গাজা উপত্যকা থেকে শনিবার সকালে ইসরায়েলে মুহুর্মুহু রকেট হামলা চালায় ফিলিস্তিনি সংগঠন হামাস। জবাবে নির্বিচারে পাল্টা বিমান হামলা চালায় ইসরায়েল এরই ধারাবাহিকতায় এবার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে হামলা শুরু করেছে প্রতিবেশী লেবাননের প্রতিরোধ সংগঠন হিজবুল্লাহ। জবাবে তেল আবিবও পাল্টা কামান ও রকেট হামলা চালায়।
রবিবারের (৮ অক্টোবর) গুলি বিনিময় থেকে লেবানন বা ইসরায়েলে হতাহতের কোনো তাৎক্ষণিক খবর পাওয়া যায়নি।
এদিকে, শনিবার হামাসের হামলায় ইসরায়েলের শহরগুলোতে অন্তত ২৫০ জন নিহত হন। পাল্টা বোমাবর্ষণে তিন শতাধিক ফিলিস্তিনির মৃত্যু হয়।
ইরান সমর্থিত সশস্ত্র দল হিজবুল্লাহ রবিবার বলেছে, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে শিবা ফার্মের তিনটি পোস্টে গাইডেড রকেট এবং কামান নিক্ষেপ করেছে।
রবিবার ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী বলেছে, তারা লেবাননের একটি এলাকায় কামান নিক্ষেপ করেছে। এদিন তাদের একটি ড্রোন শিবা অঞ্চলের হার ডভ এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি পোস্টে আঘাত হানে।
উচ্চ সতর্কতা জারি করে দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, এই মুহূর্তে, হার ডভ বা উত্তরাঞ্চলে আর কোনো হুমকি নেই। আইডিএফ মুখপাত্র ড্যানিয়েল হাগারি টেলিভিশনে সাক্ষাৎকারে বলেন, সেনাবাহিনী উচ্চ সতর্ক অবস্থায় রয়েছে।
লেবাননের একটি নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্সকে জানিয়েছে, শেবা ফার্মে হিজবুল্লাহর স্থাপন করা একটি তাঁবু ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। যোদ্ধারা একটি নতুন তাঁবু তৈরি করেছে।
লেবাননের দুটি নিরাপত্তা সূত্র জানায়, তাদের দেশ থেকে ছোড়া রকেট শেবা ফার্মে ইসরায়েলি অবস্থানে আঘাত হেনেছে। জবাবে ইসরায়েল কাফর গ্রামে কামানের গোলা নিক্ষেপ করে।
দ্বিতীয় হামলার বিষয়ে ইসরায়েল কিংবা লেবানিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো মন্তব্য পাওয়া যায়নি। লেবাননের পৃথক নিরাপত্তা সূত্র নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছে, সেনাবাহিনী দক্ষিণে তাদের টহল জোরদার করেছে।
১৯৬৭ সাল থেকে ইসরায়েল ১৫ বর্গমাইল (৩৯ বর্গ কিলোমিটার) জমিতে শেবা ফার্ম দখল করে রয়েছে। সিরিয়া ও লেবাননের দাবি, এগুলো লেবানিজ।
দক্ষিণ লেবাননে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা মিশনের (ইউএনআইএফআইএল) মুখপাত্র আন্দ্রেয়া টেনেন্টি বলেন, “পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে ও আরও উত্তেজনা এড়াতে আমরা ব্লু লাইনের উভয় পাশের কর্তৃপক্ষের সাথে সব স্তরে যোগাযোগ করছি।”
ব্লু লাইন হল লেবানন ও ইসরায়েলের মধ্যে সীমানা রেখা। ২০০০ সালে ইসরায়েলি বাহিনী দক্ষিণ লেবানন ছেড়ে যাওয়ার সময় এই এলাকাটি প্রত্যাহার করে।
লেবাননের জন্য জাতিসংঘের বিশেষ সমন্বয়কারী জোয়ানা রোনেকা বলেন, “গুলি বিনিময়ের ঘটনায় আমি গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। সবাইকে নিজের জনগণকে রক্ষায় এই হামলা বন্ধ করতে হবে।”