হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার লাটিম খেলা

স্টাফ রিপোর্টার এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার লাটিম খেলা
ছবি : সংগৃহীত

অতীতের দিনগুলির রঙিন স্মৃতি কে না রোমন্থন করে? ফেলে আসা পুরোনো সেই দিনগুলির কথা তো এতো সহজে ভুলে যাওয়া যায় না । স্কুল ছুটির পর ঘরের ভিতরে ও বাহিরে খেলার সেই সুমধুর স্মৃতিগুলি আজ মনকে তাড়া করে ফিরে । আধুনিক যুগের ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে এই পুরোনোদিনের খেলাগুলি এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগের মতো কোনো বেদখল প্লট বা খোলা মাঠ আমরা খুব কমই পাই। এই প্রাণহীন ব্যস্ত জীবনে স্মৃতির পরশ বুলিয়ে দিতে চলুন দেখে আসি ফেলে আসা দিন গুলোতে লাটিম নিয়ে খেলার মুহূর্তগুলি, কালের বিবর্তনে যা আজ প্রায় হারানোর পখে।

গ্রাম বাংলার রাস্তায় আগে প্রায় ছোটদের লাটিম নিয়ে খেলতে দেখা যেত। এ খেলা এককভাবে ও ৪-৫ জন দলবদ্ধ হয়ে -উভয়ভাবেই খেলা যায়। লাটিম মূলত একটি কাঠের খেলনা যার উপরের অংশ গোলকের ন্যায় এবং নিচের অংশ ক্রমশঃ সরু হয়ে গিয়েছে। হাত দিয়ে ধরে রাখার জন্য এর গোলকের ন্যায় অংশে সুতা লাগানো থাকে, যা হাত দিয়ে ধরার সুবিধার্থে এক প্রান্তে গিঁট দেয়া থাকে। একজন এই খেলা খেললে সে পরীক্ষা করে দেখে লাটিমটি কতক্ষণ ঘোরাতে পারে, আর একাধিক মানুষ খেললে তা প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠে। এ খেলার শুরুতে ভূমিতে বৃত্ত আঁকা হয়।

প্রতিটি খেলোয়াড় বৃত্তের মধ্যে লাটিমটি ঘুরানো শুরু করে। যার লাটিম বৃত্ত থেকে বেরিয়ে সব থেকে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ১ম নির্বাচন করা হয়। এভাবে ২য় , ৩য় স্থান অধিকারী নির্বাচিত হয়। তবে কোনো লাটিমকে অন্য খেলোয়াড়ের লাটিম আঘাত করে বৃত্তের বাহিরে আনতে পারলে লাটিমটির মালিক সে হয়। তবে এতে অনেক সময় লাটিম ভেঙে গিয়ে থাকে। তবে ভেঙে গেলে বাহবা ও পেয়ে থাকে খেলোয়াড়রা। এক অদ্ভুত কৌশলে তারা মাঝে মাঝে ঘুরন্ত লাটিমটি হাতের তালুতে তুলে নেয় এবং তা অন্যদের কাছেও দিয়ে দেয় ওই অবস্থাতেই। এভাবে হাতের তালুতে রাখা বা কার লাটিম বেশিক্ষণ ঘুরে এমন প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতো গ্রাম বাংলার ছেলেরা।

তবে মেয়েদের মধ্যে খুব কমই এই খেলার প্রচলন ছিল ।এখন যান্ত্রিক , আধুনিক এ যুগে লাটিম দেখা যায় না বললেই চলে। লাটিম খেলার প্রতিযোগিতার মাঝে হাসি আনন্দের সেই মুহূর্তগুলো যেন এখন কেবল সুদূর অতীতের স্মৃতি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার লাটিম খেলা

হারিয়ে যাচ্ছে গ্রাম বাংলার লাটিম খেলা
ছবি : সংগৃহীত

অতীতের দিনগুলির রঙিন স্মৃতি কে না রোমন্থন করে? ফেলে আসা পুরোনো সেই দিনগুলির কথা তো এতো সহজে ভুলে যাওয়া যায় না । স্কুল ছুটির পর ঘরের ভিতরে ও বাহিরে খেলার সেই সুমধুর স্মৃতিগুলি আজ মনকে তাড়া করে ফিরে । আধুনিক যুগের ব্যস্ত জীবনযাত্রার কারণে এই পুরোনোদিনের খেলাগুলি এখন প্রায় বিলুপ্ত হয়ে গেছে। আগের মতো কোনো বেদখল প্লট বা খোলা মাঠ আমরা খুব কমই পাই। এই প্রাণহীন ব্যস্ত জীবনে স্মৃতির পরশ বুলিয়ে দিতে চলুন দেখে আসি ফেলে আসা দিন গুলোতে লাটিম নিয়ে খেলার মুহূর্তগুলি, কালের বিবর্তনে যা আজ প্রায় হারানোর পখে।

গ্রাম বাংলার রাস্তায় আগে প্রায় ছোটদের লাটিম নিয়ে খেলতে দেখা যেত। এ খেলা এককভাবে ও ৪-৫ জন দলবদ্ধ হয়ে -উভয়ভাবেই খেলা যায়। লাটিম মূলত একটি কাঠের খেলনা যার উপরের অংশ গোলকের ন্যায় এবং নিচের অংশ ক্রমশঃ সরু হয়ে গিয়েছে। হাত দিয়ে ধরে রাখার জন্য এর গোলকের ন্যায় অংশে সুতা লাগানো থাকে, যা হাত দিয়ে ধরার সুবিধার্থে এক প্রান্তে গিঁট দেয়া থাকে। একজন এই খেলা খেললে সে পরীক্ষা করে দেখে লাটিমটি কতক্ষণ ঘোরাতে পারে, আর একাধিক মানুষ খেললে তা প্রতিযোগিতামূলক হয়ে উঠে। এ খেলার শুরুতে ভূমিতে বৃত্ত আঁকা হয়।

প্রতিটি খেলোয়াড় বৃত্তের মধ্যে লাটিমটি ঘুরানো শুরু করে। যার লাটিম বৃত্ত থেকে বেরিয়ে সব থেকে বেশি দূরত্ব অতিক্রম করে তাকে ১ম নির্বাচন করা হয়। এভাবে ২য় , ৩য় স্থান অধিকারী নির্বাচিত হয়। তবে কোনো লাটিমকে অন্য খেলোয়াড়ের লাটিম আঘাত করে বৃত্তের বাহিরে আনতে পারলে লাটিমটির মালিক সে হয়। তবে এতে অনেক সময় লাটিম ভেঙে গিয়ে থাকে। তবে ভেঙে গেলে বাহবা ও পেয়ে থাকে খেলোয়াড়রা। এক অদ্ভুত কৌশলে তারা মাঝে মাঝে ঘুরন্ত লাটিমটি হাতের তালুতে তুলে নেয় এবং তা অন্যদের কাছেও দিয়ে দেয় ওই অবস্থাতেই। এভাবে হাতের তালুতে রাখা বা কার লাটিম বেশিক্ষণ ঘুরে এমন প্রতিযোগিতায় মেতে উঠতো গ্রাম বাংলার ছেলেরা।

তবে মেয়েদের মধ্যে খুব কমই এই খেলার প্রচলন ছিল ।এখন যান্ত্রিক , আধুনিক এ যুগে লাটিম দেখা যায় না বললেই চলে। লাটিম খেলার প্রতিযোগিতার মাঝে হাসি আনন্দের সেই মুহূর্তগুলো যেন এখন কেবল সুদূর অতীতের স্মৃতি।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।