ওসির সার্বিক সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর মা বাবাকে খুঁজে পেয়েছে টুক্কুনি

আবদুল লতিফ লায়ন জেলা প্রতিনিধি, জামালপুর
ওসির সার্বিক সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর মা বাবাকে খুঁজে পেয়েছে টুক্কুনি

হারিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর মা বাবা ও নিজ পরিবারকে খুঁজে পেয়েছে মমতাজ বেগম টুক্কুনি। জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানার সার্বিক সহযোগিতায় টুক্কুনি খুঁজে পায় তার বাবা মা ও পরিবারকে। মমতাজ বেগম টুক্কুনির বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারীপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল হাসেম। মায়ের নাম সইরেফুলি।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারিপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের কন্যা টুক্কুনি ওরুফে মমতাজকে কাজের কাজের মেয়ে হিসেবে ঢাকায় পাঠানোর জন্য একই গ্রামের শাবুল মিয়া পাশ^বর্তী পাখিমারা গ্রামের নেহার বেগমের কাছে দেয়। নেহার বেগমের মেয়ে ঢাকায় বসবাস করে। পরে নেহার বেগম তার মেয়ের বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে টুক্কুনিকে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেহার বেগমের মেয়ের বাসায় কাজ করা কালিন ৬ বছর বয়সে ১৫ বছর আগে হারিয়ে যায় টুক্কুনি। নিজের বয়স মাত্র ৬ বছর হওয়ায় জামালপুর জেলার নাম ছাড়া নিজ বাড়ীর ঠিকানাও বলতে পারেনি টুক্কুনি। অনেক খোজাঁ খুজিঁ করেও টুক্কুনিকে খোজেঁ পায়নি তার বাবা আবুল হাসেম। হারিয়ে যাওয়ার পর টুক্কুনিকে চট্টগ্রাম শহরে পায় জনৈক মহিলা। পরে তাকে লালন পালন করে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়ার কাছে বিয়ে দেয়। দাম্পত্য জীবনে টুক্কুনি বর্তমানে ৩ সন্তানের জননী। স্বামীর সংসার করার পাশাপাশি তার মা বাবাকে খোঁজতে থাকে টুক্কুনি। কোন উপায় না পেয়ে টুক্কুনির স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বিষটি গুরুত্ব দিয়ে মমতাজ বেগম টুক্কুনির ঠিকানা বের করার উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীনসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা চান। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি ব্যাপক প্রচার করলে মমতাজ বেগম টুক্কনির ঠিকানা, বাবা মা ও পরিবারের লোকজনকে খোঁজে পান। এর পরেই টুক্কুনির স্বামীর বাড়ীর ঠিকানা সংগ্রহ করে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ টুক্কুনির পরিবারকে দেন। সেই ঠিকানা অনুযায়ি টুক্কুনির বাবা আবুল হাসেম ও মা সইরেফুলি বকশীগঞ্জ থেকে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে টুক্কুনিকে খোঁজে পান। সেই বাড়ী টুক্কুনির স্বামীর বাড়ী। সেখান থেকে টুক্কুনিকে তার স্বামীর অনুমতি স্বাপেক্ষে তার বাবা হাসেম ও মা সইরেফুলি টুক্কুনিকে বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারীপাড়া গ্রামে তার পিতার বাড়ীতে নিয়ে আসে। ১৫ বছর পর টুক্কুনি বাড়ী ফেরার পর পরিবারের লোকজন ও এলাকার লোকজনের মধ্যে মিলন মেলায় পরিনত হয়। মা বাবাকে ফিরে আনন্দে আত্মহারা টুক্কুনি। মেয়েকে ফিরে পেয়ে বাবা মাও মহাখুশি। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় টুক্কুনির বাবা মা আনুষ্ঠানিকভাবে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিস্তারিত জানান।

এ ব্যপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, সৎ ইচ্ছা থাকলে সব কিছু করা সম্ভব। টুক্কুনির বেলাতেও তাই ঘটেছে। তার ঠিকানা খোজেঁ পাওয়া এবং বাবা মায়ের সন্ধ্যান পাওয়া খুব কঠিন ছিলো। কিন্তু পুলিশ ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে টুক্কুনি তার পিতৃপরিবারের ঠিকানা খোঁজে পেয়েছে। এই মিলন মেলায় টুক্কনির পরিবারের পাশাপাশি পুলিশও খুশি। টুক্কুনির পরিবারের পাশে পুলিশ সব সময় থাকবে। ঘটনার বিষয়ে তার পরিবার আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে আইন মোতাবেক পুলিশ টুক্কুনির পরিবারের পাশে থেকে সহায়তা করবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ওসির সার্বিক সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর মা বাবাকে খুঁজে পেয়েছে টুক্কুনি

ওসির সার্বিক সহযোগিতায় হারিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর মা বাবাকে খুঁজে পেয়েছে টুক্কুনি

হারিয়ে যাওয়ার ১৫ বছর পর মা বাবা ও নিজ পরিবারকে খুঁজে পেয়েছে মমতাজ বেগম টুক্কুনি। জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানার সার্বিক সহযোগিতায় টুক্কুনি খুঁজে পায় তার বাবা মা ও পরিবারকে। মমতাজ বেগম টুক্কুনির বাড়ি জামালপুর জেলার বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারীপাড়া গ্রামে। তার বাবার নাম আবুল হাসেম। মায়ের নাম সইরেফুলি।

