ড. মুহাম্মদ ইউনূস টাকা দিয়ে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার কিনেছেন বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব-উল আলম হানিফ।
তিনি বলেছেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার নোবেল কমিটি দেয় না, এটা দেয়া হয় আমেরিকা থেকে। আর আমেরিকাকে টাকা দিয়ে তাদের সুপারিশে ড. ইউনুস এ পুরস্কার পেয়েছেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে শনিবার শ্রমিক লীগ আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
প্রশ্ন তুলে হানিফ বলেন, ‘খোদ যুক্তরাষ্ট্রে অনেক ব্যক্তিকে নোবেল পাওয়ার পরও আইনের মুখোমুখি হতে হয়েছে। বেলারুশের এক নোবেলজয়ীরও ১০ বছরের জেল হয়েছে। এ ছাড়া বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নোবেলজয়ীদের নেতিবাচক কর্মকাণ্ড হলে তাদেরও বিচার হয়েছে। তখন তো এভাবে কেউ কোনো বিবৃতি দেয়নি। এখন কেন দিচ্ছে?
‘যারা জ্ঞান ও গবেষণায় নোবেল পেয়েছেন তাদের যদি কৃতকর্মের জন্য বিচার হয়ে থাকে, তাহলে ড. ইউনূস টাকা দিয়ে নোবেল পাওয়ার পর কী এমন হয়ে গেলেন যে তার বিচার করা যাবে না। এ পদক পাওয়ার পর তিনি কি আইনের ঊর্ধ্বে উঠে গেছেন?’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘যারা ড. ইউনূসের পক্ষে সাফাই গেয়ে সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা করছেন, তাদের জাতি ভালো করেই চেনে। এরাই একাত্তরের পরাজিত শক্তি বিএনপি-জামায়াতসহ এ দেশের বিরোধিতাকারী পশ্চিমা শক্তি। এরাই শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটিয়ে এ দেশের উন্নয়ন অগ্রযাত্রাকে বাধাগ্রস্ত করতে চান।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার সরকার জনগণের সরকার। এখনও দেশের ৭০ ভাগ জনসমর্থন ওনার পক্ষে। যতদিন এই দেশের মানুষের আস্থা, ভরসা ও সমর্থনে শেখ হাসিনা থাকবেন, ততদিন কেউ এ সরকারকে সরাতে পারবে না। কোনো ষড়যন্ত্র করে কারও বিচার বন্ধ করতে পারবেন না। যে অপরাধ করেছে তার বিচার অবশ্যই হবে। আইন তার নিজস্ব গতিতে চলবে।’
দেশের জন্য ড. ইউনূসের কোনো অবদান নেই মন্তব্য করে হানিফ বলেন, ‘এই দেশের সবচেয়ে সুদখোর ব্যবসায়ী ড. ইউনূস। এ দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য তার কোনো অবদান নেই। উনি কোনো সংকটে সাধারণ মানুষের পাশে ছিলেন না। উনি এই দেশের স্মৃতিসৌধ, শহিদ মিনারসহ কোনো জাতীয় অনুষ্ঠানেও যান না। উনি মনেপ্রাণে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা। তার বাবাও সুদখোর ছিলেন। আর সুদখোরের ছেলে সুদখোর হবে, এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু আজকে তাকে ইস্যু করে দেশবিরোধী ষড়যন্ত্র করার চেষ্টা চলছে।’
ড. ইউনূস ঋণ দেয়ার নাম করে গ্রামের মানুষকে শোষণ করেছেন দাবি করে হানিফ বলেন, ‘কিস্তি দিতে গিয়ে মানুষ অসহায় হয়ে গেছে। কিস্তি না দিতে পারলে মানুষের ঘরের খাট, চাল, গরু নিয়ে গেছে। গ্রামীণ ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে না পেরে লজ্জায়, দুঃখে, কষ্টে ৩৬ জন মানুষ আত্মহত্যা করতে বাধ্য হয়েছিল।’