একটি দেশের উন্নয়ন এর জন্য দরকার দেশপ্রেমিক যোগ্য নেতৃত্ব ও তার ধারাবাহিকতা। ১৯৭১ এর মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে জন্ম নেয়া বাংলাদেশ যখন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের হাত ধরে সঠিক পথে এগিয়ে যাচ্ছিল, ঠিক সেই সময়ে দেশী বিদেশি স্বাধীনতা বিরোধীদের ষড়যন্ত্র ও প্রত্যক্ষ মদদে তাকে সপরিবারে হত্যা করা হয়। এরপর দীর্ঘ ২১ বছরের সামরিক শাসক ও তাদের দোসররা এই দেশে গনতন্ত্র হত্যা ও লুটপাট এর রাজত্ব কায়েম করে।
দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রামের মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসলেও ৫ বছরে জমে থাকা সমস্থ জঞ্জাল সরানো সম্ভব হয়নি!
বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচারের কাজ শুরু হলেও শেষ করতে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করা হয়!গণতন্ত্র ও উন্নয়ন আবারও হোঁচট খায়। ২য় মেয়াদে ক্ষমতায় এসে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বদলে যেতে থাকে বাংলাদেশ।গনতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় একটি অনুন্নত দেশ উন্নয়নশীল দেশে পরিনত হয়েছে, পরিনত হয়েছে ডিজিটাল বাংলাদেশে। পদ্মা সেতু ও কালনা সেতু আজ কোন স্বপ্ন নয়, বড় বড় বিদ্যুৎ কেন্দ্র,কর্নফুলি টানেল, মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে -সব মিলিয়ে এক আধুনিক বাংলাদেশ! এখন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্বপ্ন স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২০৪১ সালের মধ্যে একটি উন্নত বাংলাদেশ গড়ে তোলা।
সেই লক্ষ্যে আজ যেমন সরকারের ধারাবাহিকতা বজায় রাখা দরকার তেমনি মুক্তিযুদ্ধের চেতনার শিক্ষিত মেধাবী নেতৃত্ব প্রয়োজন। বিশেষ করে নড়াইল-২ আসনটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নিজের বলে মনে করায় এ আসনের উন্নয়ন এর জন্য একজন প্রকৌশলী বিশেষ অবদান রাখতে পারেন বলে সাধারণ ভোটার মনে করে। ইতোমধ্যে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী মনোনয়ন এর ক্ষেত্রে শত ফুলকে ফুটতে দিতে বলেছেন। আমিও চাই শতফুল ফুটুক,সবচেয়ে সুন্দর ফুলটি তিনি বেছে নিন,আগামী বাংলাদেশের জন্য।
জয় বাংলা জয় বঙ্গবন্ধু
নড়াইল-২ আসনের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন প্রত্যাশী প্রকৌশলী(বুয়েট) লেঃ কমান্ডার এ এম আব্দুল্লাহ অবঃ ।