মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই
গীতা মেহতা/সংগৃহীত

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের লেখক খ্যাতিমান ভারতীয় সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে তার মৃত্যু হয়।

তিনি ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বড় বোন।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গীতা মেহতা ১৯৭০-৭১ সালে আমেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। আর তার সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তার বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র “ডেটলাইন বাংলাদেশ”-এ বর্ণনা করেছেন।

গীতা মেহতার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, “কারমা কোলা: মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট”, “স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার্স”, “আ রিভার সুত্রা”, “রাজ’ ও “দ্য ইটারনাল গনেশা”। ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এসব লেখনীর মাধ্যমেই গীতা মেহতা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ভারত সরকার গীতা মেহতাকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসমারিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করে।

তবে গীতা মেহতা সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানান। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি।

সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।

গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেছেন, “প্রখ্যাত লেখিকা গীতা মেহতার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী একজন ব্যক্তিত্ব, লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার জ্ঞান এবং আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।”

 

 

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই

মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস লেখক গীতা মেহতা আর নেই
গীতা মেহতা/সংগৃহীত

মহান মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের লেখক খ্যাতিমান ভারতীয় সাংবাদিক গীতা মেহতা আর নেই। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮০ বছর।

শনিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিতে নিজের বাসভবনে বার্ধক্যজনিত রোগে তার মৃত্যু হয়।

তিনি ভারতের ওডিশা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নবীন পট্টনায়েকের বড় বোন।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ভারতের সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি।

গীতা মেহতা ১৯৭০-৭১ সালে আমেরিকান টেলিভিশন নেটওয়ার্ক এনবিসিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে যুদ্ধ সংবাদদাতা হিসেবে কাজ করেছিলেন। আর তার সেই অভিজ্ঞতা থেকে তিনি তার বহুল প্রশংসিত তথ্যচিত্র “ডেটলাইন বাংলাদেশ”-এ বর্ণনা করেছেন।

গীতা মেহতার উল্লেখযোগ্য সাহিত্যকর্মের মধ্যে রয়েছে, “কারমা কোলা: মার্কেটিং দ্য মিস্টিং ইস্ট”, “স্নেকস অ্যান্ড ল্যাডার্স”, “আ রিভার সুত্রা”, “রাজ’ ও “দ্য ইটারনাল গনেশা”। ভারতীয় সমাজ ও সংস্কৃতি নিয়ে অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এসব লেখনীর মাধ্যমেই গীতা মেহতা বিশ্বজুড়ে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন।

সাহিত্য ও শিক্ষায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৯ সালে ভারত সরকার গীতা মেহতাকে দেশটির চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসমারিক সম্মাননা ‘পদ্মশ্রী’ পদকে ভূষিত করে।

তবে গীতা মেহতা সম্মাননা নিতে অস্বীকৃতি জানান। সেই বছরের লোকসভা নির্বাচনে এই পুরস্কার ভুল বার্তা দিতে পারে বলেও সেসময় উল্লেখ করেন তিনি।

সেসময় এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ভারত সরকার আমাকে পদ্মশ্রীর জন্য যোগ্য মনে করায় আমি কৃতজ্ঞ। কিন্তু খুব দুঃখের সঙ্গে জানাচ্ছি, এই সম্মান আমি নিতে পারব না।

গীতা মেহতার মৃত্যুতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি শোক প্রকাশ করেছেন। সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম এক্স-এ দেওয়া এক পোস্টে মোদি বলেছেন, “প্রখ্যাত লেখিকা গীতা মেহতার মৃত্যুতে আমি শোকাহত। তিনি ছিলেন বহুমুখী একজন ব্যক্তিত্ব, লেখালেখির পাশাপাশি চলচ্চিত্র নির্মাণের প্রতি তার জ্ঞান এবং আবেগের জন্য তিনি পরিচিত। তিনি প্রকৃতি এবং পানি সংরক্ষণের বিষয়েও অনুরাগী ছিলেন।”

 

 

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022