সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার সদর ইউনিয়নের বীরদল গ্রামের বাসিন্দা শামীম আহমদের মেয়ে মুনতাহা। প্রতিদিনের মতো ৩ নভেম্বর সকালে প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে বেরিয়েছিল সে। কিন্তু সেদিন আর বাড়ি ফেরেনি। নিখোঁজের ঘটনা জানাজানি হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে শুরু হয়েছে তোলপাড়।
ছোট্ট শিশু মুনতাহার সন্ধান দাতাদের জন্য দেশ-বিদেশ থেকে পুরস্কার ঘোষণা করেছেন অনেকেই। তবে সাত দিন পার হলেও তার কোনো খোঁজ মেলেনি।
এদিকে, পরিবারের সদস্যদের সন্দেহ, মুনতাহাকে অপহরণ করা হয়ে থাকতে পারে। তবে কারও ওপর নির্দিষ্টভাবে সন্দেহ নেই তাদের।
মুনতাহার পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, গত ৩ নভেম্বর সকালে মেয়ে ও ছোট ছেলেকে নিয়ে স্থানীয় একটি মাদ্রাসার ওয়াজ মাহফিল থেকে বাড়ি ফেরেন শামীম আহমদ। এরপর মুনতাহা প্রতিবেশী শিশুদের সঙ্গে খেলতে যায়। বিকেল ৩টার দিকে তাকে খুঁজতে গিয়েও কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। খেলার সাথিরাও মুনতাহার বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি।
মুনতাহাকে পরিকল্পিতভাবে অপহরণ করা হয়েছে বলে মনে করছেন শামীম আহমদ। তিনি বলেন, “নিখোঁজের পরদিন কানাইঘাট থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছি। কিন্তু পুলিশ এখনও কোনো সন্ধান দিতে পারেনি।”
শামীম আহমদ বলেন, “মুনতাহাকে হারিয়ে পরিবারের লোকজন পাগলপ্রায়। তার মা বারবার মূর্ছা যাচ্ছেন।”
৯ নভেম্বর পুলিশ জানিয়েছে, মুনতাহার সন্ধানে তারা তৎপর রয়েছে।
এদিকে, মুনতাহার সন্ধান এবং “অপহরণকারীকে” ধরিয়ে দিতে পারলে এক লাখ টাকা পুরস্কার ঘোষণা করেছেন কয়েকজন প্রবাসী। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে তারা এ ঘোষণা দেন। এছাড়াও ফারমিস আক্তার নামের সিলেটের এক নারী সমাজকর্মী মুনতাহার সন্ধানদাতার জন্য একটি স্বর্ণের চেইন পুরস্কার ঘোষণা করেছেন।
এ বিষয়ে কানাইঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আব্দুল আউয়াল বলেন, “আজকেও (শনিবার) আমাদের একটি টিম এ নিয়ে কাজ করতে মাঠে নেমেছে। গোয়েন্দা পুলিশও কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যে সব থানাকে এ বিষয়ে অবগত করা হয়েছে। নিখোঁজের জিডির ওপর ভিত্তি করেই পুলিশ অনুসন্ধান চালাচ্ছে। পরিবার যদি অপহরণের অভিযোগ এনে আইনি পদক্ষেপ নেয়, তাহলে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”