হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে?

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে?

ওজন কমাতে চান? কম খান আর ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করুন। তার সঙ্গে সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে লেবু ও মধু খান। তাহলেই দ্রুত মেদ কমে যাবে।

ওজন কমানো নিয়ে বেশিরভাগের ধারণা এমনটিই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের টিপস থেকে টোটকাও রয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কেউ বলেন, উষ্ণ পানীয়ে চুমুক দিলে মেদ ঝরে। কেউ বলেন, খেতে হবে একেবারে মেপে আর শরীরচর্চা তো অবশ্যই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্নকথা— বিষয়টি ঠিক এতটাও সহজ নয়।

অনেকেই বলেন উষ্ণ পানীয়ে চুমুক দিলে দ্রুত মেদ ঝরে। কথাটা একেবাই ভুল নয়। তবে ভারতের পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেছেন, তবে সতর্ক করছেন উষ্ণ নয়, পানীয় হতে হবে ঈষদুষ্ণ। তিনি বলেন, পানির সঙ্গে যে কোনো ধরনের লেবুর রস, আমলকী ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে বিপাক হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। কিন্তু দিনভর ঈষদুষ্ণ পানীয় খেলেই কাজ হবে, এমন কখনো নয়। এর সঙ্গে যথাযথ ডায়েট জরুরি।

আরেক পুষ্টিবিদ তনয়া খান্না বলেন, দৈনন্দিন জীবনে আরও অনেক বিষয় ওজন বশে রাখতে এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

ঘুম: নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে ঘুমও খুব জরুরি। ভালো ঘুমের সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্য, হজমসহ অনেক কিছুই যুক্ত। ঘুম ঠিক না হলে বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে, হজমের সমস্যা হবে, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। তার প্রভাবে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

খাবার: আপনার শরীরের ওজন ঝরাতে প্রোটিন খুব জরুরি। সকালের খাবার ভালো মানের প্রোটিন দিয়ে শুরু করা প্রয়োজন। ডিম, ভেজানো মুগ-কলাই জাতীয় খাবার তালিকায় থাকা জরুরি। পুষ্টিবিদ শম্পা বলেছেন, প্রোটিন জরুরি ঠিকই, কিন্তু সারা দিনের খাবারে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজের সমন্বয় থাকতেই হবে। প্রতিটি মানুষের ওজন, উচ্চতা, পরিশ্রম অনুযায়ী খাবারের মাপ নির্ধারিত হয়। দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য নির্দিষ্ট ক্যালোরি প্রয়োজন। তার চেয়ে অনেক বেশি খেলেই ওজন বৃদ্ধি পাবে। সে কারণে ব্যালান্সড ডায়েটের সঙ্গে সঠিক পরিমাপ বোঝা জরুরি।”

পানি: শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত ২-৩ লিটার জল খাওয়া জরুরি। ঘুম থেকে উঠে জল খেলে রাতভর বিপাকক্রিয়ায় উৎপন্ন টক্সিন বা দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে এই সময় ডিটক্স পানীয় খাওয়া যেতে পারে। শম্পা বলছেন, ‘‘ঈষদুষ্ণ জলে লেবু খাওয়া যেতে পারে, দারুচিনি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আমলকী, বেরি জাতীয় ফলও খাওয়া যায়। তবে সারা দিন গরম পানি খেতে থাকলে শরীরে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে।

দৈনন্দিন কাজকর্ম: শরীরচর্চায় যেমন মেদ ঝরে, তেমন দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমেও ওজন বশে রাখা যায়। যেমন ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটা, বাগানের কাজ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, খাওয়ার পর একটু হেঁটে নেওয়া— এগুলিও ওজন বশে রাখতে সহায়ক।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে?

হালকা গরম পানিতে মধু মিশিয়ে খেলে কি ওজন কমে?

