খুব সাধারণ ভাবে এবং সহজ ভাষায় বলতে গেলে, প্রাথমিক ভাবে যে কোন রাষ্ট্রের অর্থের আন্তর্জাতিক মূল্যের নির্ধারিত হয় তার যোগান এবং চাহিদার ওপরে নির্ভর করে। টাকার মান নির্ধারণ হয় টাকার ক্রয়ক্ষমতা দিয়ে। দ্রব্যের দামের সাথে টাকার মানের সম্পর্ক বিপরীত। দ্রব্যের দাম কমলে টাকার মান বাড়ে, বিপরীতক্রমে দ্রব্যের দাম বাড়লে টাকার মান কমে।
যেমন উদাহরণ রূপে যদি টাকার কথা ভাবি:
প্রতিটি টাকা কতগুলি বা কত কম বৈদেশিক মুদ্রা কিনতে পারে। এবং বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে বৈদেশিক মুদ্রার ব্যবসায়ীরা সেই বিনিময় হার নির্ধারণ করে। তারা টাকার সরবরাহ এবং চাহিদা বিবেচনা করে এবং তারওপরে নির্ভর করে ভবিষ্যতে টাকার জন্য তাদের প্রত্যাশা পরিমাপ করে। এই সরবরাহ এবং চাহিদা বাড়া কোমর জন্যই আন্তর্জাতিক মুদ্রার বাজার যতক্ষণ খোলা থাকবে ততক্ষন সারাদিন টাকার দর ওঠা নামা করতে থাকে।
আবার ট্রেজারি নোটের মান। ট্রেজারির জন্য সেগুলকে বাজারে মাধ্যমে সহজেই টাকা রূপান্তর করা যাবে। ট্রেসুরির চাহিদা বেশি হলে, ভারতীয় টাকার মূল্য বেড়ে যায়।
অন্য ভাবে বললে বিদেশী মুদ্রার সঞ্চিত পুঁজির মাধ্যমে হয়। অর্থাৎ বিদেশী সরকার দ্বারা টাকা ধরে রাখার পরিমাণের ওপরে নির্ভর করে। অন্য রাষ্ট্র যত বেশি টাকা মজুত করবে, বাজারে টাকার যোগান তাতো কমবে এবং টাকার মূল্য ততই বৃদ্ধি পাবে। যদি বিদেশি রাষ্ট্রগুলো সমস্ত টাকা বাজারে বিক্রি করে দিতে থাকে তাহলেই টাকার দাম পড়ে যেতে থাকবে।
কিছু কিছু ক্ষেত্র বিশেষ এ টাকার মান কমে যায়। যার মধ্যে রপ্তানি আয়ের চেয়ে আমদানি ব্যয় বেশি হলে, ব্যক্তি বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান কর্তৃক অবৈধ ডলার মজুদ করার মাধ্যমে, অসামঞ্জস্যপূর্ণ রিজার্ভ খরচের কারণে, অস্বাভাবিক বেশি নগদ ডলার বিদেশে পাচার হলে, সরকারি-বেসরকারি খাতের বড় অঙ্কের বিদেশি ঋণ থাকলে, ডলারের মূল্যের তারতম্যের কারণে অধিক লাভের আশায় প্রবাসীরা বৈধ পথে ব্যাংকের মাধ্যমে রেমিট্যান্স না পাঠিয়ে হুন্ডির মাধ্যমে অবৈধভাবে দেশে টাকা পাঠালে টাকার মান কমে যায়। ঠিক এর উল্টো টা হলে টাকার মান বেড়ে যায়।