হিমাগারের ঋণে বিশেষ পুনঃতফসিলের আবেদনের সময় বাড়ল

ন্যাশনাল ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
হিমাগারের ঋণে বিশেষ পুনঃতফসিলের আবেদনের সময় বাড়ল
বাংলাদেশ ব্যাংক

কৃষিভিত্তিক কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগারগুলোর বকেয়া ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপি হোক না হোক, সব ঋণ পরিশোধে ১ বছরের বিরতিসহ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল সুবিধা পাবে এসব প্রতিষ্ঠান। বিশেষ এই সুবিধার আবেদনের সময় আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী আবেদনের সময় ১০ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিভিন্ন কারণে এ খাতের বেশিরভাগ গ্রাহক বিশেষ এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেনি। তাই কৃষিভিত্তিক হিমাগার শিল্পখাতের গ্রাহকদের ডাউন পেমেন্ট বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ নগদে জমা দিয়ে অর্থায়নকারী ব্যাংকের আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। এছাড়া চলতি বছরের ১৩ জুলাই জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

আগের নির্দেশনায় বলা হয়, ৩০ জুন পর্যন্ত হিমাগারগুলোর বকেয়া ঋণের সুদ ও আসলের জন্য পৃথক দুটি হিসাব সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে সুদের অংশে নতুন সুদ যোগ করা যাবে না। তবে বকেয়া ঋণের আসল অংশে প্রচলিত হারে সুদ আরোপসহ ১০ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। প্রথম বছর ঋণ পরিশোধে বিরতি শেষে প্রথমে ঋণের আসল অংশ আদায় করতে হবে, পরে সুদবিহীন হিসাবের সুদ আদায় করতে হবে। তবে গ্রাহক চাইলে ঋণ পরিশোধে বিরতির সময় ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারবেন।

গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো এ ঋণ পুনঃতফসিল এবং এর আগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে বকেয়া সুদ মওকুফে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে দেশব্যাপী কৃষিভিত্তিক হিমাগার বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সুবিধা দিয়েছে। এর আগে হিমাগার খাতের জন্য বিভিন্ন নীতিমালার আওতায় ঋণ পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিল বা সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়েও যেসব হিমাগার পুনরায় ঋণখেলাপি হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানও পুনঃতফসিলের সুবিধা পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, হিমাগারের ঋণ পুনঃতফসিল করা হলেও ওই ঋণের বিপরীতে রক্ষিত নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। প্রকৃত আদায় ব্যতিরেকে ওই নিরাপত্তা সঞ্চিতি আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসল ও সুদ বাবদ পাওনা অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হলে যথানিয়মে ঋণ শ্রেণিকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংক আইনানুযায়ী ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।কিস্তি নির্ধারণ হবে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে, অর্থাৎ বছরে সর্বোচ্চ দুটি।

ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো এ নীতিমালা মেনে বিনিয়োগ হিসাব পুনঃতফসিলের মাধ্যমে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের আলোকে সুবিধা গ্রহণের সময় আলোচনার ভিত্তিতে চলমান মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে।

এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহকদের নগদে এককালীন অর্থ জমা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। নতুন নির্দেশনায় এ সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ঋণগ্রহীতার আবেদন পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হিমাগারের ঋণে বিশেষ পুনঃতফসিলের আবেদনের সময় বাড়ল

হিমাগারের ঋণে বিশেষ পুনঃতফসিলের আবেদনের সময় বাড়ল
বাংলাদেশ ব্যাংক

কৃষিভিত্তিক কোল্ড স্টোরেজ বা হিমাগারগুলোর বকেয়া ঋণ পরিশোধে বিশেষ সুবিধা দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খেলাপি হোক না হোক, সব ঋণ পরিশোধে ১ বছরের বিরতিসহ ১০ বছরের জন্য পুনঃতফসিল সুবিধা পাবে এসব প্রতিষ্ঠান। বিশেষ এই সুবিধার আবেদনের সময় আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আগের ঘোষণা অনুযায়ী আবেদনের সময় ১০ অক্টোবর শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।

