রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের হাজারতম দিন পূর্তি ইউক্রেনের জন্য শুধু প্রতিরোধের নয়, টিকে থাকার এক দীর্ঘ সংগ্রামের স্মারক। এই দিনটি পশ্চিমা বিশ্বকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে আরও কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার তাগিদ দিয়েছে কিয়েভ। ইউক্রেনের এই লড়াই বিশ্ববাসীর কাছে ন্যায় ও সাহসিকতার উদাহরণ হয়ে থাকবে বলে অনেক ইউক্রেনীয় মনে করেন।
রাশিয়ার সর্বাত্মক আগ্রাসনের এক হাজারতম দিন পূর্ণ হওয়ার দিনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ইউরোপের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন, রাশিয়ার ওপর আরও চাপ বাড়ান। মঙ্গলবার (১৯ নভেম্বর) ইউরোপীয় পার্লামেন্টের বিশেষ অধিবেশনে তিনি এ কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে।
জেলেনস্কি বলেন, পুতিন যত বেশি সময় পাবেন, পরিস্থিতি ততই খারাপ হবে।
তিনি এমন সময় ভাষণ দিলেন যখন ইউক্রেন প্রথমবারের মতো মার্কিন সরবরাহকৃত দূরপাল্লার এটিএসিএএমএস ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার করে রাশিয়ার গভীরে আঘাত হেনেছে বলে বিভিন্ন খবরে দাবি করা হচ্ছে।
২০২২ সালের ২৪ ফেব্রুয়ারি শুরু হওয়া আগ্রাসনের এক হাজারতম দিন উপলক্ষে ইউরোপীয় পার্লামেন্টে জেলেনস্কি বলেন, পুতিন নিজ থেকে থামবেন না। তাকে ন্যায়সঙ্গত শান্তির পথে বাধ্য করতে হবে।
জেলেনস্কি আরও বলেন, রুশ সেনাদের সঙ্গে উত্তর কোরিয়ার সেনাদের মোতায়েন যুদ্ধ আরও তীব্র করার ইঙ্গিত দিচ্ছে।
তিনি ইউরোপীয় নেতাদের সতর্ক করে বলেন, কিছু নেতা যদি নির্বাচনের মতো স্বল্পমেয়াদি বিষয়ে বেশি মনোযোগী হন, তবে পুতিন এই যুদ্ধে জয়ী হওয়ার দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন।
এক হাজার দিনের যুদ্ধ: কঠিন সংগ্রামের চিত্র
ইউক্রেনের সেনাপ্রধান এক টেলিগ্রাম পোস্টে বলেন, আমাদের অস্তিত্বের জন্য কঠিন, জটিল ও তীব্র যুদ্ধের ১ হাজারতম দিন আমরা অতিক্রম করেছি। শত্রুকে ধ্বংস করার এই লড়াই চলছে ডনেস্কের জমাট বাঁধা পরিখা থেকে শুরু করে খেরসনের পোড়া প্রান্তরে।
তিনি আরও বলেন, হাজার রাত অন্ধকার থাকতে পারে, কিন্তু প্রত্যেক রাতের পর সূর্য ওঠে।