বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাংক ঋণ নিবেন যেভাবে

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাংক ঋণ নিবেন যেভাবে
ছবি ইন্টারনেট

বিদেশে উচ্চশিক্ষাড জন্য ব্যাংক ঋণ নিবেন যেভাবেঃ পড়াশোনা শেষে উচ্চতর ডিগ্রী বা যারা পড়াশোনার জন্য বাহিরে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা নেই তারা ব্যাংক লোন নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন পছন্দের দেশে। চালিয়ে যেতে পারবেন পছন্দের সাবজেক্টে নিজের পড়াশোনা। প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কী বিষয়ে পড়তে চান। এরপর খোঁজ নিতে হবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রামটি চালু আছে, প্রোগ্রামটির খরচ, পড়ার যোগ্যতা, বৃত্তির সুযোগ, খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ।

আপনার যদি যথেষ্ট টাকা থাকে তাহলে অনেক দেশেই যেতে পারবেন তবে তুলনামুলক কম খরচে ভাল পড়াশোনার জন্য মালয়েশিয়াকে পছন্দ করতে পারেন। তাদের পরিবেশ ও শিক্ষার মান অনেক ভাল।

অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইট গুলোতে। কারন, সরকারী ওয়েবসাইট গুলোতে অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক বিভিন্ন পরিবর্তন সংযোজন, ও বিযোজন গুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়।

সরকারি ও বেসরকারি কিছু ব্যাংক এই ঋণ দিয়ে থাকে।সরকারি ব্যাংকসমূহের মধ্যে রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।

ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম:

.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

এইচএসবিসি ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক

প্রাইম ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড

উত্তরা ব্যাংক

গ্রামীন ব্যাংক

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকঃ

আপনি যদি সরকারি ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে। প্রবাসী কল্যান ব্যাংক অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র ৯%

ব্র্যাক ব্যাংকঃ

বাংলাদেশ ও বিদেশে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে এটিই ব্র্যাক ব্যাংকের প্রথম লোন প্রোডাক্ট। এটি ব্যাংকের ‘আগামী স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস’-এর অংশ। যা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডি ও ডিপিএস স্কিম, বিদেশে পড়ালেখার ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইলস এবং স্টুডেন্ট লোনের একটি পরিপূর্ণ সমাধান।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাবা-মা ও আইনি অভিভাবকরা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় অর্থায়নের জন্যও এই লোন নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাংক নিজেই ফান্ড ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করবে।

শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিল রেখে গ্রাহকের পছন্দের সময় অনুযায়ী ৩, ৪, ৬ বা ১২ মাস পর পর ধাপে ধাপে ঋণ বিতরণ করা হবে। সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মাসিক আয় আছে এমন অভিভাবকরা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গ্রাহকরা মোট শিক্ষা ব্যয়ের ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা লোন নিতে পারবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক শিক্ষাঋণের শর্তসমূহ:

দেশের বাইরে পড়াশুনার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে৷

কোন জামানত ছাড়া১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করা যায়৷

সবোর্চ্চ ঋণ দেয়ার পরিমান ৩০ লাখ টাকা

ঋণ পরিশোধ করার জন্য সময় পাওয়া যায় ১-৪ বছর৷

ঋণ পরিশোধের হার ১৫%

ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে ৷

বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে ৷

উত্তরা ব্যাংকঃ বেতনভুক্ত কর্মচারীদের সীমিত আয়ে পারিবারিক ও আনুষঙ্গিক খরচ সামলানো কষ্ট হয়ে যায়। তাই এই জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড বেতনভুক্ত চাকুরীজীবিদের ব্যক্তিগত ঋণপ্রকল্প (Personal Loan Scheme for Salaried Officers) চালু করেছে৷

ঋণ গ্রহণের জন্য যা লাগবেঃ

১. আবেদনপত্র

২) প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার অথবা কোনো ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার বা তদুর্ধ পদমর্যাদার কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

