ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নির্মূলে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নির্মূলে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নির্মূলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য মশা নিধন যাদের দায়িত্ব, তাদের যথাযথভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মাতৃ ও কৈশোর পুষ্টি: বাংলাদেশে কিশোরী ও নারীদের জন্য ন্যায়সঙ্গত পুষ্টি পরিচর্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে তিন হাজার রোগী ভর্তি হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া, সেটি আমরা করছি। সব সরকারি হাসপাতালে শয্যা, চিকিৎসক, পর্যাপ্ত স্যালাইন আছে; কিন্তু এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মশা নিধন জরুরি। এজন্য মশা নিধন যাদের দায়িত্ব, তাদের তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

পুষ্টিকর খাদ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমাতে হবে। সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুস্বাস্থ্যের জন্য কৈশোরকালে পুষ্টির বিষয়ে সচেন থাকতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষিত, স্বাস্থ্যবান ও প্রশিক্ষিত জাতি গঠনের ওপর জোর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারে রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এতে চিকিৎসা সেবার ওপর চাপ কমে।

পুষ্টিহীনতা কমাতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা সময় দেশে ৪০-৫০ ভাগ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগত। সরকারের নানাবিধ উদ্যোগে তা কমে এসেছে। বর্তমানে অপুষ্টির হার কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২০ ভাগে। এটি আরও কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জাহিদ মালেক জানান, বর্তমান সময়ে রেস্টুরেন্টগুলোতে ফাস্টফুড খাওয়া ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, যা শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে। আমরা বাচ্চাদের যেসব ফাস্টফুড খাওয়াই, সেগুলোর প্রভাবে বাচ্চারা মোটা হয়ে যাচ্ছে, ওজন বেড়ে যাচ্ছে। মুটিয়ে যাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়, ডায়বেটিস হয়। কাজেই এ বিষয়গুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে। নিউট্রিশনের অভাব হলে আমরা জানি, স্টান্টিং বেড়ে যায়। মেন্টাল-ফিজিক্যাল সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শরীরের ইমিউনিটির ওপর প্রভাব পড়ে। খাদ্যটা যদি সুষম না হয়, তাহলেই কিন্তু অসুখ-বিসুখ বাড়ে। এর ফলে আমাদের হেলথ সেক্টরেও একটা প্রভাব পড়ে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মাতৃ-শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। একটা সময়ে গড়ে ৬০০ জনের মতো মৃত্যু হতো, বর্তমানে ১৬০ জনে চলে এসেছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বলে মৃত্যু কমে এসেছে। তবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ আছে। এসডিজি অর্জন করতে হলে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের দেশে ফল, শাক সবজি, মাছসহ সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং সুষম খাবারে সবাইকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

পুষ্টি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজন করে। এ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন ইউনিসেফসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নির্মূলে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নির্মূলে গুরুত্ব দিতে হবে: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে মশা নির্মূলের ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। এজন্য মশা নিধন যাদের দায়িত্ব, তাদের যথাযথভাবে কাজ করতে হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

মঙ্গলবার রাজধানীর একটি হোটেলে ‘মাতৃ ও কৈশোর পুষ্টি: বাংলাদেশে কিশোরী ও নারীদের জন্য ন্যায়সঙ্গত পুষ্টি পরিচর্যা বৃদ্ধি’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, প্রতিদিন সারা দেশের হাসপাতালগুলোতে তিন হাজার রোগী ভর্তি হচ্ছে। আমাদের দায়িত্ব হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া, সেটি আমরা করছি। সব সরকারি হাসপাতালে শয্যা, চিকিৎসক, পর্যাপ্ত স্যালাইন আছে; কিন্তু এ অবস্থা থেকে উত্তরণে মশা নিধন জরুরি। এজন্য মশা নিধন যাদের দায়িত্ব, তাদের তা সঠিকভাবে পালন করতে হবে।

পুষ্টিকর খাদ্যের বিষয়ে তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে শিশু ও মাতৃমৃত্যু কমাতে হবে। সুস্থতার জন্য পুষ্টিকর খাবার গুরুত্বপূর্ণ। স্বাস্থ্যই সম্পদ। সুস্বাস্থ্যের জন্য কৈশোরকালে পুষ্টির বিষয়ে সচেন থাকতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে শিক্ষিত, স্বাস্থ্যবান ও প্রশিক্ষিত জাতি গঠনের ওপর জোর দিতে হবে। পুষ্টিকর খাবারে রোগ- প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়, এতে চিকিৎসা সেবার ওপর চাপ কমে।

পুষ্টিহীনতা কমাতে সরকারের উদ্যোগ তুলে ধরে তিনি বলেন, একটা সময় দেশে ৪০-৫০ ভাগ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগত। সরকারের নানাবিধ উদ্যোগে তা কমে এসেছে। বর্তমানে অপুষ্টির হার কমে দাঁড়িয়েছে শতকরা ২০ ভাগে। এটি আরও কমিয়ে আনতে সরকার কাজ করে যাচ্ছে।

জাহিদ মালেক জানান, বর্তমান সময়ে রেস্টুরেন্টগুলোতে ফাস্টফুড খাওয়া ফ্যাশনে পরিণত হয়েছে, যা শিশুদের জন্য ভয়াবহ বিপদ ডেকে আনছে। আমরা বাচ্চাদের যেসব ফাস্টফুড খাওয়াই, সেগুলোর প্রভাবে বাচ্চারা মোটা হয়ে যাচ্ছে, ওজন বেড়ে যাচ্ছে। মুটিয়ে যাওয়ার কারণে উচ্চ রক্তচাপ হয়, ডায়বেটিস হয়। কাজেই এ বিষয়গুলোতে আমাদের নজর দিতে হবে। নিউট্রিশনের অভাব হলে আমরা জানি, স্টান্টিং বেড়ে যায়। মেন্টাল-ফিজিক্যাল সক্ষমতা কমে যায়। পাশাপাশি শরীরের ইমিউনিটির ওপর প্রভাব পড়ে। খাদ্যটা যদি সুষম না হয়, তাহলেই কিন্তু অসুখ-বিসুখ বাড়ে। এর ফলে আমাদের হেলথ সেক্টরেও একটা প্রভাব পড়ে।

স্বাস্থ্যমন্ত্রী আরও বলেন, আমাদের মাতৃ-শিশু মৃত্যুর হার কমে এসেছে। একটা সময়ে গড়ে ৬০০ জনের মতো মৃত্যু হতো, বর্তমানে ১৬০ জনে চলে এসেছে। দেশের স্বাস্থ্যসেবা ভালো হয়েছে বলে মৃত্যু কমে এসেছে। তবে আমাদের আরও ভালো করার সুযোগ আছে। এসডিজি অর্জন করতে হলে মাতৃমৃত্যু ৭০ জনে নামিয়ে আনতে হবে। বাংলাদেশ এখন খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। আমাদের দেশে ফল, শাক সবজি, মাছসহ সব ধরনের খাদ্য উৎপাদন হচ্ছে। সুতরাং সুষম খাবারে সবাইকেই গুরুত্ব দিতে হবে।

পুষ্টি সংক্রান্ত অনুষ্ঠানটি যৌথভাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তর আয়োজন করে। এ আয়োজনে সহযোগিতায় ছিলেন ইউনিসেফসহ উন্নয়ন সহযোগী সংস্থাগুলো। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক এবিএম খুরশীদ আলম প্রমুখ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022