ঐতিহাসিক সফরে বাংলাদেশে আসা ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁকে লাল গালিচা সংবর্ধনায় স্বাগত জানানো হয়েছে।
নয়াদিল্লিতে জি-২০ সম্মেলনে যোগদান শেষে রবিবার (১০ সেপ্টেম্বর) রাত ৮টার দিকে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাকে স্বাগত জানান।
১৯৯০ সালের ২২ থেকে ২৪ ফেব্রুয়ারি ফ্রান্সের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট মিত্রান্দের বাংলাদেশ সফরের পর ম্যাক্রোঁই প্রথম নেতা যিনি বাংলাদেশ সফর করছেন।
ম্যাক্রোঁর সফরের মাধ্যমে ঢাকা ও প্যারিস নিজেদের সম্পর্ককে নতুন যুগে নিয়ে যেতে চায়।
ঢাকায় সফরে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক, বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের এয়ারবাস থেকে বিমান কেনা সংক্রান্ত চুক্তি স্বাক্ষর ও দেশের প্রথম পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের বিষয়ে আলোচনা করবেন তিনি।
বিমানবন্দর থেকে এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া নৈশভোজে যোগ দিতে সরাসরি হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে যান।
ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ নৈশভোজের পর ঢাকার ধানমন্ডিতে জলের গানের গায়ক ও গীতিকার রাহুল আনন্দের সঙ্গে দেখা করবেন।
সোমবার দ্বিপাক্ষিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে যাওয়ার কথা রয়েছে ম্যাক্রোঁর।
এয়ারবাস থেকে ১০টি বিমান কেনা ও প্রথমবারের মতো পৃথিবী পর্যবেক্ষণ স্যাটেলাইট স্থাপনসহ তিনটি চুক্তি স্বাক্ষরের পর দুই নেতা যৌথ বিবৃতি দেবেন।
৮৪টি পৌরসভার উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ছাড়ের ঋণের জন্য ইআরডির সঙ্গে একটি চুক্তি স্বাক্ষর করবে ফ্রান্সের উন্নয়ন সংস্থা এএফডি।
ফরাসি প্রেসিডেন্টের সোমবার বিকেলে ঢাকা ত্যাগের কথা রয়েছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিমানবন্দরে তাকে বিদায় জানাবেন।
এ বছর ফ্রান্স ও বাংলাদেশের মধ্যে কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫১ বছর ও ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাসে আন্দ্রে মালরাক্সের বাংলাদেশ সফরের ৫০ বছর পূর্তি হবে।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সমর্থনে একটি স্বেচ্ছাসেবক দল গঠন করেছিলেন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট চার্লস দে গল সরকারের সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রী ফরাসি ঔপন্যাসিক, শিল্প তাত্ত্বিক আন্দ্রে মালরাক্স।
১৯৭৩ সালে ঢাকা সফরে এলে তাকে স্বাগত জানান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।