হাসি-কান্নায় গবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায়

মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম ক্যাম্পাস প্রতিনিধি, গবি
হাসি-কান্নায় গবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায়

একদিকে পুরনোদের অশ্রুসিক্ত বিদায় অন্যদিকে হাস্যোজ্জ্বল নবীনেরা। আনন্দ আর অশ্রুর মধ্যে দিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ বরণ করে নিল নতুনদের আর বিদায় জানাল পুরনো শিক্ষার্থীদের।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ব্লকের নিচ তলা জুড়ে অসাধারণ এমনই আবেগঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ২৮তম ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিদায় জানানো হয় স্নাতক পর্যায়ের বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা সুলতানার সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার সুজন মিয়া। এসময় তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি শুভেচ্ছা নিবেদন করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই-২৩ সেশনের ২৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। তারপর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, বিভিন্ন শিক্ষকমণ্ডলী ও অতিথিবৃন্দের শুভেচ্ছা বক্তব্যের এক পর্যায়ে ২০২০-২১ সেশনের ২১তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মারক প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের কৃতী শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে চলমান ও প্রতিষ্ঠিত আখ্যায়িত করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মুক্তাঙ্গন। এখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম – লাইব্রেরী অথবা বিভিন্ন ধরনের খারাপ আড্ডারও একটি বেছে নিতে পারে।’ তবে শিক্ষার্থীদের জীবনের পথ সুগম হতে ও সামনে ভবিষ্যতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে অবশ্যই ভালো পথ বেছে নিতে হবে বলে নবীন এবং বিদায়ীদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা সুলতানা বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার এই বিভাগ চালু করেছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য। নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তিনি তুলে ধরেন। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ, সহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হাসি-কান্নায় গবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায়

হাসি-কান্নায় গবির সমাজবিজ্ঞান বিভাগের নবীনবরণ ও বিদায়

একদিকে পুরনোদের অশ্রুসিক্ত বিদায় অন্যদিকে হাস্যোজ্জ্বল নবীনেরা। আনন্দ আর অশ্রুর মধ্যে দিয়ে গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের (গবি) সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগ বরণ করে নিল নতুনদের আর বিদায় জানাল পুরনো শিক্ষার্থীদের।

রবিবার (১৩ সেপ্টেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের সি-ব্লকের নিচ তলা জুড়ে অসাধারণ এমনই আবেগঘন পরিবেশের মধ্যে দিয়ে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ২৮তম ব্যাচকে আনুষ্ঠানিকভাবে বরণ করে নেওয়া হয়। একই অনুষ্ঠানে বিদায় জানানো হয় স্নাতক পর্যায়ের বিভাগের ২১তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের।

সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা সুলতানার সভাপতিত্ত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য রাখেন বিভাগের সিনিয়র লেকচারার সুজন মিয়া। এসময় তিনি অনুষ্ঠানে আগত সকল অতিথি, শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীদের প্রতি শুভেচ্ছা নিবেদন করেন। এরপর অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ আনুষ্ঠানিকভাবে জুলাই-২৩ সেশনের ২৮ তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করেন। তারপর বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বক্তব্য, বিভিন্ন শিক্ষকমণ্ডলী ও অতিথিবৃন্দের শুভেচ্ছা বক্তব্যের এক পর্যায়ে ২০২০-২১ সেশনের ২১তম ব্যাচের বিদায়ী শিক্ষার্থীদের স্মারক প্রদান করেন অতিথিবৃন্দ। এসময় সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের কৃতী শিক্ষার্থী ও খেলোয়াড়দের সম্মাননা স্মারক ও পুরষ্কার তুলে দেন অতিথিবৃন্দ।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ আবুল হোসেন গণ বিশ্ববিদ্যালয়কে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে চলমান ও প্রতিষ্ঠিত আখ্যায়িত করে বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়কে বলা হয় মুক্তাঙ্গন। এখানে শিক্ষার্থীরা ক্লাসরুম – লাইব্রেরী অথবা বিভিন্ন ধরনের খারাপ আড্ডারও একটি বেছে নিতে পারে।’ তবে শিক্ষার্থীদের জীবনের পথ সুগম হতে ও সামনে ভবিষ্যতে দেশের জন্য ভূমিকা রাখতে অবশ্যই ভালো পথ বেছে নিতে হবে বলে নবীন এবং বিদায়ীদের প্রতি আহবান জানান।

সভাপতির বক্তব্যে সমাজবিজ্ঞান ও সমাজকর্ম বিভাগের ভারপ্রাপ্ত বিভাগীয় প্রধান ও সহকারী অধ্যাপক তাহমিনা সুলতানা বলেন, ‘ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী স্যার এই বিভাগ চালু করেছেন সমাজের পিছিয়ে পড়া মানুষের জন্য। নবীন শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দিকনির্দেশনা তিনি তুলে ধরেন। বিদায়ী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন সমাজের উন্নয়নের জন্য কাজ করার তাগিদ দিয়েছেন।’

এসময় উপস্থিত ছিলেন, কলা ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ভারপ্রাপ্ত ডিন অধ্যাপক ড. জহিরুল ইসলাম খান, কৃষি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. ফজলুল করিম, রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ এস তাসাদ্দেক আহমেদ, সহ বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধান, শিক্ষক-শিক্ষিকা, ছাত্র-ছাত্রী এবং অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারি উপস্থিত ছিলেন।

পরে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে দিন ব্যাপী এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: ১৮/৩, ব্লক-এফ, রিং রোড, মোহাম্মদপুর, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান। লাইসেন্স নং : TRAD/DNCC/154868/2022