যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব

যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব
যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব

যানজট যা এক দুঃসহ যন্ত্রণার নাম। কর্মব্যস্ত জীবনের প্রতিদিনই প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি এবং প্রায়ই ৭ ঘন্টার মতো সময় অপচয় হয়। যানজট নিরসনে সরকার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করার পরেও ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় রিক্সা চলাচল বন্ধ , ফুটওভার ব্রিজ বানানো সহ আরও নানা উদ্যোগ। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ঠিক কতটা দায়িত্ব পালন করছি একটা প্রশ্ন রয়ে যায়।

যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব:

১) রাস্তার আইন মেনে চলা।

২) ফুটপাত দখল করা।

৩)যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক না করা।

৪) দ্রুত যাওয়ার প্রতিযোগীতা কমানো।

৫) ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি মেনে চলা।

৬) যানজট নিরসনে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন মেনে চলা।

৭) গাড়ির চালককে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।

৮) যত্রতত্র গাড়ী পার্ক করা ও গাড়ি ঘোরানো থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে হবে।

৯) ফুটপাত দখল করে রাস্তা সঙ্কীর্ণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১০) রিক্সা ,প্রাইভেট কার এর পরিবর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হবে। ইত্যাদি

রাজধানী ঢাকাকে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তুলতে নাগরিককে সচেতন করার পাশাপাশি সুদূরপ্রসারী ও সমন্বিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি।

বহিঃবিশ্বের দেশ গুলোর ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পারি যেমন: চীন প্রতিবছর তার অলিম্পিক আসরের সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এর জন্য যানবাহন কে জোড় ও বিজোড় নাম্বারে ভাগ করে দেয়।

এক দিন যেমন জোড় সংখ্যার গাড়িগুলো রাস্তায় চলার অনুমতি পেয়েছে তো পরদিন বেজোড় সংখ্যার গাড়িগুলো।

একইভাবে ঢাকা মহানগরীর যানজট, পার্কিং সমস্যা, পরিবেশ দূষণ, নীতিমালা প্রণয়ন, অবৈধ পার্কিং এর জন্য জরিমানা আদায়, অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করা, সর্বত্র জায়গা ও সময়ের মূল্যানুসারে পার্কিং ফি নেয়া।

শুধুমাত্র চীন নয় পাশাপাশি সৌদি আরব, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া সহ আরও অনেক দেশ তাদের যানজট সমস্যা মোকাবেলা করেছে।

সম্প্রতি এক রিপোর্ট এ দেখা যায়, ঢাকা শহরে মোট রাস্তার ৫৪.২ শতাংশ জায়গা দখলে রাখে প্রাইভেট কার।

প্রাইভেট কার এর এই সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কি? এস টি পি (স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট রিপোর্ট ) অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকায় কম -বেশি ১৫ ভাগ মানুষ প্রাইভেট কার ব্যবহার করে। প্রাইভেট কার এর ব্যবহার কমানোর জন্য জনগণকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে যেন জনগণ প্রাইভেট কার এর উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পাবলে ট্রান্সপোর্ট কে ট্রান্সপোর্ট মোড হিসেবে বেছে নেয়।

সর্বোপরি, ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য ট্রান্সপোর্ট ডিমান্ড কে এমনভাবে ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে যেন যানজটকে সহজে নিরসন করা যায়। এইক্ষেত্রে সরকার এর পাশাপাশি জনগণকে তার দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব

যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব
যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব

যানজট যা এক দুঃসহ যন্ত্রণার নাম। কর্মব্যস্ত জীবনের প্রতিদিনই প্রায় ১০০ কোটি টাকার মতো আর্থিক ক্ষতি এবং প্রায়ই ৭ ঘন্টার মতো সময় অপচয় হয়। যানজট নিরসনে সরকার ও উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করার পরেও ঢাকা মহানগরীর যানজট নিরসন হচ্ছে। বিভিন্ন রাস্তায় রিক্সা চলাচল বন্ধ , ফুটওভার ব্রিজ বানানো সহ আরও নানা উদ্যোগ। কিন্তু দেশের নাগরিক হিসেবে আমরা ঠিক কতটা দায়িত্ব পালন করছি একটা প্রশ্ন রয়ে যায়।