৩)যদি গ্রাহক স্বয়ং অথবা তাহার জামিনদার (Guarantor) ঠিকানা অথবা পেশাপরিবর্তন করেন তবে তৎক্ষনাৎ পরিবর্তিত ঠিকানা এবং পেশা ব্যাংক কে লিখিতভাবে জানাতে হবে৷

ব্যাংকের সদস্যদের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের ঋণ পেয়ে থাকে৷

৪ থেকে ৫ বছর মেয়াদের এই ঋণ ৩ মাস পর পর কিস্তিতে দেয়া হয়৷

ঋণ নেয়ার সময় শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার প্রোগ্রেস দেখা হয়৷

একই পরিবারের অনেক সদস্য এক সাথে ঋণ নিতে পারে৷

কোন সুদ দিতে হয় না৷

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: প্রাইম ব্যাংকের ‘স্বপ্নপূরণ’ নামে একটি প্যাকেজ রয়েছে। ছেলেমেয়েদের বিদেশে লেখাপড়া, চিকিত্সা প্রভৃতি বিষয়ের জন্য এই প্যাকেজ। প্রাইম ব্যাংক মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা চার বছর মেয়াদে শিক্ষাঋণ দেয়। মূলত স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য এ ঋণ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের আয় চাকরিজীবী হলে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা, আর ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হতে হবে। আর একজন গ্যারান্টার থাকতে হবে। শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে

প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার শর্তসমূহ :

শিক্ষা ঋণ ছাত্র বা ছাত্রীর অভিভাবককে দেয়া হবে ৷ অভিভাবকের আয় অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়৷

এ লোন স্কিম থেকে আগ্রহীরা ১-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন৷

পরিশোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২ বছর৷

এ জন্য প্রাইম ব্যাংকে শতকরা ১৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হয়৷

শিক্ষাথীকে তার প্রয়োজনীয় সব তথ্য জমা দিতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড শিক্ষাঋণঃ ইসলামী ব্যাংক ও শিক্ষাখাতে অগ্রগতির জন্য স্টুডেন্টদের ও কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে ঋণ দিয়ে থাকে।

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে শিক্ষাঋণের শর্তসমূহ:

১) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে এইচডিএসনামের স্কিমের আওতায় পণ্যসামগ্রীর মূল্যের এক-চতুর্থাংশ ডাউন পেমেন্টনিয়ে লোন দেয়৷

এ জন্য অবশ্য প্রতি বছর ১২.৫০ শতাংশ এবং সুপারভিশন চার্জহিসেবে ২ শতাংশ হারে শোধ করতে হয়৷

২) মাসিক কিস্তিতে সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে হয়৷

এইচএসবিসি ব্যাংকঃদেশে এবং দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার বা প্রফেশনাল ডিগ্রির জন্য এইচএসবিসি ব্যাংক ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ দেয়। ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে অভিভাবকের মাসিক আয়ের ওপর। আবেদনকারী যদি অটো পে অথবা সিইপিএস গ্রাহক হয়ে থাকেন তবে তার মাসিক আয়ের ওপর যথাক্রমে ছয় গুণ ও দশ গুণ হিসাবে ঋণ দেয়া হয়। আবেদনকারী যদি অন্য পেশার হন, তবে তার মাসিক আয়ের চার গুণ পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল ১২, ২৪, ৩৬ অথবা ৪৮ মাস।

অভিভাবকরা যদি তাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা নিতে আগ্রহী হন, তবে যেসবব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে সেগুলোর যেকোনো শাখায় গিয়ে মার্কেটিং/ক্রেডিটবিভাগে যোগাযোগ করতে হবে৷ সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই আপনাকেবিস্তারিত জানিয়ে দেবেন৷ তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও ডকুমেন্ট

যেমন-

১) আয়ের প্রমাণপত্র

২) কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সনদ ও ছাত্রছাত্রীর সম্মতিপত্র জমা দিতে হবে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নূন্যতম সময়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত ঋণ দিয়ে দেবে৷