ওজন কমাতে চান? কম খান আর ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করুন। তার সঙ্গে সকালে উঠে হালকা গরম পানিতে লেবু ও মধু খান। তাহলেই দ্রুত মেদ কমে যাবে।

ওজন কমানো নিয়ে বেশিরভাগের ধারণা এমনটিই। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের টিপস থেকে টোটকাও রয়েছে। কিন্তু সত্যিই কি তাই? কেউ বলেন, উষ্ণ পানীয়ে চুমুক দিলে মেদ ঝরে। কেউ বলেন, খেতে হবে একেবারে মেপে আর শরীরচর্চা তো অবশ্যই। কিন্তু পুষ্টিবিদরা বলছেন ভিন্নকথা— বিষয়টি ঠিক এতটাও সহজ নয়।

অনেকেই বলেন উষ্ণ পানীয়ে চুমুক দিলে দ্রুত মেদ ঝরে। কথাটা একেবাই ভুল নয়। তবে ভারতের পুষ্টিবিদ শম্পা চক্রবর্তী বলেছেন, তবে সতর্ক করছেন উষ্ণ নয়, পানীয় হতে হবে ঈষদুষ্ণ। তিনি বলেন, পানির সঙ্গে যে কোনো ধরনের লেবুর রস, আমলকী ভিজিয়ে খাওয়া যেতে পারে। এতে বিপাক হার বৃদ্ধি পাওয়ায় ওজন কমানোর ক্ষেত্রে সহায়ক হয়। কিন্তু দিনভর ঈষদুষ্ণ পানীয় খেলেই কাজ হবে, এমন কখনো নয়। এর সঙ্গে যথাযথ ডায়েট জরুরি।

আরেক পুষ্টিবিদ তনয়া খান্না বলেন, দৈনন্দিন জীবনে আরও অনেক বিষয় ওজন বশে রাখতে এবং মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

ঘুম: নির্দিষ্ট সময়ে খাওয়াদাওয়ার সঙ্গে ঘুমও খুব জরুরি। ভালো ঘুমের সঙ্গে হরমোনের ভারসাম্য, হজমসহ অনেক কিছুই যুক্ত। ঘুম ঠিক না হলে বিপাকক্রিয়ায় প্রভাব পড়বে, হজমের সমস্যা হবে, হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হবে। তার প্রভাবে ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে।

খাবার: আপনার শরীরের ওজন ঝরাতে প্রোটিন খুব জরুরি। সকালের খাবার ভালো মানের প্রোটিন দিয়ে শুরু করা প্রয়োজন। ডিম, ভেজানো মুগ-কলাই জাতীয় খাবার তালিকায় থাকা জরুরি। পুষ্টিবিদ শম্পা বলেছেন, প্রোটিন জরুরি ঠিকই, কিন্তু সারা দিনের খাবারে ফাইবার, স্বাস্থ্যকর ফ্যাট, ভিটামিন, খনিজের সমন্বয় থাকতেই হবে। প্রতিটি মানুষের ওজন, উচ্চতা, পরিশ্রম অনুযায়ী খাবারের মাপ নির্ধারিত হয়। দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য নির্দিষ্ট ক্যালোরি প্রয়োজন। তার চেয়ে অনেক বেশি খেলেই ওজন বৃদ্ধি পাবে। সে কারণে ব্যালান্সড ডায়েটের সঙ্গে সঠিক পরিমাপ বোঝা জরুরি।”

পানি: শারীরবৃত্তীয় কার্যকলাপ সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য একজন সুস্থ প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের অন্তত ২-৩ লিটার জল খাওয়া জরুরি। ঘুম থেকে উঠে জল খেলে রাতভর বিপাকক্রিয়ায় উৎপন্ন টক্সিন বা দূষিত পদার্থ শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। তবে এই সময় ডিটক্স পানীয় খাওয়া যেতে পারে। শম্পা বলছেন, ‘‘ঈষদুষ্ণ জলে লেবু খাওয়া যেতে পারে, দারুচিনি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। আমলকী, বেরি জাতীয় ফলও খাওয়া যায়। তবে সারা দিন গরম পানি খেতে থাকলে শরীরে তার বিরূপ প্রভাব পড়বে।

দৈনন্দিন কাজকর্ম: শরীরচর্চায় যেমন মেদ ঝরে, তেমন দৈনন্দিন কাজকর্মের মাধ্যমেও ওজন বশে রাখা যায়। যেমন ফোনে কথা বলতে বলতে হাঁটা, বাগানের কাজ, সিঁড়ি দিয়ে ওঠানামা, খাওয়ার পর একটু হেঁটে নেওয়া— এগুলিও ওজন বশে রাখতে সহায়ক।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।