২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি
বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি

ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ২০২৫ সালের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বিএনপি। দলটির দাবি, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সরকারের কাছে নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে। নতুন বছরে বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা মূলত নির্বাচনকেন্দ্রিক। দলের নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির দাবি, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনসহ সব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করে ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি।

এদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।” এরপর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “আশা করতে পারেন যে নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে হবে।”

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ নেই। অথচ তার প্রেস সচিব বলেন যে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা পরস্পরবিরোধী।”

দলটির নেতারা মনে করেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার শেষে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। তবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে তারা ২০২৫ সালের পুরো সময়টাই দিতে চায়।

দলটির নেতারা মনে করেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন হলে, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে তারা ২০২৫ সালের পুরো সময়টাই দিতে চায়। তবে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন না করা হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আপনারা কি সত্যি সত্যি পরিবর্তন চান না কি আবার ওই আওয়ামী লীগের নৌকায় ফিরে যেতে চান। যদি পরিবর্তন চান তবে ৫ আগস্ট আপনারা যেমন রাস্তায় নেমেছিলেন, আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।”

সূত্র জানায়, বিএনপি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই অন্তত ৫০টি নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন পরিচালনা করছে বিএনপি। গত কয়েক দিন ধরে দলটি এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ২৯টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে না। তবে, দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বড় ধরনের সমাবেশ আয়োজন করা হতে পারে। এসব সমাবেশের লক্ষ্য হবে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। দেশব্যাপী নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করতে পারলে তা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া মিত্র দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এজন্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা করবে বলেও মত দেন নেতারা। সেখানে জোট ও দলের নেতারা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সাল অতিক্রম করে হতে পারে না। যদি এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন না হয়, তবে দেশে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, “আমরা সরকারের কাছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা দ্রুত একটি নির্বাচন চাই। আশা করছি আগামী বছর প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা ভোট দিয়ে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অনির্বাচিত সরকার দেশ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে না। আমরা অতীতেও সেটি লক্ষ্য করেছি। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আগামী ২০২৫ সালের একটি নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের প্রতিনিধির কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।“

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বেশ কিছু সংগঠন বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলছেন যে, তারা সংস্কার চায় না; যার জন্য দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছেন। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, তারাও সংস্কার চান। সংস্কারের জন্য তারা ২০২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। ৩১ দফার মধ্যেই সকল সংস্কারের বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে। সকল সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বেশির ভাগ সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সংসদ। তাই নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করাই হবে এই সরকারের প্রধান কাজ। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দুর্ভাগ্য আমাদের, এখন কিছু কিছু বক্তব্য আসছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এ কথাটা সঠিক নয়। আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি

২০২৫ সালের মধ্যে নির্বাচন চায় বিএনপি
বিএনপির লোগো। ফাইল ছবি

ড. মুহম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছে ২০২৫ সালের মধ্যে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং নিরপেক্ষ নির্বাচন চায় বিএনপি। দলটির দাবি, গত ১৫ বছর ধরে বাংলাদেশের জনগণ তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছে। শীর্ষ নেতারা জানিয়েছেন, জনগণের ভোটাধিকার পুনঃপ্রতিষ্ঠা করে দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা বিএনপির অন্যতম প্রধান লক্ষ্য। বিএনপি দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোর স্বচ্ছতা এবং নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে সরকারের কাছে নির্বাচন আয়োজনের দাবি করেছে। নতুন বছরে বিএনপির রাজনৈতিক লক্ষ্য এবং প্রত্যাশা মূলত নির্বাচনকেন্দ্রিক। দলের নেতারা সুষ্ঠু নির্বাচন ও জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা করতে সরকারকে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন। বিএনপির দাবি, নির্বাচন কমিশন এবং প্রশাসনসহ সব নির্বাচনী ব্যবস্থাকে স্বাধীন ও নিরপেক্ষ করে ২০২৫ সালের মধ্যেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা জরুরি।

এদিকে গত ১৬ ডিসেম্বর মহান বিজয় দিবসে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, “২০২৫ সালের শেষ দিক থেকে ২০২৬ সালের প্রথমার্ধের মধ্যে নির্বাচনের সময় নির্ধারণ করা যায়।” এরপর প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্যের ব্যাখ্যা করে তার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছিলেন, “আশা করতে পারেন যে নির্বাচন ২০২৬ সালের ৩০ জুনের মধ্যে হবে।”

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূসের ভাষণে নির্বাচন সংক্রান্ত বক্তব্য অস্পষ্ট বলে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, “ড. মুহাম্মদ ইউনূস ২০২৫ সালের শেষ অথবা ২০২৬ সালের প্রথম অংশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের কথা বলেন, যা একেবারেই অস্পষ্ট। নির্দিষ্ট কোনো সময় উল্লেখ নেই। অথচ তার প্রেস সচিব বলেন যে, ২০২৬ সালের জুন মাসের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, যা পরস্পরবিরোধী।”