এইচএসবিসি থেকে ছাত্রঋণ নেয়ার শর্ত :

কোনো প্রকার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বা নগদ জামানত দিতে হয় না

ঋণ নিতে হলে অবশ্যই পরিবারের কোন সদস্যকে আয় করতে হবে এবং তার মাসিক আয় ১৮ হাজার থেকে ২২ হাজার হতে হবে ৷

এইচএসবিসি ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা অথবা ঋণ গ্রহণকারীর মাসিক আয়ের ৪ গুণ পরিমাণ ঢাকা ঋণ দিয়ে থাকে৷

ঋণের সুদের হার ১৮%

তুলনামূলক কম সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হয় ১২, ২৪, ৩৬, ৪৮ ও ৬০ মাসের মধ্যে৷

স্টুডেন্ট ফাইল খোলার সুবিধা আছে৷

যদি কোনো আউটপুট অথবা সিইপিএস গ্রাহক ছাত্রঋণ নিতে চায়, তবে তাকে ৬ ও ১০গুণ হিসেবেও ঋণ দেওয়া হয়৷ তবে তা সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি নয়৷

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ প্রদান করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। গ্র্যাজুয়েট, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বা প্রফেশনাল কোর্সের জন্য পেতে পারেন এ ধরনের শিক্ষাঋণ। আবেদনকারী অভিভাবক চাকরিজীবী হলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মাসিক আয় থাকতে হবে। অন্য যে কোনো পেশাজীবী হলে ন্যূনতম আয় ৩০ হাজার টাকা থাকতে হবে। আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর হতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক: গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শিক্ষাঋণ পেতে হলে এই ব্যাংকের সদস্য হতে হবে এবং সদস্যভুক্তির বয়স ন্যূনতম এক বছর হতে হবে। শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৫ বছর। ঋণের পরিমাণ বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করে। এমবিবিএস অধ্যয়নরত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, স্নাতক (ইঞ্জিনিয়ারিং) চার বছরে ৭৫ হাজার টাকা, স্নাতক (বিবিএ, এগ্রিকালচার) চার বছরে সর্বোচ্চ ৭৭ হাজার টাকা, এমএস/এমএ/এমবিএ দুই বছরে সর্বোচ্চ ৩৮ হাজার ঋণ পাওয়া যাবে। এই ঋণ শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ১৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীরাও শিক্ষাঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। যদি শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করে, তবেই বাকি টিউশন ফি ব্যাংক ওই শিক্ষার্থীকে ঋণ হিসেবে প্রদান করবে। এই ঋণ ছাত্রাবস্থায় পরিশোধ করতে হবে না। শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরের মাস থেকে মোট ঋণের ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড: ওয়ান ব্যাংক চালু করেছে শিক্ষাঋণ। দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য ১২-৪৮ মাস মেয়াদে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা, লোকাল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ৬-১২ মাস মেয়াদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ৬-১২ মাস মেয়াদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড: ‘আপনার সন্তান, আপনার পরিকল্পনা, কিন্তু আর্থিক দায়িত্বের চিন্তা আমাদের’— এই স্লোগান সামনে রেখে দেশে ও দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য ট্রাস্ট ব্যাংক চালু করেছে শিক্ষাঋণ। তিন বছর মেয়াদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাংক ঋণ নিবেন যেভাবে

বিদেশে উচ্চশিক্ষার জন্য ব্যাংক ঋণ নিবেন যেভাবে
ছবি ইন্টারনেট

বিদেশে উচ্চশিক্ষাড জন্য ব্যাংক ঋণ নিবেন যেভাবেঃ পড়াশোনা শেষে উচ্চতর ডিগ্রী বা যারা পড়াশোনার জন্য বাহিরে যেতে চাচ্ছেন কিন্তু পর্যাপ্ত টাকা নেই তারা ব্যাংক লোন নিয়ে পাড়ি জমাতে পারবেন পছন্দের দেশে। চালিয়ে যেতে পারবেন পছন্দের সাবজেক্টে নিজের পড়াশোনা। প্রথমে আপনাকে নির্বাচন করতে হবে আপনি কী বিষয়ে পড়তে চান। এরপর খোঁজ নিতে হবে কোন কোন বিশ্ববিদ্যালয়ে এ প্রোগ্রামটি চালু আছে, প্রোগ্রামটির খরচ, পড়ার যোগ্যতা, বৃত্তির সুযোগ, খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ।

