রাশিয়া থেকে গম কিনতে ব্যয় হবে ১০৩১ কোটি টাকা

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
রাশিয়া থেকে গম কিনতে ব্যয় হবে ১০৩১ কোটি টাকা
সংগৃহীত

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরাসহ সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার উদ্দেশ্যে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জি-টু-জি চুক্তির ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ৩১৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১০৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য সংগ্রহ সুসংহত রাখতে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও গম সংগ্রহ করে থাকে। আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে একাধিক উৎস থাকলে দ্রুত খাদ্যশস্য আমদানি করা সহজ হয় এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ মূল্যে খাদ্যশস্য ক্রয় করা সম্ভব হয়। এ কারণে খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বছর জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম সংগ্রহ করে থাকে।

চলতি অর্থবছরে গমের চাহিদা সরকারি পর্যায়ে ৯ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এখন পর্যন্ত গম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গম আমদানির প্রধান উৎস রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ, ভারত সরকার কর্তৃক গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গমের বাজারদরের উর্ধ্বগতি, অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে। তাই সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা, গমের বাজারমূল্য ভোক্তা সাধারণের জন্য সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখা এবং সর্বোপরি জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে অতি জরুরি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম রাশিয়া থেকে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ১৯ জুন রাশিয়ার ফরেন ইকোনমিক করপোরশন (এফইসি) গম সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দেয়। সেই চিঠি পর্যালোচনা করে দেশের চাহিদা বিবেচনায় এফইসির সঙ্গে ১৭ আগস্ট ভার্চুয়াল সভায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির চুক্তিনামা এবং মূল্য নিয়ে আলোচনা ও নেগোশিয়েশন শেষে রাশিয়া ৩ লাখ মেট্রিক টন গম প্রতি মেট্রিক টন সিআইএফ-এলও টার্মে ৩১৩ মার্কিন ডলার দরে আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং উভয় পক্ষ সভার সিদ্ধান্তপত্রে স্বাক্ষর করে।

সূত্র জানায়, রাশিয়া প্রতিনিধিদল লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার তারিখ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ১৫ দিন পর পর প্রতিটি জাহাজে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজে গম সরবরাহ করবে রাশিয়া।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমুদ্রপথে প্রতি মেট্রিক টন গমের মূল্য ৩১৩ মার্কিন ডলার যা খাদ্য অধিদপ্তরের বাজার দর যাচাই কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশ বন্দর পর্যন্ত ডিউটি পূর্ব সম্ভাব্য ৩১০ মার্কিন ডলার অপেক্ষা ২.৭৭ মার্কিন ডলার বেশি। তবে আন্তর্জাতিক খাদ্যশস্যের বাজারদরের ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শস্য চুক্তি নবায়ন না হওয়া, ভারত সরকার কর্তৃক গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গমের বাজারদরের উর্ধ্বগতি এবং অনিশ্চিয়তার কারণে পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম সচল রাখার স্বার্থে গম আমদানি অব্যাহত রাখা জরুরি হওয়ায় রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ মার্কিন ডলার দরে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সুপারিশ করেছে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। যা সর্বশেষ ক্রয়কৃত দরের চেয়ে প্রস্তাবিত দর প্রতি মেট্রিক টনে ৮.১৭ মার্কিন ডলার বেশি।

প্রস্তাবিত ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের জন্য প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ মার্কিন ডলার হিসেবে (প্রতি কেজি ৩৪.৪৩ টাকা) মোট ব্যয় হবে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলারে সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

রাশিয়া থেকে গম কিনতে ব্যয় হবে ১০৩১ কোটি টাকা

রাশিয়া থেকে গম কিনতে ব্যয় হবে ১০৩১ কোটি টাকা
সংগৃহীত

দেশের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরাসহ সরকারি বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখার উদ্দেশ্যে রাশিয়ান ফেডারেশন থেকে জি-টু-জি চুক্তির ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানি করবে খাদ্য মন্ত্রণালয়। প্রতি মেট্রিক টন গমের দাম ৩১৩ মার্কিন ডলার হিসেবে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানিতে বাংলাদেশি মুদ্রায় ব্যয় হবে ১০৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

সূত্র জানায়, খাদ্য মন্ত্রণালয় খাদ্য সংগ্রহ সুসংহত রাখতে অভ্যন্তরীণ সংগ্রহের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক উৎস থেকেও গম সংগ্রহ করে থাকে। আন্তর্জাতিক উৎস থেকে গম সংগ্রহের ক্ষেত্রে একাধিক উৎস থাকলে দ্রুত খাদ্যশস্য আমদানি করা সহজ হয় এবং প্রতিযোগিতাপূর্ণ মূল্যে খাদ্যশস্য ক্রয় করা সম্ভব হয়। এ কারণে খাদ্য মন্ত্রণালয় প্রতি বছর জি-টু-জি ভিত্তিতে এবং আন্তর্জাতিক উন্মুক্ত দরপত্রের মাধ্যমে গম সংগ্রহ করে থাকে।

