এশিয়া কাপ থেকে আগেই বিদায় নিশ্চিত হয়েছে বাংলাদেশ। তাই ভারতের বিপক্ষে নিয়মরক্ষার ম্যাচে বেশ কয়েকটি পরিবর্তন নিয়ে মাঠে নেমেছে টাইগাররা। কিন্তু ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই বিপর্যয়ে পড়েছিল টাইগাররা। তবে অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও তাওহিদ হৃদয়ের পর লোয়ার অর্ডারে নাসুম আহমেদ ও শেখ মেহেদির ক্যামিও ইনিংসে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ পেয়েছে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা।
প্রথমে ব্যাটিংয়ে নেমে দলীয় ২৮ রানের মধ্যেই টপ অর্ডারের ৩ ব্যাটারকে হারিয়ে ফেলেছিল বাংলাদেশ। তবে সাকিবের ৮০, হৃদয় ৫৪, নাসুম ৪৪ ও শেখ মাহেদির অপরাজিত ২৯ রানে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ২৬৫ রান করে টাইগাররা। ফলে জয়ের জন্য ভারতের দরকার ২৬৬ রান।
শুক্রবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কলম্বোর আর. প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে এশিয়া কাপের সুপার ফোরের শেষ ম্যাচে টস হেরে প্রথমে ব্যাটিংয়ে নামে বাংলাদেশ। ওপেনিং ব্যাট করতে নামেন লিটন দাস ও তানজিদ হাসান তামিম। কিন্তু নিয়মরক্ষার ম্যাচেও ব্যর্থ হন বাংলাদেশের ব্যাটাররা। দলীয় ১৫ রানের মধ্যেই দুজনকেই বিদায় করেন ভারতীয় বোলাররা।
ইনিংসের তৃতীয় ওভারেই লিটনকে হারিয়ে ফেলে বাংলাদেশ। রানের খাতা খোলার আগেই ভারতীয় পেসার মোহাম্মদ শামির শিকার হন তিনি। ডানহাতি এই পেসারের বলে বোল্ড হয়ে সাজঘরে ফেরেন লিটন। পরের ওভারে শার্দুল ঠাকুরের দুর্দান্ত এক ডেলিভারিতে বোল্ড হন অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপজয়ী ওপেনার জুনিয়র তামিম। মাঠ ছাড়ার আগে ১২ বলে খেলেন ১৩ রানের ইনিংস।
লম্বা সময় পর জাতীয় দলে ফিরেও কাজে লাগাতে ব্যর্থ হন আনামুল হক বিজয়। শার্দুল ঠাকুরের দ্বিতীয় শিকার বনে ১১ বলে ৪ রান করে বিদায় নিতে হয় তাকে। এতে করে ষষ্ঠ ওভারের ভেতরই ২৮ রান তুলতেই টপ অর্ডারের তিন উইকেট হারিয়ে বিপর্যয়ে পড়ে লাল সবুজের প্রতিনিধিরা। এরপর অধিনায়ক সাকিব ও মিরাজের ব্যাটে প্রাথমিক চাপ সামাল দেয় টাইগাররা।
দশম ওভারে শার্দুল ঠাকুরের ফুললেংথের বলে মিডউইকেটে থাকা অভিষিক্ত তিলক ভার্মা সহজ ক্যাচ মিস করেন। একই ওভারে আবার সুযোগ পান মিরাজ। এবার অফ স্টাম্পের বাইরের লেংথ বলে দ্বিতীয় স্লিপে থাকা সূর্যকুমার বলের নাগাল পেলেও তালুবন্ধি করতে পারেননি। তবে ৩ ও ৫ রানে দুইবার জীবন পেয়েও ইনিংস বড় করতে পারেননি মিরাজ।