ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে বিদেশি বিশিষ্ট নাগরিকগণের পাঠানো অনাকাঙ্ক্ষিত খোলা চিঠির প্রতিবাদ জানিয়েছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি (জবিশিস)। পাশাপাশি বিশ্বনেতাদের এই খোলা চিঠিটি প্রত্যাহার পূর্বক যেন ওই বিদেশি নাগরিকগণ বাংলাদেশের জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আইনুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. আবুল কালাম মো. লুৎফর রহমান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে বৃহস্পতিবার এ আহ্বান জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়েছে, গত ০৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ তারিখে আয়োজিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সভায় ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে চলমান মামলা স্থগিত করার আহ্বান জানিয়ে কতিপয় বিদেশি বিশিষ্ট নাগরিকগণ মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলা চিঠি দিয়ে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ বিষয়ে যে অনাকাঙ্ক্ষিত উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তার প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
সমিতি এই চিঠিকে অনভিপ্রেত, অশোভন এবং বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর সরাসরি নগ্ন হস্তক্ষেপের শামিল বলে মনে করছে। বিশ্বব্যাপী খ্যাতি ও পদমর্যাদা ব্যবহার করে একদল সম্মানিত ব্যক্তি কর্তৃক একটা স্বাধীন সার্বভৌম দেশের স্বাভাবিক বিচার প্রক্রিয়া বন্ধের আহ্বানকে বাংলাদেশের বিচার ব্যবস্থার ওপর অবৈধ হস্তক্ষেপ বলে মনে করছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সদস্যবৃন্দ।
সমিতি মনে করে, সংবিধানের ৯৪ (৪) ধারা মতে বাংলাদেশের বিচার বিভাগ সম্পূর্ণ রূপে স্বাধীনভাবে পরিচালিত হচ্ছে এবং যেকোনো আদালতের বিচারের রায়ে সংক্ষুব্ধ ব্যক্তির উচ্চ আদালতে যাওয়ার অধিকার রয়েছে। স্বাধীন বিচারব্যবস্থার উপর ভিন্ন দেশের নাগরিকদের অযৌক্তিক ও অযাচিত হস্তক্ষেপ কোনোভাবেই কাম্য নয়।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি নীতি নৈতিকতা ও শিষ্টাচার বিবর্জিত অনাকাঙ্ক্ষিত এই উদ্বেগের তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে। পাশাপাশি সমিতি এই খোলা চিঠিটি প্রত্যাহার পূর্বক যেন ওই বিদেশি নাগরিকগণ বাংলাদেশের জনগণের কাছে দুঃখ প্রকাশ করে— এই আহ্বান জানিয়েছে।