হঠাৎ কানে কম শুনলে করণীয়

হঠাৎ কানে কম শুনলে করণীয়
হঠাৎ কানে কম শুনলে করণীয়

কানে কম শোনার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই । আবার কানে কম শোনা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এখন একটি প্রচলিত সমস্যা। এ সমস্যার সুদূরপ্রসারী কিছু প্রভাব রয়েছে। হঠাৎ করে কানে কম শোনা কিংবা উচ্চ বা নিম্ন কম্পাংকের হতে পারে এবং এর ফলে কথা বুঝতে পারার ক্ষমতাও কমে যায়। এছাড়া মাথা ঝিম ঝিম করা, ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

কানে কম শোনার সমস্যা হতে পারে এক বা উভয় কানেই । এর সাথে সাথে কানে শব্দ হওয়ার সমস্যাও হতে পারে। অনেকসময় ঘুম থেকে উঠেই হয়ত কানে না শোনার অভিজ্ঞতা হতে পারে যা হয়ত রাতে ঘুমানোর সময় ছিল না। অথবা কয়েকদিন যাবত কানে কম শোনার অভিজ্ঞতাও হতে পারে। তবে সময় মতো সেগুলো নির্ণয় করা গেলে তাও নিরাময়যোগ্য।
কানে কম শুনলে করণীয় কি?

হঠাৎ করে কানে কম শোনার সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।এই ক্ষেত্রে যত দ্রুত আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। কিন্তু দ্রুত শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রবণ ক্ষমতা ফিরে আসে। আবার অন্য গবেষণায় বলা হয় যে, করটিকোস্টেরয়েড ওষুধ গ্রহণ করলে উপকারিতা পাওয়া যায়। অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই হতে হবে।

ব্যাপক শব্দদূষণ কিংবা ঠাণ্ডা-সর্দিতে অনেক সময়ই আমাদের দুই কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিছু নিরাপদ কিন্তু প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে যা কান বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তা হলো-

মুখ বন্ধ করুন এবং হাতের দুই আঙুলে নাক চেপে ধরুন। অর্থাৎ, এই অবস্থায় নাক বা মুখ নিয়ে কোনো বাতাস ঢুকছে বা প্রবেশও করছে না। এবার নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ার মতো করে চাপ দিন, কিন্তু নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস বের হতে দেবেন না। দেখবেন ‘পপ’ শব্দে বন্ধ কান খুলে গেছে। তবে খুব জোরে শ্বাস ছাড়ার মতো করে বাতাসের চাপ দেবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রথমবার কাজ না হলে কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন।

যে কানটি বন্ধ হয়ে আছে তা ওপরের দিকে রেখে কাত হয়ে শুতে হবে। অর্থাৎ অন্য কান বালিশে থাকবে। এবার একটা ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড খোলা কানে দিন। অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা হালকা গরম অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ের। এই তেলও একই পদ্ধতিতে নিতে হবে। যেটাই ব্যবহার করেন না কেন, তিন-পাঁচ ফোঁটা তরল কানে নিয়ে ৫-১০ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকবেন। এবার উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ, বন্ধ কান বালিশে দিয়ে শুয়ে থাকুন আরও কয়েক মিনিট। এ অবস্থায় কানের সব ময়লা নিয়ে বেরিয়ে আসবে অলিভ অয়েল কিংবা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড।

একটি পরিষ্কার কাপড় নিন। গরম পানিতে ভেজান। এবার কাপড়টা চিপে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এবার কাপড়টি বন্ধ কানের ওপর ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ময়লা বেরিয়ে আসা সুবিধা করতে বালিশে কাপড়টি রেখে তার ওপর কান চেপে শুয়ে থাকতে পারেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হঠাৎ কানে কম শুনলে করণীয়

হঠাৎ কানে কম শুনলে করণীয়
হঠাৎ কানে কম শুনলে করণীয়

কানে কম শোনার সমস্যায় ভোগেন অনেকেই । আবার কানে কম শোনা বাংলাদেশের প্রেক্ষিতে এখন একটি প্রচলিত সমস্যা। এ সমস্যার সুদূরপ্রসারী কিছু প্রভাব রয়েছে। হঠাৎ করে কানে কম শোনা কিংবা উচ্চ বা নিম্ন কম্পাংকের হতে পারে এবং এর ফলে কথা বুঝতে পারার ক্ষমতাও কমে যায়। এছাড়া মাথা ঝিম ঝিম করা, ভারসাম্যহীনতা দেখা দিতে পারে।

কানে কম শোনার সমস্যা হতে পারে এক বা উভয় কানেই । এর সাথে সাথে কানে শব্দ হওয়ার সমস্যাও হতে পারে। অনেকসময় ঘুম থেকে উঠেই হয়ত কানে না শোনার অভিজ্ঞতা হতে পারে যা হয়ত রাতে ঘুমানোর সময় ছিল না। অথবা কয়েকদিন যাবত কানে কম শোনার অভিজ্ঞতাও হতে পারে। তবে সময় মতো সেগুলো নির্ণয় করা গেলে তাও নিরাময়যোগ্য।
কানে কম শুনলে করণীয় কি?