চলতি অর্থবছরে গমের চাহিদা সরকারি পর্যায়ে ৯ লাখ ২২ হাজার মেট্রিক টন। এর মধ্যে অভ্যন্তরীণ উৎস থেকে এখন পর্যন্ত গম সংগ্রহ করা সম্ভব হয়নি। এছাড়া আন্তর্জাতিক দরপত্রের মাধ্যমে ১ লাখ মেট্রিক টন গম সংগ্রহের কার্যক্রম চলমান রয়েছে। গম আমদানির প্রধান উৎস রাশিয়া ও ইউক্রেন যুদ্ধ, ভারত সরকার কর্তৃক গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গমের বাজারদরের উর্ধ্বগতি, অস্থিরতা এবং অনিশ্চয়তা দেখা যাচ্ছে। তাই সরকারি খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা সচল রাখা, গমের বাজারমূল্য ভোক্তা সাধারণের জন্য সহনীয় ও স্থিতিশীল রাখা এবং সর্বোপরি জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করার স্বার্থে অতি জরুরি ভিত্তিতে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম রাশিয়া থেকে আমদানির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।

সূত্র জানায়, গত ১৯ জুন রাশিয়ার ফরেন ইকোনমিক করপোরশন (এফইসি) গম সরবরাহের আগ্রহ প্রকাশ করে বাংলাদেশ সরকারের কাছে চিঠি দেয়। সেই চিঠি পর্যালোচনা করে দেশের চাহিদা বিবেচনায় এফইসির সঙ্গে ১৭ আগস্ট ভার্চুয়াল সভায় জি-টু-জি পদ্ধতিতে গম আমদানির চুক্তিনামা এবং মূল্য নিয়ে আলোচনা ও নেগোশিয়েশন শেষে রাশিয়া ৩ লাখ মেট্রিক টন গম প্রতি মেট্রিক টন সিআইএফ-এলও টার্মে ৩১৩ মার্কিন ডলার দরে আমদানির বিষয়ে চূড়ান্ত সমঝোতা হয় এবং উভয় পক্ষ সভার সিদ্ধান্তপত্রে স্বাক্ষর করে।

সূত্র জানায়, রাশিয়া প্রতিনিধিদল লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) খোলার তারিখ থেকে ১২০ দিনের মধ্যে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম সরবরাহ করতে সম্মত হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রতি ১৫ দিন পর পর প্রতিটি জাহাজে ৫০ হাজার মেট্রিক টন ধারন ক্ষমতা সম্পন্ন জাহাজে গম সরবরাহ করবে রাশিয়া।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের ক্ষেত্রে সমুদ্রপথে প্রতি মেট্রিক টন গমের মূল্য ৩১৩ মার্কিন ডলার যা খাদ্য অধিদপ্তরের বাজার দর যাচাই কমিটি কর্তৃক বাংলাদেশ বন্দর পর্যন্ত ডিউটি পূর্ব সম্ভাব্য ৩১০ মার্কিন ডলার অপেক্ষা ২.৭৭ মার্কিন ডলার বেশি। তবে আন্তর্জাতিক খাদ্যশস্যের বাজারদরের ক্রমবর্ধমান অস্থিতিশীলতা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার শস্য চুক্তি নবায়ন না হওয়া, ভারত সরকার কর্তৃক গম রপ্তানিতে নিষেধাজ্ঞা আরোপের প্রেক্ষিতে বিশ্বব্যাপী গমের বাজারদরের উর্ধ্বগতি এবং অনিশ্চিয়তার কারণে পাবলিক ফুড ডিস্ট্রিবিউশন সিস্টেম সচল রাখার স্বার্থে গম আমদানি অব্যাহত রাখা জরুরি হওয়ায় রাশিয়া থেকে সমুদ্রপথে প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ মার্কিন ডলার দরে ৩ লাখ মেট্রিক টন গম আমদানির সুপারিশ করেছে দরপত্র মূল্যায়ন কমিটি। যা সর্বশেষ ক্রয়কৃত দরের চেয়ে প্রস্তাবিত দর প্রতি মেট্রিক টনে ৮.১৭ মার্কিন ডলার বেশি।

প্রস্তাবিত ৩ লাখ মেট্রিক টন গম ক্রয়ের জন্য প্রতি মেট্রিক টন ৩১৩ মার্কিন ডলার হিসেবে (প্রতি কেজি ৩৪.৪৩ টাকা) মোট ব্যয় হবে ৯ কোটি ৩৯ লাখ ডলারে সমপরিমাণ বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০৩২ কোটি ৯০ লাখ টাকা।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022