আপনার যদি যথেষ্ট টাকা থাকে তাহলে অনেক দেশেই যেতে পারবেন তবে তুলনামুলক কম খরচে ভাল পড়াশোনার জন্য মালয়েশিয়াকে পছন্দ করতে পারেন। তাদের পরিবেশ ও শিক্ষার মান অনেক ভাল।

অস্ট্রেলিয়াতে উচ্চশিক্ষার জন্য সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য পাওয়া যাবে দেশটির সরকার নিয়ন্ত্রিত ওয়েবসাইট গুলোতে। কারন, সরকারী ওয়েবসাইট গুলোতে অস্ট্রেলিয়াতে আন্তর্জাতিক ছাত্র-ছাত্রীদের পড়ালেখা বিষয়ক বিভিন্ন পরিবর্তন সংযোজন, ও বিযোজন গুলো নিয়মিত আপডেট করা হয়।

সরকারি ও বেসরকারি কিছু ব্যাংক এই ঋণ দিয়ে থাকে।সরকারি ব্যাংকসমূহের মধ্যে রয়েছে প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক।

ঋণদানকারী প্রতিষ্ঠানের নাম:

.প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক

এইচএসবিসি ব্যাংক

ব্র্যাক ব্যাংক

প্রাইম ব্যাংক

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড

উত্তরা ব্যাংক

গ্রামীন ব্যাংক

প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকঃ

আপনি যদি সরকারি ব্যাংক থেকে সহজ শর্তে ঋণ পেতে চান তাহলে যোগাযোগ করুন প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংকে। প্রবাসী কল্যান ব্যাংক অভিবাসন ঋণের ক্ষেত্রে সুদের হার মাত্র ৯%

ব্র্যাক ব্যাংকঃ

বাংলাদেশ ও বিদেশে শিক্ষার্থীদের উচ্চশিক্ষার সুবিধার্থে এটিই ব্র্যাক ব্যাংকের প্রথম লোন প্রোডাক্ট। এটি ব্যাংকের ‘আগামী স্টুডেন্ট ব্যাংকিং সার্ভিস’-এর অংশ। যা স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট, এফডি ও ডিপিএস স্কিম, বিদেশে পড়ালেখার ক্রেডিট কার্ড, স্টুডেন্ট ফাইলস এবং স্টুডেন্ট লোনের একটি পরিপূর্ণ সমাধান।

বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) অনুমোদিত সব বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বাবা-মা ও আইনি অভিভাবকরা এই লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন। বিদেশি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষায় অর্থায়নের জন্যও এই লোন নেওয়া যাবে। সেক্ষেত্রে বিদেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে ব্যাংক নিজেই ফান্ড ট্রান্সফার করার ব্যবস্থা করবে।

শিক্ষার্থীর অ্যাকাডেমিক ক্যালেন্ডারের সঙ্গে মিল রেখে গ্রাহকের পছন্দের সময় অনুযায়ী ৩, ৪, ৬ বা ১২ মাস পর পর ধাপে ধাপে ঋণ বিতরণ করা হবে। সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতে হবে। ন্যূনতম ২০ হাজার টাকা মাসিক আয় আছে এমন অভিভাবকরা লোনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

গ্রাহকরা মোট শিক্ষা ব্যয়ের ১৩০ শতাংশ পর্যন্ত এবং সর্বোচ্চ ২০ লাখ টাকা লোন নিতে পারবেন।

ব্র্যাক ব্যাংক শিক্ষাঋণের শর্তসমূহ:

