আদিবাসী হলো সাংস্কৃতিকভাবে স্বতন্ত্র বা নিজ জাতিগোষ্ঠী যাদের সদস্যরা সরাসরি একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলের প্রাচীনতম পরিচিত বাসিন্দাদের বংশধর হয়ে এবং অল্প পরিমাণে সেই আদি জনগোষ্ঠীর ভাষা ও সংস্কৃতি বজায় রাখে।
জনবহুল রাষ্ট্র বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার ছোট দেশ। বাংলাদেশের ভূখণ্ডের বসবাসকারী অধিকাংশ আদিবাসীই বাঙালি।বাংলাদেশে অনেকগুলো নৃগোষ্ঠী রয়েছে যাদের আদিবাসী বলে উল্লেখ করা হয়ে থাকে।বাংলাদেশের সংখ্যাগরিষ্ঠ আদিবাসী পার্বত্য চট্টগ্রামে বসবাস করে।এছাড়াও ময়মনসিংহ, সিলেট, রাজশাহীতে, বসবাস করে থাকে।বাংলাদের সর্বোচ্চ ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সংখ্যা হলো চাকমা।এছাড়াও বিভিন্ন আদিবাসী সাঁওতাল, গারো,ত্রিপুরা ইত্যাদি আদিবাসী রয়েছে।
তাদের বাড়ি বেশিরভাগই পাহাড়ের উপর অবস্থিত।উঁচু উঁচু পাহাড়ে তারা বাড়ি বানিয়ে থাকে।আদিবাসীরা পাহাড়ের জুম চাষ ও বিভিন্ন চাষ করে তাদের জীবিকা নির্বাহ করেন।
আদিবাসীরা সাধারনত শুটকি,ব্যাঙ,শামুক,কুচে ইত্যাদি খাবার খেয়ে থাকেন।তারা এইসব জিনিস লেক থেকে সংগ্রহ করেন। তাছাড়া তারা বাঙালিদের মত সব ধরনের খাবার খায়। তারা এইসব খাবার খুবই পছন্দ করে থাকেন।
আদিবাসীরা সাধারণত মাতৃতান্ত্রিক হওয়ায়, মেয়েরাই সংসারের সকল কাজ করে থাকেন। যেহেতু তারা মাতৃত্বিক তাই আদিবাসীদের হাট বাজারে সাধারণত মেয়েরাই বিভিন্ন ধরনের জিনিস বিক্রি করে। তাছাড়া সংসারের যাবতীয় পন্যসামগ্রি মহিলারাই ক্রয় করে থাকেন।
আদিবাসীরা পাহাড়ে গায়ে প্রচুর পরিমানে আনারস চাষ করে থাকেন।এই আনারস তারা রাস্তার ধারে বসে বিক্রি করেন।আবার পাইকারি দরে বিক্রি করুন। তারা তামাক খেতে অত্যন্ত পছন্দ করেন।তারা একটু সময় পেলেই তামাক খাওয়া শুরু করেন।
আদিবাসীরা লেক, খাল ও নদীর মধ্যে ছোট নৌকা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের মাছ ধরে।কেউ কেউ সারাদিন নৌকায় করে লেক থেকে শামুক সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করে তাদের জীবন অতিবাহিত করে।
তারা দলবেঁধে নাচতে ভালোবাসে। তাছাড়া আদিবাসীরা সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করতে ভালোবাসে।তাদের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান দেখে মানুষ মুগ্ধ হয়ে যায় সকল মানুষ।