মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস

স্পোর্টস ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস

অফিসিয়ালি বয়স ৩৯ ছুঁইছুঁই। বাস্তবে হয়তো আরও বেশি হতে পারে। যে কারণে পারফরম্যান্স নিম্নমুখী। ক্রীড়া বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন রিয়াদ। যে কারণে গত কয়েক বছর ধরে সমালোচনা তুঙ্গে।

সেই সমালোচনার কারণে গত মাসে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্টের ক্যারিয়ার সেরা ১৫০* রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে হঠাৎ করেই অবসর নেন।

তারপর থেকে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলছিল। কিন্তু পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা না থাকায় সমালোচনা তার পিছু ছাড়েনি। সেই সমালোচনার কারণেই গত মাসে টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেন।

এখন শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছেন। ওয়ানডেতেও তার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। আজকের ম্যাচ বাদ দিলে শেষ ৯ ম্যাচে নেই কোনো সেঞ্চুরি। মাত্র এক ম্যাচে করেছেন ৫৬ রান।

সোমবারের আগে শেষ ৪ ওয়ানডেতে ০, ১, ২ ও ৩ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের বিপক্ষে এই সিরিজে ২ ও ৩ রানে আউট হন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার।

টানা চার ম্যাচে শূন্য এক দুই ও তিন রানে আউট হওয়ার পরও টিম ম্যানেজমেন্ট আজ সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচে একাদশে রাখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।

টিম ম্যানেজমেন্টের এই আস্থার জবাব ভালোভাবেই দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এদিন দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে ৬ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ইনিংসের ৪০তম ওভারে ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডেতে ৭ম ইনিংস পর এটা তার ফিফটি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ ইনিংস পর ৬৩ বলে ফিফটি পেলেন রিয়াদ।

ফিফটির পর দলের স্কোর বাড়ানোর পাশাপাশি একটা সময়ে সেঞ্চুরির জন্যও লড়াই করেন রিয়াদ। কিন্তু শেষ দিকে মাংশ পেশিতে টান লাগে যে কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নিতে হয়েছে তাকে। তারপরও চেষ্টা করেছেন সেঞ্চুরির জন্য।

কিন্তু অল্পের জন্য সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে ডাবল রান নিতে গিয়ে রান আউট হওয়ার আগে ৯৮ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৮ রান করেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই তারকা ক্রিকেটার।

মাহমুদউল্লাহর অনবদ্য এই লড়াইয়ের কারণেই ৮ উইকেটে ২৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। অবশ্য ইনিংসের শুরুটা দারুণ ছিল।

বিনা উইকেটে ৫৩ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়।

৭২ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। পঞ্চম উইকেট ১৮৮ বল মোকাবেলা করে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এই দুই তারকার দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস

মাহমুদউল্লাহ রিয়াদের অবিশ্বাস্য এক ইনিংস

অফিসিয়ালি বয়স ৩৯ ছুঁইছুঁই। বাস্তবে হয়তো আরও বেশি হতে পারে। যে কারণে পারফরম্যান্স নিম্নমুখী। ক্রীড়া বিশ্লেষকদের অনেকেই বলছেন ব্যাটিংয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলেছেন রিয়াদ। যে কারণে গত কয়েক বছর ধরে সমালোচনা তুঙ্গে।

সেই সমালোচনার কারণে গত মাসে ভারত সফরে টি-টোয়েন্টি থেকে অবসর নেন। ২০২১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে টেস্টের ক্যারিয়ার সেরা ১৫০* রানের অনবদ্য ইনিংস খেলে হঠাৎ করেই অবসর নেন।

তারপর থেকে ওয়ানডে আর টি-টোয়েন্টি খেলছিল। কিন্তু পারফরম্যান্সে ধারাবাহিকতা না থাকায় সমালোচনা তার পিছু ছাড়েনি। সেই সমালোচনার কারণেই গত মাসে টি-টোয়েন্টি থেকে বিদায় নেন।

এখন শুধু ওয়ানডে ফরম্যাটে খেলে যাচ্ছেন। ওয়ানডেতেও তার পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা হারিয়ে ফেলেছেন। আজকের ম্যাচ বাদ দিলে শেষ ৯ ম্যাচে নেই কোনো সেঞ্চুরি। মাত্র এক ম্যাচে করেছেন ৫৬ রান।

সোমবারের আগে শেষ ৪ ওয়ানডেতে ০, ১, ২ ও ৩ রানে আউট হন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। আফগানিস্তানের মতো তুলনামূলক দুর্বল দলের বিপক্ষে এই সিরিজে ২ ও ৩ রানে আউট হন জাতীয় দলের এই তারকা ক্রিকেটার।

টানা চার ম্যাচে শূন্য এক দুই ও তিন রানে আউট হওয়ার পরও টিম ম্যানেজমেন্ট আজ সিরিজের অঘোষিত ফাইনাল ম্যাচে একাদশে রাখে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।

টিম ম্যানেজমেন্টের এই আস্থার জবাব ভালোভাবেই দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। এদিন দলের বিপর্যয়ের মুহূর্তে ৬ নম্বর পজিশনে ব্যাটিংয়ে নেমে ইনিংসের শুরু থেকেই বাড়তি দায়িত্বশীলতার পরিচয় দেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

ইনিংসের ৪০তম ওভারে ক্যারিয়ারের ২৯তম ফিফটি পূর্ণ করেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ওয়ানডেতে ৭ম ইনিংস পর এটা তার ফিফটি। তিন সংস্করণ মিলিয়ে ১৪ ইনিংস পর ৬৩ বলে ফিফটি পেলেন রিয়াদ।

ফিফটির পর দলের স্কোর বাড়ানোর পাশাপাশি একটা সময়ে সেঞ্চুরির জন্যও লড়াই করেন রিয়াদ। কিন্তু শেষ দিকে মাংশ পেশিতে টান লাগে যে কারণে খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে রান নিতে হয়েছে তাকে। তারপরও চেষ্টা করেছেন সেঞ্চুরির জন্য।

কিন্তু অল্পের জন্য সেই চেষ্টা ব্যর্থ হয়। মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্কের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করতে পারেননি রিয়াদ। ইনিংসের শেষ বলে ডাবল রান নিতে গিয়ে রান আউট হওয়ার আগে ৯৮ বলে ৭টি চার আর ৩টি ছক্কার সাহায্যে ৯৮ রান করেন জাতীয় দলের অভিজ্ঞ এই তারকা ক্রিকেটার।

মাহমুদউল্লাহর অনবদ্য এই লড়াইয়ের কারণেই ৮ উইকেটে ২৪৪ রান তুলতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ। অবশ্য ইনিংসের শুরুটা দারুণ ছিল।

বিনা উইকেটে ৫৩ রান করা বাংলাদেশ এরপর মাত্র ৫ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে কোণঠাসা হয়ে যায়।

৭২ রানে ৪ উইকেট পতনের পর দলের হাল ধরেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ ও মেহেদি হাসান মিরাজ। পঞ্চম উইকেট ১৮৮ বল মোকাবেলা করে ১৪৫ রানের জুটি গড়েন তারা। এই দুই তারকার দায়িত্বশীল পারফরম্যান্সে ভর করে চ্যালেঞ্জিং স্কোর গড়ে বাংলাদেশ।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।