দেশের বাইরে পড়াশুনার জন্য ঋণ প্রদান করে থাকে৷

কোন জামানত ছাড়া১০ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ গ্রহণ করা যায়৷

সবোর্চ্চ ঋণ দেয়ার পরিমান ৩০ লাখ টাকা

ঋণ পরিশোধ করার জন্য সময় পাওয়া যায় ১-৪ বছর৷

ঋণ পরিশোধের হার ১৫%

ব্যাংক একাউন্ট থাকতে হবে ৷

বিদেশে যাওয়ার প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে ৷

উত্তরা ব্যাংকঃ বেতনভুক্ত কর্মচারীদের সীমিত আয়ে পারিবারিক ও আনুষঙ্গিক খরচ সামলানো কষ্ট হয়ে যায়। তাই এই জনগোষ্ঠীকে আর্থিক সহায়তা দানের উদ্দেশ্যে উত্তরা ব্যাংক লিমিটেড বেতনভুক্ত চাকুরীজীবিদের ব্যক্তিগত ঋণপ্রকল্প (Personal Loan Scheme for Salaried Officers) চালু করেছে৷

ঋণ গ্রহণের জন্য যা লাগবেঃ

১. আবেদনপত্র

২) প্রথম শ্রেণীর গেজেটেড অফিসার অথবা কোনো ব্যাংকের প্রিন্সিপাল অফিসার বা তদুর্ধ পদমর্যাদার কর্মকর্তা কর্তৃক সত্যায়িত সদ্য তোলা দুই কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি।

৩)যদি গ্রাহক স্বয়ং অথবা তাহার জামিনদার (Guarantor) ঠিকানা অথবা পেশাপরিবর্তন করেন তবে তৎক্ষনাৎ পরিবর্তিত ঠিকানা এবং পেশা ব্যাংক কে লিখিতভাবে জানাতে হবে৷

ব্যাংকের সদস্যদের ছেলেমেয়েরা এ ধরনের ঋণ পেয়ে থাকে৷

৪ থেকে ৫ বছর মেয়াদের এই ঋণ ৩ মাস পর পর কিস্তিতে দেয়া হয়৷

ঋণ নেয়ার সময় শিক্ষার্থীর লেখাপড়ার প্রোগ্রেস দেখা হয়৷

একই পরিবারের অনেক সদস্য এক সাথে ঋণ নিতে পারে৷

কোন সুদ দিতে হয় না৷

প্রাইম ব্যাংক লিমিটেড: প্রাইম ব্যাংকের ‘স্বপ্নপূরণ’ নামে একটি প্যাকেজ রয়েছে। ছেলেমেয়েদের বিদেশে লেখাপড়া, চিকিত্সা প্রভৃতি বিষয়ের জন্য এই প্যাকেজ। প্রাইম ব্যাংক মেধাবী শিক্ষার্থীদের স্বপ্নপূরণের সর্বোচ্চ পাঁচ লাখ টাকা চার বছর মেয়াদে শিক্ষাঋণ দেয়। মূলত স্নাতক পর্যায়ে পড়াশোনার জন্য এ ঋণ দেয়া হয়। এ ক্ষেত্রে অভিভাবকের আয় চাকরিজীবী হলে কমপক্ষে ১০ হাজার টাকা, আর ব্যবসায়ীর ক্ষেত্রে মাসিক ২৫ হাজার টাকা হতে হবে। আর একজন গ্যারান্টার থাকতে হবে। শিক্ষার্থীর বয়স কমপক্ষে ২৫ বছর হতে হবে

প্রাইম ব্যাংক থেকে ঋণ নেয়ার শর্তসমূহ :

শিক্ষা ঋণ ছাত্র বা ছাত্রীর অভিভাবককে দেয়া হবে ৷ অভিভাবকের আয় অনুযায়ী ঋণের পরিমাণ নির্ধারণ করা হয়৷

