মেট্রোরেলে চলাচলের জন্য নিজস্ব কার্ড হিসেবে প্রতিটি স্টেশনে এখন থেকে র্যাপিড পাস বিক্রি হবে। আগে স্টেশনগুলোতে কেবল এমআরটি পাস বিক্রি হলেও এখন থেকে তা আর বিক্রি হবে না। এমআরটির পরিবর্তে র্যাপিড পাস বিক্রি হবে। পাস কিনতে স্টেশনে থাকা কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।
শুক্রবার (২০ ডিসেম্বর) রাতে মেট্রোরেল পরিচালনা প্রতিষ্ঠান ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট লিমিটেড কোম্পানির ফেসবুক পেজে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
ফেসবুক পোস্টে বলা হয়, ডিএমটিসিএল-এর পক্ষ থেকে মেট্রো স্টেশনগুলোতে র্যাপিড পাস বিক্রি শুরু হয়েছে। এমআরটি পাসের পরিবর্তে এখন র্যাপিড পাস ক্রয় করার জন্য সম্মানিত যাত্রীদের অনুরোধ করা যাচ্ছে।
র্যাপিড পাসের পাশাপাশি ইতোমধ্যে বিক্রি হওয়া এমআরটি পাসও যাত্রীরা ব্যবহার ও রিচার্জ করতে পারবেন বলে পোস্টে উল্লেখ করা হয়।
সিঙ্গেল জার্নি টিকিটের স্বল্পতার বিষয়টি সহসা সমাধান করা হচ্ছে জানিয়ে ডিএমটিসিএল থেকে বলা হয়, আশা করছি আগামী সপ্তাহের মধ্যেই এই বিষয়টির সমাধান হবে। হাতে যথেষ্ট সময় নিয়ে স্টেশনে আসার জন্য সম্মানিত যাত্রীদের বিনীত অনুরোধ জানানো হচ্ছে। যাত্রী সাধারণের সাময়িক অসুবিধার জন্য ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষ আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছে এবং আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছে ।
উল্লেখ্য, মেট্রোরেল চালুর সময় যাত্রীদের জন্য স্থায়ী কার্ড হিসেবে এমআরটি পাস চালু করেছিল ডিএমটিসিএল। এর জন্য সাত লাখ ২৮ হাজার এমআরটি পাস আনা হয়েছিল। সবগুলোই বিক্রি হয়েছে। এখন আর নতুন এমআরটি পাস আনবে না ডিএমটিসিএল। কারণ ২০১৫ সালে ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) এক কার্ডে সকল গণপরিবহনের ভাড়া পরিশোধের জন্য ‘র্যাপিড পাস’ চালু করে। বর্তমানে ডিটিসিএ চাচ্ছে মেট্রোরেলে পুরোপুরি র্যাপিড পাস ব্যবহার হবে। তাই এতদিন ক্লিয়ারিং হাউজ হিসেবে ডিটিসিএ মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষকে নিরাপত্তা কোড সরবরাহ করে এলেও এখন আর তা করছে না। ফলে আর এমআরটি পাস নয় এখন থেকে সব র্যাপিড পাস দেওয়া হবে। এর জন্য মেট্রোরেল স্টেশনগুলোর টিকিট কাউন্টারে যোগাযোগ করতে হবে।