যুক্তরাষ্ট্রের ডলারের মান বেড়েছে অন্যান্য মুদ্রার বিপরীতে। আজ বুধবার (৬ সেপ্টেম্বর) গত ৬ মাসের মধ্যে তা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছে। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য পাওয়া গেছে।
এতে বলা হয়, চীনের অর্থনীতি এবং বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে মার্কিন মুদ্রা ডলারের তেজ বেড়েছে। তাতে জাপানি কারেন্সির অবনমন ঘটেছে। বিগত ১০ মাসের মধ্যে তা সর্বনিম্নে নেমে গেছে। প্রতি গ্রিনব্যাকের দাম স্থির হয়েছে ১৪৭ দশমিক ৪২ ইয়েনে।
একই কার্যদিবসে ইউরোর শক্তি হ্রাস পেয়েছে। ইউরোপিয়ান ইউনিয়নের (ইইউ) মুদ্রাটির মূল্য নিষ্পত্তি হয়েছে ১ দশমিক ০৭৩৬ ডলারে। গত ৩ মাসের মধ্যে যা প্রায় সবচেয়ে কম।
স্টার্লিংও গত প্রান্তিকের মধ্যে সর্বনিম্ন পর্যায়ে আছে। ব্রিটিশ মুদ্রাটির দর দাঁড়িয়েছে ১ দশমিক ২৫৭২ ডলারে। অস্ট্রেলিয়ার মুদ্রা অপরিবর্তিত রয়েছে। প্রতি অসি কারেন্সি বিক্রি হচ্ছে শূন্য দশমিক ৬৩৭৯৫ ডলারে।
প্রধান ৬ আন্তর্জাতিক মুদ্রার বিরুদ্ধে ডলার সূচক ঊর্ধ্বমুখী হয়েছে। বর্তমানে তা ১০৪ দশমিক ৬৯ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত ৬ মাসের মধ্যে যা প্রায় সবচেয়ে বেশি।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি চীন ও ইউরোপের প্রবৃদ্ধি ধীর রয়েছে। এই আশঙ্কায় ডলারের মূল্যমান বৃদ্ধি পেয়েছে। কারণ, নিরাপদ আশ্রয়ের দিকে ঝুঁকেছেন বিনিয়োগকারীরা।
সিঙ্গাপুরভিত্তিক ওসিবিসির মুদ্রা কৌশলবিদ ক্রিস্টোফার ওয়াং বলেন, লম্বা সময় ধরে সুদের হার ঊর্ধ্বগামী রয়েছে। বিশ্বের শীর্ষ অর্থনীতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি মন্থর রয়েছে। ফলে ডলারের আধিপত্য বজায় আছে।