এ লোন স্কিম থেকে আগ্রহীরা ১-৩ লাখ টাকা পর্যন্ত লোন নিতে পারেন৷

পরিশোধের সর্বোচ্চ সময়সীমা ২ বছর৷

এ জন্য প্রাইম ব্যাংকে শতকরা ১৫ শতাংশ হারে সুদ প্রদান করতে হয়৷

শিক্ষাথীকে তার প্রয়োজনীয় সব তথ্য জমা দিতে হবে।

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড শিক্ষাঋণঃ ইসলামী ব্যাংক ও শিক্ষাখাতে অগ্রগতির জন্য স্টুডেন্টদের ও কর্মকর্তাদের সুবিধার্থে ঋণ দিয়ে থাকে।

ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড থেকে শিক্ষাঋণের শর্তসমূহ:

১) ইসলামী ব্যাংক লিমিটেড বিভিন্ন শিক্ষা উপকরণ ক্রয়ের ক্ষেত্রে এইচডিএসনামের স্কিমের আওতায় পণ্যসামগ্রীর মূল্যের এক-চতুর্থাংশ ডাউন পেমেন্টনিয়ে লোন দেয়৷

এ জন্য অবশ্য প্রতি বছর ১২.৫০ শতাংশ এবং সুপারভিশন চার্জহিসেবে ২ শতাংশ হারে শোধ করতে হয়৷

২) মাসিক কিস্তিতে সর্বোচ্চ ২ বছরের মধ্যে পণ্যের মূল্য পরিশোধ করতে হয়৷

এইচএসবিসি ব্যাংকঃদেশে এবং দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার বা প্রফেশনাল ডিগ্রির জন্য এইচএসবিসি ব্যাংক ৫০ হাজার থেকে সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ দেয়। ঋণের পরিমাণ নির্ভর করে অভিভাবকের মাসিক আয়ের ওপর। আবেদনকারী যদি অটো পে অথবা সিইপিএস গ্রাহক হয়ে থাকেন তবে তার মাসিক আয়ের ওপর যথাক্রমে ছয় গুণ ও দশ গুণ হিসাবে ঋণ দেয়া হয়। আবেদনকারী যদি অন্য পেশার হন, তবে তার মাসিক আয়ের চার গুণ পর্যন্ত ঋণ দেয়া হয়। ঋণ পরিশোধের মেয়াদকাল ১২, ২৪, ৩৬ অথবা ৪৮ মাস।

অভিভাবকরা যদি তাদের সন্তানদের জন্য শিক্ষা নিতে আগ্রহী হন, তবে যেসবব্যাংক ঋণ দিয়ে থাকে সেগুলোর যেকোনো শাখায় গিয়ে মার্কেটিং/ক্রেডিটবিভাগে যোগাযোগ করতে হবে৷ সেখানে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাই আপনাকেবিস্তারিত জানিয়ে দেবেন৷ তবে এ ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় তথ্যাদি ও ডকুমেন্ট

যেমন-

১) আয়ের প্রমাণপত্র

২) কলেজ/বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তির সনদ ও ছাত্রছাত্রীর সম্মতিপত্র জমা দিতে হবে।

ব্যাংক কর্তৃপক্ষ আপনার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে নূন্যতম সময়ে আপনার কাঙ্ক্ষিত ঋণ দিয়ে দেবে৷

এইচএসবিসি থেকে ছাত্রঋণ নেয়ার শর্ত :

কোনো প্রকার ব্যক্তিগত গ্যারান্টি বা নগদ জামানত দিতে হয় না

ঋণ নিতে হলে অবশ্যই পরিবারের কোন সদস্যকে আয় করতে হবে এবং তার মাসিক আয় ১৮ হাজার থেকে ২২ হাজার হতে হবে ৷

এইচএসবিসি ৫০ হাজার টাকা থেকে ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা অথবা ঋণ গ্রহণকারীর মাসিক আয়ের ৪ গুণ পরিমাণ ঢাকা ঋণ দিয়ে থাকে৷