সোমবার (৯ অক্টোবর) বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত একটি সার্কুলার জারি করে সব ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালকদের কাছে পাঠিয়েছে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, বিভিন্ন কারণে এ খাতের বেশিরভাগ গ্রাহক বিশেষ এই সুবিধার জন্য আবেদন করতে পারেনি। তাই কৃষিভিত্তিক হিমাগার শিল্পখাতের গ্রাহকদের ডাউন পেমেন্ট বাবদ প্রয়োজনীয় অর্থ নগদে জমা দিয়ে অর্থায়নকারী ব্যাংকের আগামী ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবে। এছাড়া চলতি বছরের ১৩ জুলাই জারি করা এ সংক্রান্ত সার্কুলারের অন্যান্য নির্দেশনা অপরিবর্তিত থাকবে।

আগের নির্দেশনায় বলা হয়, ৩০ জুন পর্যন্ত হিমাগারগুলোর বকেয়া ঋণের সুদ ও আসলের জন্য পৃথক দুটি হিসাব সৃষ্টি করতে হবে, যেখানে সুদের অংশে নতুন সুদ যোগ করা যাবে না। তবে বকেয়া ঋণের আসল অংশে প্রচলিত হারে সুদ আরোপসহ ১০ বছর মেয়াদে পুনঃতফসিল করা যাবে। প্রথম বছর ঋণ পরিশোধে বিরতি শেষে প্রথমে ঋণের আসল অংশ আদায় করতে হবে, পরে সুদবিহীন হিসাবের সুদ আদায় করতে হবে। তবে গ্রাহক চাইলে ঋণ পরিশোধে বিরতির সময় ঋণের অর্থ ফেরত দিতে পারবেন।

গ্রাহক-ব্যাংক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাংকগুলো এ ঋণ পুনঃতফসিল এবং এর আগের প্রজ্ঞাপনের আলোকে বকেয়া সুদ মওকুফে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ সিদ্ধান্ত নিতে পারবে। ক্ষুদ্র ও মাঝারি কৃষকের ফসলের ন্যায্য দাম নিশ্চিতে দেশব্যাপী কৃষিভিত্তিক হিমাগার বাড়াতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এ সুবিধা দিয়েছে। এর আগে হিমাগার খাতের জন্য বিভিন্ন নীতিমালার আওতায় ঋণ পুনর্গঠন বা পুনঃতফসিল বা সুদ মওকুফ সুবিধা নিয়েও যেসব হিমাগার পুনরায় ঋণখেলাপি হয়েছে, সেসব প্রতিষ্ঠানও পুনঃতফসিলের সুবিধা পাবে।

বাংলাদেশ ব্যাংক জানায়, হিমাগারের ঋণ পুনঃতফসিল করা হলেও ওই ঋণের বিপরীতে রক্ষিত নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। প্রকৃত আদায় ব্যতিরেকে ওই নিরাপত্তা সঞ্চিতি আয় খাতে স্থানান্তর করা যাবে না। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে আসল ও সুদ বাবদ পাওনা অর্থ আদায়ে ব্যর্থ হলে যথানিয়মে ঋণ শ্রেণিকরণ ও নিরাপত্তা সঞ্চিতি সংরক্ষণ করতে হবে। পাশাপাশি ব্যাংক আইনানুযায়ী ঋণ আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।কিস্তি নির্ধারণ হবে ষাণ্মাসিক ভিত্তিতে, অর্থাৎ বছরে সর্বোচ্চ দুটি।

ইসলামি শরিয়াহ ভিত্তিতে পরিচালিত ব্যাংকগুলো এ নীতিমালা মেনে বিনিয়োগ হিসাব পুনঃতফসিলের মাধ্যমে আদায়ের ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারবে বলে বাংলাদেশ ব্যাংক জানিয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রজ্ঞাপনের আলোকে সুবিধা গ্রহণের সময় আলোচনার ভিত্তিতে চলমান মামলাগুলো নিষ্পত্তি করা যাবে।

এ প্রজ্ঞাপনের আওতায় পুনঃতফসিল সুবিধা গ্রহণে ইচ্ছুক গ্রাহকদের নগদে এককালীন অর্থ জমা দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির ৯০ দিনের মধ্যে সংশ্লিষ্ট ব্যাংকের কাছে আবেদন করতে হবে। নতুন নির্দেশনায় এ সময় ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। তবে ঋণগ্রহীতার আবেদন পাওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আবেদন নিষ্পত্তি করতে বলা হয়েছে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।