দলটির নেতারা মনে করেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য খুব বেশি সময়ের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ক্ষেত্রে সংস্কার শেষে ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচনের আয়োজন করা সম্ভব। তবে নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে তারা ২০২৫ সালের পুরো সময়টাই দিতে চায়।

দলটির নেতারা মনে করেন, নির্বাচন আয়োজনের জন্য অতিরিক্ত সময়ের প্রয়োজন নেই। নির্বাচন কমিশনসহ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সেক্টরের সংস্কার সম্পন্ন হলে, ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন করা সম্ভব। তবে, নির্বাচন আয়োজনের জন্য সরকারকে তারা ২০২৫ সালের পুরো সময়টাই দিতে চায়। তবে এই সময়ের মধ্যে নির্বাচন আয়োজন না করা হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির নেতারা।

ঠাকুরগাঁওয়ে এক জনসভায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, “আপনারা কি সত্যি সত্যি পরিবর্তন চান না কি আবার ওই আওয়ামী লীগের নৌকায় ফিরে যেতে চান। যদি পরিবর্তন চান তবে ৫ আগস্ট আপনারা যেমন রাস্তায় নেমেছিলেন, আবারও ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাস্তায় নামতে হবে। ভোটের অধিকার, ভাতের অধিকার আদায়ের জন্য এবং ন্যায়বিচার পাওয়ার জন্য রাস্তায় নামতে হবে।”

সূত্র জানায়, বিএনপি সমমনা দলগুলোকে নিয়ে গত ১৫ বছর ধরে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের দাবিতে আন্দোলন করে আসছে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে থেকেই অন্তত ৫০টি নিবন্ধিত এবং অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দল নিয়ে যুগপৎ আন্দোলন পরিচালনা করছে বিএনপি। গত কয়েক দিন ধরে দলটি এই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ২৯টি দলের সঙ্গে বৈঠক করেছে। বৈঠকের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, এই মুহূর্তে সরকারের বিরুদ্ধে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হবে না। তবে, দেশের জেলা-উপজেলা পর্যায়ে বড় ধরনের সমাবেশ আয়োজন করা হতে পারে। এসব সমাবেশের লক্ষ্য হবে নির্বাচনী পরিবেশ সৃষ্টি করা। দেশব্যাপী নির্বাচনি পরিবেশ তৈরি করতে পারলে তা সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করবে। বৈঠকে অংশ নেওয়া মিত্র দলগুলো দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়েছে। এজন্য, অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে সার্বিক সহযোগিতার ভিত্তিতে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য যা যা করা দরকার, তা করবে বলেও মত দেন নেতারা। সেখানে জোট ও দলের নেতারা জানান, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ২০২৫ সাল অতিক্রম করে হতে পারে না। যদি এই সময়সীমার মধ্যে নির্বাচন না হয়, তবে দেশে অস্থিরতা বৃদ্ধি পাবে।

বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করা দল জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) সাধারণ সম্পাদক শহিদউদ্দিন মাহমুদ স্বপন বলেন, “আমরা সরকারের কাছে একটি অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবি জানিয়ে আসছি। আমরা দ্রুত একটি নির্বাচন চাই। আশা করছি আগামী বছর প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে একটি নির্বাচনের দিকে যাবে সরকার।”

বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী বলেন, “বাংলাদেশের মানুষ দীর্ঘ দিন যাবত তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত। তারা ভোট দিয়ে তাদের সরকার প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। অনির্বাচিত সরকার দেশ সঠিকভাবে পরিচালনা করতে পারে না। আমরা অতীতেও সেটি লক্ষ্য করেছি। আমাদের প্রত্যাশা থাকবে আগামী ২০২৫ সালের একটি নির্বাচন আয়োজন করে জনগণের প্রতিনিধির কাছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ক্ষমতা হস্তান্তর করবে।“

এদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, নাগরিক কমিটিসহ বেশ কিছু সংগঠন বিএনপির বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলছেন যে, তারা সংস্কার চায় না; যার জন্য দ্রুত নির্বাচন আয়োজনের কথা বলছেন। তবে বিএনপি নেতাদের দাবি, তারাও সংস্কার চান। সংস্কারের জন্য তারা ২০২৩ সালে ৩১ দফা সংস্কার প্রস্তাব দিয়েছেন। ৩১ দফার মধ্যেই সকল সংস্কারের বিষয়গুলো উল্লেখ রয়েছে। সকল সংস্কার এই সরকারের পক্ষে করা সম্ভব নয়। বেশির ভাগ সংস্কারের জন্য প্রয়োজন সংসদ। তাই নির্বাচন সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুত নির্বাচন আয়োজন করাই হবে এই সরকারের প্রধান কাজ। পরবর্তীতে নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় এসে বাকি সংস্কার করবে।

সংস্কার ও নির্বাচনের বিষয়ে সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, “দুর্ভাগ্য আমাদের, এখন কিছু কিছু বক্তব্য আসছে যে বিএনপি সংস্কার চায় না, নির্বাচন চায়। এ কথাটা সঠিক নয়। আমরা একটা গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার জন্য ন্যূনতম যে সংস্কার প্রয়োজন, সেই সংস্কারটুকু করে আমরা নির্বাচনে যেতে চাই।”

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।