জানা যায়, ১৫ বছর আগে বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারিপাড়া গ্রামের আবুল হাসেমের কন্যা টুক্কুনি ওরুফে মমতাজকে কাজের কাজের মেয়ে হিসেবে ঢাকায় পাঠানোর জন্য একই গ্রামের শাবুল মিয়া পাশ^বর্তী পাখিমারা গ্রামের নেহার বেগমের কাছে দেয়। নেহার বেগমের মেয়ে ঢাকায় বসবাস করে। পরে নেহার বেগম তার মেয়ের বাসার কাজের মেয়ে হিসেবে টুক্কুনিকে ঢাকায় পাঠায়। ঢাকায় নেহার বেগমের মেয়ের বাসায় কাজ করা কালিন ৬ বছর বয়সে ১৫ বছর আগে হারিয়ে যায় টুক্কুনি। নিজের বয়স মাত্র ৬ বছর হওয়ায় জামালপুর জেলার নাম ছাড়া নিজ বাড়ীর ঠিকানাও বলতে পারেনি টুক্কুনি। অনেক খোজাঁ খুজিঁ করেও টুক্কুনিকে খোজেঁ পায়নি তার বাবা আবুল হাসেম। হারিয়ে যাওয়ার পর টুক্কুনিকে চট্টগ্রাম শহরে পায় জনৈক মহিলা। পরে তাকে লালন পালন করে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের ছেলে রাসেল মিয়ার কাছে বিয়ে দেয়। দাম্পত্য জীবনে টুক্কুনি বর্তমানে ৩ সন্তানের জননী। স্বামীর সংসার করার পাশাপাশি তার মা বাবাকে খোঁজতে থাকে টুক্কুনি। কোন উপায় না পেয়ে টুক্কুনির স্বামীর পরিবারের পক্ষ থেকে বিষয়টি সোসাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে দেয়।

বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ বিষটি গুরুত্ব দিয়ে মমতাজ বেগম টুক্কুনির ঠিকানা বের করার উদ্যোগ নেন। এর অংশ হিসেবে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা বকশীগঞ্জ প্রেসক্লাবের সভাপতি এম শাহীন আল আমীনসহ স্থানীয় সাংবাদিকদের সহায়তা চান। স্থানীয় সাংবাদিকরা বিষয়টি ব্যাপক প্রচার করলে মমতাজ বেগম টুক্কনির ঠিকানা, বাবা মা ও পরিবারের লোকজনকে খোঁজে পান। এর পরেই টুক্কুনির স্বামীর বাড়ীর ঠিকানা সংগ্রহ করে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ টুক্কুনির পরিবারকে দেন। সেই ঠিকানা অনুযায়ি টুক্কুনির বাবা আবুল হাসেম ও মা সইরেফুলি বকশীগঞ্জ থেকে লক্ষীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জ থানার পশ্চিম চৌপল্লী গ্রামের মৃত ইসমাইল হোসেনের বাড়ীতে গিয়ে টুক্কুনিকে খোঁজে পান। সেই বাড়ী টুক্কুনির স্বামীর বাড়ী। সেখান থেকে টুক্কুনিকে তার স্বামীর অনুমতি স্বাপেক্ষে তার বাবা হাসেম ও মা সইরেফুলি টুক্কুনিকে বকশীগঞ্জ উপজেলার কাগমারীপাড়া গ্রামে তার পিতার বাড়ীতে নিয়ে আসে। ১৫ বছর পর টুক্কুনি বাড়ী ফেরার পর পরিবারের লোকজন ও এলাকার লোকজনের মধ্যে মিলন মেলায় পরিনত হয়। মা বাবাকে ফিরে আনন্দে আত্মহারা টুক্কুনি। মেয়েকে ফিরে পেয়ে বাবা মাও মহাখুশি। ১৭ সেপ্টেম্বর রাত ৯টায় টুক্কুনির বাবা মা আনুষ্ঠানিকভাবে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানার সাথে সৌজন্য সাক্ষাত করেন এবং ১৫ বছর আগে হারিয়ে যাওয়ার ঘটনার বিস্তারিত জানান।

এ ব্যপারে বকশীগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ সোহেল রানা জানান, সৎ ইচ্ছা থাকলে সব কিছু করা সম্ভব। টুক্কুনির বেলাতেও তাই ঘটেছে। তার ঠিকানা খোজেঁ পাওয়া এবং বাবা মায়ের সন্ধ্যান পাওয়া খুব কঠিন ছিলো। কিন্তু পুলিশ ও সাংবাদিকদের সমন্বয়ে টুক্কুনি তার পিতৃপরিবারের ঠিকানা খোঁজে পেয়েছে। এই মিলন মেলায় টুক্কনির পরিবারের পাশাপাশি পুলিশও খুশি। টুক্কুনির পরিবারের পাশে পুলিশ সব সময় থাকবে। ঘটনার বিষয়ে তার পরিবার আইনগত ব্যবস্থা নিতে চাইলে আইন মোতাবেক পুলিশ টুক্কুনির পরিবারের পাশে থেকে সহায়তা করবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022