বন্দরনগরী চট্টগ্রামের সবচেয়ে বড় চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাটে ইলিশসহ সব ধরনের সামুদ্রিক মাছের চাহিদার বিপরীতে যোগানে ঘাটতি রয়েছে। ফলে পাইকারী বাজারেই দাম বেড়েছে সব ধরনের মাছের।
গভীর সমুদ্র থেকে প্রতিদিন সকালে অসংখ্য ফিশিং বোট চট্টগ্রাম ঘাটে ভিড়ছে। এরপর বোট থেকে মাছ চলে যাচ্ছে আড়তে। ব্যবসায়ীরা জানিয়েছেন সামুদ্রিক মাছের চাহিদা এবং দাম দুটোই বেড়েছে, সে তুলনায় সরবরাহ বাড়েনি।
সরেজমিন চট্টগ্রাম ফিশারি ঘাট ঘুরে দেখা গেছে, ভোর থেকেই ঘাটে ফিশিং বোটগুলো ভিড়তে থাকে। এরপর শ্রমিকরা বোট থেকে বিভিন্ন প্রজাতির সামুদ্রিক মাছ খাঁচায় বহন করে আড়তে নিয়ে আসেন। চট্টগ্রাম নগরী ও নগরীর বাইরে থেকে আসা মাছ বিক্রেতারা আড়ত থেকে মাছ কিনে নিয়ে যান পাইকারী ও খুচরা বিক্রির উদ্দেশ্যে।
ফিশারি ঘাটের পাইকারী ইলিশ মাছ বিক্রেতা আবদুর রহমান গণমাধ্যমকে জানান, পূর্বের তুলনায় ইলিশ মাছের সরবরাহ কিছুটা বাড়লেও চাহিদার তুলনায় যোগানে ঘাটতি রয়েছে। বর্তমান বাজারে এক কেজির বেশি ওজনের ইলিশ মাছ প্রতি মণ বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৬০ হাজার টাকা। প্রতি কেজির মূল্য ১৪শ’ থেকে ১৫শ’ টাকা। এক কেজির কম ওজনের ইলিশ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ৯শ থেকে এক হাজার টাকা।
ইলিশ মাছের পাশাপাশি রূপচাঁদা, কোরাল, চিংড়ি. সামুদ্রিক পাঙ্গাস, লইট্টাসহ সব ধরনের সামুদ্রিক মাছের দাম বেশি বলে জানিয়েছেন পাইকারী মাছ বিক্রেতারা।
ইকবাল হোসেন নামে পাইকারী সামুদ্রিক মাছ বিক্রেতা জানান, প্রতি কেজি লইট্টা মাছ পাইকারী বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকা থেকে ১২০ টাকা। খুচরা বাজারে গিয়ে এগুলো ১৫০ থেকে ১৭০ টাকা দামে বিক্রি হয়। এ ছাড়া ফিশারি ঘাটে প্রতি কেজি কোরাল মাছ ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা, সামুদ্রিক পাঙ্গাস ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা, চিংড়ি ৭০০ থেকে ৯০০ টাকা, রূপচাঁদা ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।
ফিশারি ঘাটে কম দামে ইলিশ পাওয়া যেতে পারে এই আশায় ইলিশ কিনতে আসা সাইদুর মুন্সি নামে এক ক্রেতা বলেন, অনেক আশা নিয়ে ভোরে ফিশারি ঘাটে এসেছিলাম। কিন্তু দাম শুনে আমি হতাশ। এক কেজির চেয়ে একটু বেশি ওজনের ইলিশ প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৫০০ টাকা দামে। এতো দামে ইলিশ মাছ কেনার সাধ্য আমাদের নেই।
এর কারণ হিসেবে বিক্রেতারা জানান, ভরা মৌসুমে ইলিশের যে যোগান থাকার কথা তেমন যোগান নেই। চাহিদার বিপরীতে যোগান অনেক কম, ফলে দাম বাড়তি।