ঋতুস্রাব বা পিরিয়ড হল স্বাভাবিক যোনিপথে রক্তপাত যা একজন মহিলার মাসিক চক্রের অংশ হিসেবে ঘটে। প্রতি মাসে, আপনার শরীর গর্ভাবস্থার জন্য প্রস্তুত হয়। এটি নারীর জীবনের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ যা প্রতিনিয়তই ঘটছে।নিয়মিত পিরিয়ডকে শারীরিক সুস্থতা হিসেবে বিবেচনা করা হয়। এটি নারীর প্রজনন প্রকিয়ায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। তবে আমাদের মতো মধ্যম কিংবা নিম্ন মধ্য আয়ের দেশগুলোতে এটিকে ট্যাবু হিসাবে ধরে নেয়া হয়।এই সময় তারা পরিপূর্ণ যত্ন পায় না উল্টো প্রতিনিয়ত অবহেলার শিকার হয়।
বলা হয়ে থাকে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মূল। কিন্তু পিরিয়ডকালীন সময়ে নিজের সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করতে না পারলে তা অনেকাংশে মাথা ব্যাথার কারণ হতে পারে। জন্ম নিতে পারে হাজারো কঠিন ব্যাধি। তাই আমাদের পিরিয়ড কালীন স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আবশ্যিক ।মূলত অধিকাংশ ক্ষেত্রে নারীর পিরিয়ড শুরু হয় ১০ থেকে ১৪ বছর বয়সেই। তাই একদম শুরু থেকে নিজের প্রতি যত্নবান হতে হবে। লজ্জা এবং ভয় উপেক্ষা করে নিজের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের যত্ন নেওয়া প্রয়োজন। এজন্য পিরিয়ড চলাকালীন সময় বেশ কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরি-
দীর্ঘ সময় একই সেনেটারী নেফটিন ব্যবহারের ফলে যোনিপথে ক্ষতি হতে পারে। তাই পরিষ্কার কাপড় কিংবা স্যানিটারি ন্যাপকিন ব্যবহার করা এবং প্রতি ৪-৬ ঘন্টা অন্তর অন্তর তা পাল্টানো।
এ সময় শরীর অত্যধিক পরিমাণে দুর্বল থাকে। এজন্য পুষ্টিকর খাবার এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে।
এসময় নদীর খাল বিলে গোসল করা পরিহার করতে হবে। কেননা এসময় জরায়ুর মুখ উন্মুক্ত থাকায় জীবাণু সংক্রমণের আশংকা রয়েছে।
অত্যধিক লবণ যুক্ত খাবার এবং কোল্ড ড্রিংক। নানা ধরনের শারীরিক সমস্যা ঘটায় তাই যথাসম্ভব এগুলো এড়িয়ে চলুন।
নিয়মিত গোসল করুন এবং নিজেকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখুন।
চুলের গোড়া এবং লোমকূপ যথেষ্ট নরম থাকায় ঘনঘন চুল আচড়ানো এবং চলে শ্যাম্পু ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।