ঋণের সুদের হার ১৮%

তুলনামূলক কম সুদে এই ঋণ পরিশোধ করতে হয় ১২, ২৪, ৩৬, ৪৮ ও ৬০ মাসের মধ্যে৷

স্টুডেন্ট ফাইল খোলার সুবিধা আছে৷

যদি কোনো আউটপুট অথবা সিইপিএস গ্রাহক ছাত্রঋণ নিতে চায়, তবে তাকে ৬ ও ১০গুণ হিসেবেও ঋণ দেওয়া হয়৷ তবে তা সর্বোচ্চ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকার বেশি নয়৷

ডাচ্-বাংলা ব্যাংক: সর্বোচ্চ ১০ লাখ টাকা পর্যন্ত শিক্ষাঋণ প্রদান করে ডাচ্-বাংলা ব্যাংক। গ্র্যাজুয়েট, আন্ডার গ্র্যাজুয়েট বা প্রফেশনাল কোর্সের জন্য পেতে পারেন এ ধরনের শিক্ষাঋণ। আবেদনকারী অভিভাবক চাকরিজীবী হলে ১০ থেকে ১৫ হাজার টাকা ন্যূনতম মাসিক আয় থাকতে হবে। অন্য যে কোনো পেশাজীবী হলে ন্যূনতম আয় ৩০ হাজার টাকা থাকতে হবে। আবেদনকারীর বয়স সর্বনিম্ন ২২ বছর হতে হবে।

গ্রামীণ ব্যাংক: গ্রামীণ ব্যাংক থেকে শিক্ষাঋণ পেতে হলে এই ব্যাংকের সদস্য হতে হবে এবং সদস্যভুক্তির বয়স ন্যূনতম এক বছর হতে হবে। শিক্ষার্থীর বয়স হতে হবে ২০ থেকে ২৫ বছর। ঋণের পরিমাণ বিভিন্ন বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীর ওপর নির্ভর করে। এমবিবিএস অধ্যয়নরত পাঁচ বছরে সর্বোচ্চ ১ লাখ ৫ হাজার টাকা, স্নাতক (ইঞ্জিনিয়ারিং) চার বছরে ৭৫ হাজার টাকা, স্নাতক (বিবিএ, এগ্রিকালচার) চার বছরে সর্বোচ্চ ৭৭ হাজার টাকা, এমএস/এমএ/এমবিএ দুই বছরে সর্বোচ্চ ৩৮ হাজার ঋণ পাওয়া যাবে। এই ঋণ শুধু পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। এ ছাড়া গ্রামীণ ব্যাংকের তালিকাভুক্ত ১৭টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের দরিদ্র শিক্ষার্থীরাও শিক্ষাঋণ গ্রহণ করতে পারবেন। যদি শিক্ষার্থীকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক ২৫ থেকে ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফ করে, তবেই বাকি টিউশন ফি ব্যাংক ওই শিক্ষার্থীকে ঋণ হিসেবে প্রদান করবে। এই ঋণ ছাত্রাবস্থায় পরিশোধ করতে হবে না। শিক্ষাজীবন শেষ হওয়ার পরের মাস থেকে মোট ঋণের ৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে।

ওয়ান ব্যাংক লিমিটেড: ওয়ান ব্যাংক চালু করেছে শিক্ষাঋণ। দেশের বাইরে পড়াশোনার জন্য ১২-৪৮ মাস মেয়াদে ১ থেকে ১০ লাখ টাকা, লোকাল প্রাইভেট ইউনিভার্সিটিতে ৬-১২ মাস মেয়াদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা, ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ৬-১২ মাস মেয়াদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয়। ট্রাস্ট ব্যাংক লিমিটেড: ‘আপনার সন্তান, আপনার পরিকল্পনা, কিন্তু আর্থিক দায়িত্বের চিন্তা আমাদের’— এই স্লোগান সামনে রেখে দেশে ও দেশের বাইরে উচ্চশিক্ষার জন্য ট্রাস্ট ব্যাংক চালু করেছে শিক্ষাঋণ। তিন বছর মেয়াদে ৫০ হাজার থেকে ৩ লাখ টাকা পর্যন্ত ঋণ দেয় প্রতিষ্ঠানটি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।