জাপানের জনসংখ্যার ১০% মানুষের বয়স ৮০ বছরের বেশি। গত কয়েক দশক ধরেই জাপানের জনসংখ্যা কমছে। দেশটিতে বাড়ছে বৃদ্ধের সংখ্যা। কিন্তু জন্মহার কমছে।
দেশটির সরকারি পরিসংখ্যানের বরাতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) বৃদ্ধ দিবসের জন্য সম্মানে জাতীয় ছুটি পালন করে জাপান।
এর আগে, রবিবার একটি পরিসংখ্যান প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ জানায়, জাপানের মোট জনসংখ্যার ২৯.১ বয়স ৬৫ বছরের বেশি। যা আগের বছর অর্থাৎ, ২০২২ সালে ছিল ২৯%।
বয়স্ক জনসংখ্যার দিক থেকে জাপানের পরেই রয়েছে ইতালি, তাদের জনসংখ্যার ২৪.৫% বৃদ্ধ। ২৩.৬% বৃদ্ধ জনসংখ্যার বাস ফিনল্যান্ড।
মন্ত্রণালয় এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, বিশ্বের সবচেয়ে বেশি বয়স্ক জনসংখ্যা রয়েছে জাপানে।
চাকরি ও অর্থনৈতিক সমস্যার অজুহাতে বিয়ে ও সন্তান নিচ্ছে না মধ্যবয়স্করা। আর এতেই দেশটিতে বয়স্কদের যত্নের জন্য খরচ বাড়ছে।
সরকার বলছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ে যারা জন্ম নিয়েছিল তাদের বয়স ৭৫ এর বেশি হয়ে গেছে। দেশের ১২ কোটি ৪৪ লাখ মানুষ ক্রমাগতভাবে বৃদ্ধ হচ্ছেন। এক কোটি ২৫ লাখ ৯০ হাজার জাপানিজের বয়স ৮০ বছরের বেশি। আর দুই কোটি নাগরিকের বয়স ৭৫ এর বেশি। ফলে জাপান এখন প্রবীণ শ্রমশক্তির ওপর নির্ভর করছে।
বর্তমানে জাপানে ৯০ লাখের বেশি শ্রমিকই প্রবীণ। এর মানে দাঁড়ায় মোট শ্রমিকের ১৩.৬% বৃদ্ধ। অর্থাৎ, প্রতি সাত শ্রমিকের মধ্যে একজন বয়স্ক।
জাপানের প্রবীণদের মধ্যে এক চতুর্থাংশ এখনও কাজে যুক্ত। যদিও এই পরিসংখ্যানে জাপানের আগে রয়েছে দক্ষিণ কোরিয়া। দেশটির ৩৬.২% বৃদ্ধ চাকরি করে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্র ১৮.৬% ও ফ্রান্সে ৩.৯% প্রবীণ কাজে যুক্ত।
জাপানে ৭০-৭৪ বছরের যত বয়স্ক রয়েছে তার মধ্যে এক তৃতীয়াংশের বেশি নাগরিক চাকরি করে।
২০৪০ সালের মধ্যে জাপানের বয়স্ক জনগণ মোট জনসংখ্যার ৩৪.৮% হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।