যে কারণে ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে বোলিং করেন হারিস রউফ

স্পোর্টস ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
যে কারণে ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে বোলিং করেন হারিস রউফ

গাদ্দাফির ফাস্ট উইকেটে পাকিস্তানি পেসারদের তোপে রীতিমতো উড়ে গেছে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১৯৩ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছেন টাইগাররা। এর মূল ভূমিকায় যে ছিলেন তিনি হচ্ছেন হারিস রউফ। চলতি বছর ফর্মের তুঙে রয়েছেন এ পেসার। ঝড়ো গতি, বাউন্স আর সর্পিল সুইংয়ে ব্যাটারদের কুপোকাত করছেন তিনি।

এশিয়া কাপের ২০২৩ আসরের সুপার ফোরেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন ২৯ বছর বয়সি ডানহাতি পেসার। সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে তার ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে বোলিং করার কারণ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ২ উইকেট শিকার করেন রউফ। বলে গতি, বাউন্স, সুইং সবই পাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বছন্দে ছিলেন না। চরম অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। এর পরই দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। জুতা বদল করেন রউফ। পরে বাকি সময় ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে খেলেন তিনি। কিন্তু কেন?

পেসারদের সবসময় সঠিক মাপের জুতা লাগে। একটু বড়-ছোট হলেই সমস্যায় পড়েন তারা। বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করে। ডানহাতি পেসারদের বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার প্রবণতা থাকে ব্যাপক। অনেক সময় নখ উঠে যায়।

মূলত এসব সমস্যা এড়াতে ছেঁড়া জুতা পরেন পেসাররা। অনেক সময় বুড়ো আঙুলে টেপ বেঁধে জুতা পরেন তারা। রউফ সেটাই করেছেন। সম্ভবত শুরুতে নতুন জুতা পরে বোলিং করছিলেন তিনি। ফলে নিজের মতো ‘মডিফাই’ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তাই দ্রুত ডাগআউট থেকে তার পুরোনো জুতা জোড়া আনা হয়। এটি পরে তাকে বোলিংয়ে স্বস্তিতে দেখা যায়।

বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৬ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন রউফ। এতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। এ জন্য মাত্র ১৯ রান খরচ করেছেন তিনি। জুতা বদলের পর রউফের বোলিংয়ে ধারও বাড়ে। তার বাঁ পায়ের পুরোনো জুতার বুড়ো আঙুলের জায়গায় ওই মাপেই ফুটো করা। এতে পায়ে খুব চাপ পড়লে আঙুল কোথাও ধাক্কা খায়নি।

বিশ্ব ক্রিকেটে অতীতেও অনেক পেসারকেই এমনটি করতে দেখা গেছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার, অস্ট্রেলিয়ার স্পিডস্টার ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামিও মাঝে মধ্যে এই পথ বেছে নিতেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

যে কারণে ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে বোলিং করেন হারিস রউফ

যে কারণে ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে বোলিং করেন হারিস রউফ

গাদ্দাফির ফাস্ট উইকেটে পাকিস্তানি পেসারদের তোপে রীতিমতো উড়ে গেছে বাংলাদেশ। স্কোরবোর্ডে ১৯৩ রান তুলতেই গুটিয়ে গেছেন টাইগাররা। এর মূল ভূমিকায় যে ছিলেন তিনি হচ্ছেন হারিস রউফ। চলতি বছর ফর্মের তুঙে রয়েছেন এ পেসার। ঝড়ো গতি, বাউন্স আর সর্পিল সুইংয়ে ব্যাটারদের কুপোকাত করছেন তিনি।

এশিয়া কাপের ২০২৩ আসরের সুপার ফোরেও ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছেন ২৯ বছর বয়সি ডানহাতি পেসার। সব কিছু ছাপিয়ে আলোচনায় এসেছে তার ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে বোলিং করার কারণ।

বাংলাদেশের বিপক্ষে প্রথম স্পেলে ২ ওভারে ২ উইকেট শিকার করেন রউফ। বলে গতি, বাউন্স, সুইং সবই পাচ্ছিলেন। কিন্তু স্বছন্দে ছিলেন না। চরম অস্বস্তিতে ভুগছিলেন তিনি। এর পরই দৃশ্যপটে পরিবর্তন আসে। জুতা বদল করেন রউফ। পরে বাকি সময় ‘ছেঁড়া’ জুতা পরে খেলেন তিনি। কিন্তু কেন?

পেসারদের সবসময় সঠিক মাপের জুতা লাগে। একটু বড়-ছোট হলেই সমস্যায় পড়েন তারা। বোলিংয়ে ল্যান্ডিংয়ের সময় পা স্লাইড করে। ডানহাতি পেসারদের বাঁ পায়ের বুড়ো আঙুলে চোট লাগার প্রবণতা থাকে ব্যাপক। অনেক সময় নখ উঠে যায়।

মূলত এসব সমস্যা এড়াতে ছেঁড়া জুতা পরেন পেসাররা। অনেক সময় বুড়ো আঙুলে টেপ বেঁধে জুতা পরেন তারা। রউফ সেটাই করেছেন। সম্ভবত শুরুতে নতুন জুতা পরে বোলিং করছিলেন তিনি। ফলে নিজের মতো ‘মডিফাই’ করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তাই দ্রুত ডাগআউট থেকে তার পুরোনো জুতা জোড়া আনা হয়। এটি পরে তাকে বোলিংয়ে স্বস্তিতে দেখা যায়।

বাংলাদেশের বিপক্ষে মাত্র ৬ ওভার বোলিংয়ের সুযোগ পেয়েছেন রউফ। এতেই ৪ উইকেট তুলে নিয়ে টাইগারদের ব্যাটিং মেরুদণ্ড ভেঙে দিয়েছেন। এ জন্য মাত্র ১৯ রান খরচ করেছেন তিনি। জুতা বদলের পর রউফের বোলিংয়ে ধারও বাড়ে। তার বাঁ পায়ের পুরোনো জুতার বুড়ো আঙুলের জায়গায় ওই মাপেই ফুটো করা। এতে পায়ে খুব চাপ পড়লে আঙুল কোথাও ধাক্কা খায়নি।

বিশ্ব ক্রিকেটে অতীতেও অনেক পেসারকেই এমনটি করতে দেখা গেছে। পাকিস্তানের কিংবদন্তি পেসার ওয়াসিম আকরাম, ওয়াকার ইউনিস, শোয়েব আখতার, অস্ট্রেলিয়ার স্পিডস্টার ব্রেট লি, গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং ভারতীয় তারকা পেসার মোহাম্মদ শামিও মাঝে মধ্যে এই পথ বেছে নিতেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022