খুলে ফেলা হলো ডিএজি এমরানের নেমপ্লেট

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
খুলে ফেলা হলো ডিএজি এমরানের নেমপ্লেট
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া/ ফাইল ছবি

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে পদ হারাতে বসেছেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অপসারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সলিসিউটর উইংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় পদ বাতিলের বিষয়ে সলিসিউটর অফিস থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

এদিকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার সুপ্রিমকোর্টে নাম সংবলিত নেমপ্লেটও খুলে ফেলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এই বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের এ বক্তব্যের পর বিচারঙ্গণে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। সরকারপক্ষের আইনজীবীরা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের তীব্র সমালোচনা করেন। আর সরকারবিরোধীরা তাকে সাধুবাদ জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পঞ্চম তলায় ৫১১ নম্বর কক্ষে বসতেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। কক্ষের সামনে তার নাম উল্লে­খ করে নেমপ্লেট সাঁটানো ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়।

এমরানের নাম উল্লি­খিত নেমপ্লেটটি দুপুর ১২টার দিকে খুলে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম ফজলুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি হিসেবে রাষ্ট্র এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখবেন। অথচ রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই তার নেমপ্লেটটি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে থাকতে পারেন না বলে মনে করি। যে কারণে তার নেমপ্লেট খুলে ফেলেছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার অফিসে যাইনি, বাসাতেই আছি। নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছি সে অবস্থান থেকে আমি নড়ব না।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

খুলে ফেলা হলো ডিএজি এমরানের নেমপ্লেট

খুলে ফেলা হলো ডিএজি এমরানের নেমপ্লেট
ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহমেদ ভূঁইয়া/ ফাইল ছবি

শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বক্তব্য দিয়ে পদ হারাতে বসেছেন ডেপুটি অ্যটর্নি জেনারেল (ডিএজি) এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। তার বিরুদ্ধে শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগ এনে অপসারণ করার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। ব্যবস্থা নিতে আইন মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে সলিসিউটর উইংকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। যেকোনো সময় পদ বাতিলের বিষয়ে সলিসিউটর অফিস থেকে প্রজ্ঞাপন জারি হতে পারে।

এদিকে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়ার সুপ্রিমকোর্টে নাম সংবলিত নেমপ্লেটও খুলে ফেলা হয়েছে।

প্রসঙ্গত, ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে শ্রম আইন লঙ্ঘন ও দুর্নীতির মামলা নিয়ে উদ্বেগ জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছে খোলাচিঠি (বিবৃতি) পাঠিয়েছেন বিশ্বে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নেতৃত্বস্থানীয় দেড় শতাধিক ব্যক্তি। তাদের মধ্যে শতাধিক নোবেলজয়ী রয়েছেন। এই বিষয়ে গত সোমবার হাইকোর্টের বর্ধিত ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ড. ইউনূস একজন সম্মানিত ব্যক্তি। তার সম্মানহানি করা হচ্ছে এবং এটি বিচারিক হয়রানি।’

ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের এ বক্তব্যের পর বিচারঙ্গণে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এর পক্ষে-বিপক্ষে আলোচনা সমালোচনার ঝড় উঠে। সরকারপক্ষের আইনজীবীরা ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরানের তীব্র সমালোচনা করেন। আর সরকারবিরোধীরা তাকে সাধুবাদ জানান।

অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ের পঞ্চম তলায় ৫১১ নম্বর কক্ষে বসতেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া। কক্ষের সামনে তার নাম উল্লে­খ করে নেমপ্লেট সাঁটানো ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ওই নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়।

এমরানের নাম উল্লি­খিত নেমপ্লেটটি দুপুর ১২টার দিকে খুলে ফেলেছেন বলে দাবি করেছেন আরেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এসএম ফজলুল হক। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘ডেপুটি অ্যাটর্নি হিসেবে রাষ্ট্র এমরান আহম্মদ ভূঁইয়াকে নিয়োগ দিয়েছে। তিনি রাষ্ট্রের স্বার্থ দেখবেন। অথচ রাষ্ট্রের একজন আইন কর্মকর্তা হয়ে রাষ্ট্রের স্বার্থের বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন। তাই তার নেমপ্লেটটি অ্যাটর্নি জেনারেল কার্যালয়ে থাকতে পারেন না বলে মনে করি। যে কারণে তার নেমপ্লেট খুলে ফেলেছি।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে এমরান আহম্মদ ভূঁইয়া যুগান্তরকে বলেন, মঙ্গলবার অফিসে যাইনি, বাসাতেই আছি। নেমপ্লেট খুলে ফেলা হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জেনেছি। তিনি বলেন, ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিষয়ে বিবৃতি সংক্রান্ত যে বক্তব্য দিয়েছি সে অবস্থান থেকে আমি নড়ব না।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।