমেই প্রকাশিত হয়। এ পেশার লোকজন তথ্যের সন্ধানে সারাদিনই ঘুরে বেড়ান এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে।

বস্তুনিষ্ট সংবাদ পরিবেশণ করে মূলত রাষ্ট্রের সমৃদ্ধি ও উন্নয়ন ত্বরান্বিত করাই নিরলস প্রচেষ্টা একজন সংবাদকর্মীর। এজন্যই রাষ্ট্র ও সমাজের দর্পণ হিসেবে পরিচিত গণমাধ্যমগুলো। মানুষের যেকোনো বিপদ আপদ, সুখ – দুঃখ, সমস্যা – সম্ভাবনা সর্বক্ষেত্রেই একজন সংবাদকর্মী উপস্থিত হয়ে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেয়।

পিছনে কে কি বললো তার পরোয়া করে এ পেশায় টিকে থাকা অসম্ভব। সমাজের মানুষের উপকার করতে গেলে স্বার্থান্বেষী কোনো একটি মহল খুশি হবেন এমনটা ভাবলে বোকার স্বর্গে বসবাস করতে হবে।

কোনো কারন ছাড়াই শত্রুভাবাপন্ন মন তৈরি করবে এ পেশার লোকজনের প্রতি কিছু অসাধু মহল এমনটা মেনেই এ পেশায় টিকে থাকতে হবে। সবার মন খুশি রেখে চলতে পারবে না এ পেশার লোকজন।

আপনি যখন একজন অসহায় ভুক্তভোগীকে সহযোগিতা করতে যাবেন অথবা কোনো অনিয়মের চিত্র তুলে ধরবেন জাতির সামনে তখন ওই সমস্ত বিষয়ে ফায়দা লুটে নেওয়া ব্যক্তিরা আপনার প্রতি মনঃক্ষুণ্ন হবে এটাই চিরন্তন সত্য।
তখন তারা আপনার প্রতি ক্ষোভ রাগ বিভিন্নভাবে প্রকাশ করবে। কারন আপনি তাদের অবৈধ আয়ের উৎস বন্ধ করে দিয়েছেন।

আজকাল মেধাবী ও সৎ সাহসের অনেক ব্যক্তিরা প্রশাসন সহ বিভিন্ন সেক্টরে আসছেন। তারা কোনো কিছু পরোয়া করে চলে না। তবে মামা খালুর জোরে অবৈধ অর্থের জোরে যারা চেয়ারে বসেন তারা আবার বিভিন্ন ভূমিকা পালন করে। তবে সৎ ও মেধাবী কর্মকর্তাদের কাছে তারা কিছুই না। সাময়িকভাবে তাদের বিরোধীতা ও শত্রুতা করতে পারবে কিছু কুচক্রী মহল। দিনশেষে সত্যের বিজয় নিশ্চিত।

সমাজে সবাই সমান না। কেউ ভালো কেউ মন্দ, এমন চিত্র মেনেই চলতে হবে। এটা আদিকাল থেকেই হয়ে আসছে।

বর্তমানে সংবাদকর্মীর পরিচয়ে কিছু ব্যক্তি চাঁদাবাজি, ধান্ধাবাজি, দালালি, চাটুকারিতা ও তদবির নামক ব্যবসা করে আসছে। তাদের মুখোশ উন্মোচনে প্রশাসন ও জনগণের সর্বাত্মক সহযোগিতা প্রয়োজন।

নিজের ও নিজের পরিবারের এমনকি প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়মের চিত্র ঢাকার জন্য আজকাল অনেকেই সাংবাদিক পরিচয় বহন করছেন। এ যুগে কিছু গণমাধ্যম বের হয়েছে যারা সঠিক পরিচয় যাচাই বাছাই না করেই গণমাধ্যমের কার্ড দিচ্ছে। কিছু টাকা খরচ করলেই সাংবাদিকতার কার্ড পাওয়া সহজলভ্য হয়ে গেছে। সেই ব্যক্তিটি আসলে অন্যকোনো সরকারী, বেসরকারী লাভজনক পেশায় নিয়োজিত আছে কি না এমনটিও যাছাইয়ের প্রয়োজন হচ্ছে না তাদের কাছে। অনেকেই সরকারী কোষাগার থেকে বেতনভুক্ত কর্মচারী অথবা পৌরসভার কর্মচারী। প্রত্যেকটি পেশারই কর্মচারী নীতিমালা রয়েছে। সাংবাদিকতার কার্ড বহন করা ওই পেশার নীতিমালার সাথে সাংঘর্ষিক কি না এমনটা নিয়েও ভাবছে না কেউ।।

যারা অন্য পেশায় নিয়োজিত তারা নিজেদের ব্যক্তিগত বা প্রাতিষ্ঠানিক অনিয়ম ঢাকতে বা সুপারিশ নামক কাজটি করিয়ে ফায়দা লুটার একটা সহজ মাধ্যম হচ্ছে সাংবাদিক পরিচয় বহন করা।

আর এটি করায় মূলধারার সংবাদকর্মী যারা তারা কাজ করতে গিয়ে ওই ব্যক্তিদের সিন্ডিকেটের রোষাণলে পরে সাজানো চাঁদাবাজ হতে হয় অনেক ক্ষেত্রে। এমন চিত্র চলতে থাকলে মূলধারার সাংবাদিকতা চর্চা কালের অতল গহ্বরে হারিয়ে যাবে এটা আর বেশিদিন বাকি নেই।

এখন কথা হচ্ছে, সাংবাদিকতার মতো মহান পেশাটিকে জীবিত রাখতে গণমাধ্যমগুলো যেনো শুধু সাংবাদিকতা করার জন্যই কার্ড দেয় এবং তৃণমূলে বেতন নিশ্চিত করে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022