হঠাৎ করে কানে কম শোনার সমস্যার ক্ষেত্রে অবশ্যই জরুরি ভিত্তিতে চিকিৎসার ব্যবস্থা করা উচিত।এই ক্ষেত্রে যত দ্রুত আপনি চিকিৎসকের কাছে যাবেন তত দ্রুত আরোগ্য লাভ করবেন। কিন্তু দ্রুত শ্রবণ ক্ষমতা কমে যাওয়ার নির্দিষ্ট কোনো চিকিৎসা নেই। তবে কিছু গবেষণায় পরামর্শ দেওয়া হয়েছে যে কোনো চিকিৎসা ছাড়াই স্বতঃস্ফূর্তভাবে শ্রবণ ক্ষমতা ফিরে আসে। আবার অন্য গবেষণায় বলা হয় যে, করটিকোস্টেরয়েড ওষুধ গ্রহণ করলে উপকারিতা পাওয়া যায়। অবশ্যই তা চিকিৎসকের পরামর্শক্রমেই হতে হবে।

ব্যাপক শব্দদূষণ কিংবা ঠাণ্ডা-সর্দিতে অনেক সময়ই আমাদের দুই কান বন্ধ হয়ে যেতে পারে। এই ক্ষেত্রে কিছু নিরাপদ কিন্তু প্রাকৃতিক কৌশল অবলম্বন করা যেতে পারে যা কান বন্ধ অবস্থা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। তা হলো-

মুখ বন্ধ করুন এবং হাতের দুই আঙুলে নাক চেপে ধরুন। অর্থাৎ, এই অবস্থায় নাক বা মুখ নিয়ে কোনো বাতাস ঢুকছে বা প্রবেশও করছে না। এবার নাক দিয়ে শ্বাস ছাড়ার মতো করে চাপ দিন, কিন্তু নাসারন্ধ্র দিয়ে বাতাস বের হতে দেবেন না। দেখবেন ‘পপ’ শব্দে বন্ধ কান খুলে গেছে। তবে খুব জোরে শ্বাস ছাড়ার মতো করে বাতাসের চাপ দেবেন না। এতে কানের পর্দা ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। প্রথমবার কাজ না হলে কয়েকবার চেষ্টা করতে পারেন।

যে কানটি বন্ধ হয়ে আছে তা ওপরের দিকে রেখে কাত হয়ে শুতে হবে। অর্থাৎ অন্য কান বালিশে থাকবে। এবার একটা ড্রপার দিয়ে কয়েক ফোঁটা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড খোলা কানে দিন। অথবা অলিভ অয়েলও ব্যবহার করতে পারেন। তবে তা হালকা গরম অবশ্যই সহনীয় পর্যায়ের। এই তেলও একই পদ্ধতিতে নিতে হবে। যেটাই ব্যবহার করেন না কেন, তিন-পাঁচ ফোঁটা তরল কানে নিয়ে ৫-১০ মিনিট একইভাবে শুয়ে থাকবেন। এবার উল্টো হয়ে শুয়ে পড়ুন। অর্থাৎ, বন্ধ কান বালিশে দিয়ে শুয়ে থাকুন আরও কয়েক মিনিট। এ অবস্থায় কানের সব ময়লা নিয়ে বেরিয়ে আসবে অলিভ অয়েল কিংবা হাইড্রোজেন পার-অক্সাইড।

একটি পরিষ্কার কাপড় নিন। গরম পানিতে ভেজান। এবার কাপড়টা চিপে পানি ঝরিয়ে ফেলুন। এবার কাপড়টি বন্ধ কানের ওপর ৫-১০ মিনিট রেখে দিন। ভেতরের ময়লা বেরিয়ে আসতে শুরু করবে। ময়লা বেরিয়ে আসা সুবিধা করতে বালিশে কাপড়টি রেখে তার ওপর কান চেপে শুয়ে থাকতে পারেন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।