বাংলাদেশের দিনাজপুর জেলার বড়পুকুরিয়া গ্রামে অবস্থিত ‘হারানো মসজিদ’। মসজিদটি বাংলায় মুঘল সাম্রাজ্যের শাসনামলে ১৮ শতকের প্রথম দিকে নির্মিত হয়েছিল বলে মনে করা হয়।
স্থানীয়রা জানান, মসজিদটি আমিরুদ্দিন নামে একজন ধনী বণিক তার মায়ের সম্মানে নির্মাণ করেছিলেন, যিনি এই এলাকায় একটি মসজিদ নির্মাণের স্বপ্ন দেখেছিলেন। তার নামে মসজিদটির নামকরণ করা হয় এবং এটি গ্রামবাসীদের কাছে একটি জনপ্রিয় উপাসনালয় হয়ে ওঠে।
মসজিদটি পরিত্যক্ত হয়েছিল এবং বছরের পর বছর ধরে বেকায়দায় পড়েছিল। এটি শেষ পর্যন্ত জঙ্গলে হারিয়ে যায় এবং গাছপালা এবং ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে যায় এবং এটি ২০০ বছরেরও বেশি সময় ধরে লুকিয়ে থাকে।
২০১০ সালে, প্রত্নতাত্ত্বিক এবং ঐতিহাসিকদের একটি দল এলাকাটি খনন করার সময় মসজিদটি আবিষ্কার করে। তারা মসজিদের ধ্বংসাবশেষ মাটি ও গাছপালার নিচে চাপা পড়ে থাকতে দেখেন এবং সাবধানে খনন ও পুনরুদ্ধারের কাজ শেষে মসজিদটি তার পূর্বের গৌরবে পুনরুদ্ধার করা হয়। বর্তমানে, হারানো মসজিদ দিনাজপুর জেলার একটি জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র এবং এটি এলাকার সমৃদ্ধ ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রতীক হিসেবে কাজ করে।