যানজট নিরসনে নাগরিকের দায়িত্ব:

১) রাস্তার আইন মেনে চলা।

২) ফুটপাত দখল করা।

৩)যেখানে সেখানে গাড়ি পার্ক না করা।

৪) দ্রুত যাওয়ার প্রতিযোগীতা কমানো।

৫) ট্রাফিক সিগন্যাল বাতি মেনে চলা।

৬) যানজট নিরসনে সরকার কর্তৃক প্রণীত আইন মেনে চলা।

৭) গাড়ির চালককে ট্রাফিক আইন মেনে চলতে বাধ্য করতে হবে।

৮) যত্রতত্র গাড়ী পার্ক করা ও গাড়ি ঘোরানো থেকে বিরত থাকতে বাধ্য করতে হবে।

৯) ফুটপাত দখল করে রাস্তা সঙ্কীর্ণ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

১০) রিক্সা ,প্রাইভেট কার এর পরিবর্তে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবহার করতে হবে। ইত্যাদি

রাজধানী ঢাকাকে বসবাসের যোগ্য করে গড়ে তুলতে নাগরিককে সচেতন করার পাশাপাশি সুদূরপ্রসারী ও সমন্বিত মহাপরিকল্পনা গ্রহণ ও বাস্তবায়ন জরুরি।

বহিঃবিশ্বের দেশ গুলোর ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থার দিকে তাকালে আমরা দেখতে পারি যেমন: চীন প্রতিবছর তার অলিম্পিক আসরের সময় ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ এর জন্য যানবাহন কে জোড় ও বিজোড় নাম্বারে ভাগ করে দেয়।

এক দিন যেমন জোড় সংখ্যার গাড়িগুলো রাস্তায় চলার অনুমতি পেয়েছে তো পরদিন বেজোড় সংখ্যার গাড়িগুলো।

একইভাবে ঢাকা মহানগরীর যানজট, পার্কিং সমস্যা, পরিবেশ দূষণ, নীতিমালা প্রণয়ন, অবৈধ পার্কিং এর জন্য জরিমানা আদায়, অবৈধ পার্কিংয়ের জন্য জরিমানার ব্যবস্থা করা, সর্বত্র জায়গা ও সময়ের মূল্যানুসারে পার্কিং ফি নেয়া।

শুধুমাত্র চীন নয় পাশাপাশি সৌদি আরব, ফিলিপাইন, অস্ট্রেলিয়া সহ আরও অনেক দেশ তাদের যানজট সমস্যা মোকাবেলা করেছে।

সম্প্রতি এক রিপোর্ট এ দেখা যায়, ঢাকা শহরে মোট রাস্তার ৫৪.২ শতাংশ জায়গা দখলে রাখে প্রাইভেট কার।

প্রাইভেট কার এর এই সংখ্যা বৃদ্ধির কারণ কি? এস টি পি (স্ট্র্যাটেজিক ট্রান্সপোর্ট রিপোর্ট ) অনুযায়ী বর্তমানে ঢাকায় কম -বেশি ১৫ ভাগ মানুষ প্রাইভেট কার ব্যবহার করে। প্রাইভেট কার এর ব্যবহার কমানোর জন্য জনগণকে পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ব্যবস্থাকে উন্নত করতে হবে যেন জনগণ প্রাইভেট কার এর উপর নির্ভরশীলতা কমিয়ে পাবলে ট্রান্সপোর্ট কে ট্রান্সপোর্ট মোড হিসেবে বেছে নেয়।

সর্বোপরি, ঢাকার যানজট নিরসনের জন্য ট্রান্সপোর্ট ডিমান্ড কে এমনভাবে ডিস্ট্রিবিউট করতে হবে যেন যানজটকে সহজে নিরসন করা যায়। এইক্ষেত্রে সরকার এর পাশাপাশি জনগণকে তার দায়িত্ব পালনে এগিয়ে আসতে হবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।