হারুন-সানজিদার তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
হারুন-সানজিদার তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন

বারডেম হাসপাতাল থেকে শাহবাগ থানা, এডিসি হারুনের ওপর এডিসি সানজিদার স্বামী এপিএস মামুনের হামলা, ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় নিয়ে পেটানোর ঘটনা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। ঘটনাটি নিয়ে এখনো চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিভিন্নজন বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও সরব এ ঘটনায়। এবার হারুন-সানজিদার ঘটনায় তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক এই উপপ্রেস সচিব।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন খোকন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘সমাজের কিছু মানুষ, সবকিছুতেই মাঝপথ দিয়ে চলেন। জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ে, সত্য’কে সত্য বলেন না, মিথ্যা’কে মিথ্যা বলেন না। নিজের ছাড়া, তারা জাতির কি উপকারে আসে, বোধগম্য নয় খোকনের।

তিনি আরও লিখেন, ‘যাহা সত্য-তাহা সত্য, যাহা মিথ্যা-তাহা মিথ্যা। সত্য-মিথ্যার মাঝখানে কিছু নেই। কিন্তু, নিরপেক্ষ ভাব নেওয়ার জন্য, এর মধ্যে তারা একটা ধূসর লাইন খুঁজে বেড়ান, দুইপক্ষকেই খুশি করার জন্য। যদিও, এটা কোনো টেকসই পদ্ধতি নয়।’

পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বেধড়ক পিটুনি খেল ছাত্রলীগের নেতারা—এ কথা উল্লেখ করে খোকন লিখেন, ‘পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তিনজন জলজ্যান্ত মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে পেটানো হলো, দুজনের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে দিল, এরপরও তারা বলেন, আসলে কে দোষী তা এখনই নয়, তদন্তের পর বলা যাবে। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র আপনারা!’

এডিসি হারুনকে নিষিদ্ধ পুরুষ আখ্যা দিয়ে সাবেক এই উপপ্রেস সচিব লিখেছেন, ‘মেনে নিচ্ছেন নিষিদ্ধ পুরুষ এডিসি হারুনকে নিজের স্ত্রীর পাশে দেখে আজিজ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এর প্রতিশোধে দুজন তরুণের জীবন পঙ্গু করে, ভবিষ্যৎ জীবন দুর্বিষহ করে তোলা কি না প্রশ্ন তার।

খোকন লিখেছেন, হট্টগোল যদি আগে হয়েও থাকে, সেটা থানার বাইরে। ইসিজি-ইটিটি রুমের পর্দার ভিতরে, সিভিল পোশাকে, এডিসি হারুনকে পেয়ে যদি গায়ে কেউ হাত দিয়ে থাকে, এটার জন্য তিনি মামলা করতে পারতেন। কোন নাগরিককে ধরে এনে থানায় পেটানোর অধিকার দেশের আইনের কোথাও নেই। এডিসি হারুন যে মার খেয়েছে, তাকে দেখে একবারও কি তা মনে হয়েছে? ছাত্রলীগ মারামারি করতে চাইলেতো তারা তিনজন যেতেন না, চার/পাঁচশো ছাত্র নিয়ে যেতেন।

এক শেয়ালের লেজ কাটা গেছে, এখন সবার লেজ কাটতে হবে। মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সেই অপচেষ্টাই করে যাচ্ছে। কে প্রথমে হট্টগোল তৈরী করেছে, এটা প্রতিষ্ঠিত করে যারা শাহবাগ থানার পৈশাচিক ঘটনাকে জায়েজ করতে চাচ্ছেন, তারা এডিসি হারুনের মতোই অপরাধী।

হারুন-সানজিদার তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপপ্রেস সচিব লিখেছেন, তদন্ত কমিটিতে যারা সদস্য তারা শুধুই পুলিশ ক্যাডারের, কমিটিতে এডমিন ক্যাডার এবং ছাত্রলীগকেও রাখা উচিত। কারণ, ঘটনার সাথে তিনটা পক্ষ জড়িত। নয়তো রিপোর্ট একতরফাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন আশরাফুল আলম খোকন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

হারুন-সানজিদার তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন

হারুন-সানজিদার তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন

বারডেম হাসপাতাল থেকে শাহবাগ থানা, এডিসি হারুনের ওপর এডিসি সানজিদার স্বামী এপিএস মামুনের হামলা, ছাত্রলীগ নেতাদের থানায় নিয়ে পেটানোর ঘটনা এখন ‘টক অব দ্য কান্ট্রি। এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা থামছেই না। ঘটনাটি নিয়ে এখনো চলছে নানা বিশ্লেষণ। বিভিন্নজন বিষয়টি নিয়ে মন্তব্য করছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাবেক উপপ্রেস সচিব আশরাফুল আলম খোকনও সরব এ ঘটনায়। এবার হারুন-সানজিদার ঘটনায় তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন সাবেক এই উপপ্রেস সচিব।

বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে স্ট্যাটাস দেন খোকন। স্ট্যাটাসে তিনি লিখেন, ‘সমাজের কিছু মানুষ, সবকিছুতেই মাঝপথ দিয়ে চলেন। জনপ্রিয়তা কমে যাওয়ার ভয়ে, সত্য’কে সত্য বলেন না, মিথ্যা’কে মিথ্যা বলেন না। নিজের ছাড়া, তারা জাতির কি উপকারে আসে, বোধগম্য নয় খোকনের।

তিনি আরও লিখেন, ‘যাহা সত্য-তাহা সত্য, যাহা মিথ্যা-তাহা মিথ্যা। সত্য-মিথ্যার মাঝখানে কিছু নেই। কিন্তু, নিরপেক্ষ ভাব নেওয়ার জন্য, এর মধ্যে তারা একটা ধূসর লাইন খুঁজে বেড়ান, দুইপক্ষকেই খুশি করার জন্য। যদিও, এটা কোনো টেকসই পদ্ধতি নয়।’

পরকীয়া প্রেমের জের ধরে বেধড়ক পিটুনি খেল ছাত্রলীগের নেতারা—এ কথা উল্লেখ করে খোকন লিখেন, ‘পরকীয়া প্রেমের জের ধরে তিনজন জলজ্যান্ত মানুষকে থানায় ধরে নিয়ে পেটানো হলো, দুজনের ভবিষ্যৎ জীবন অন্ধকার করে দিল, এরপরও তারা বলেন, আসলে কে দোষী তা এখনই নয়, তদন্তের পর বলা যাবে। সত্যিই সেলুকাস, কী বিচিত্র আপনারা!’

এডিসি হারুনকে নিষিদ্ধ পুরুষ আখ্যা দিয়ে সাবেক এই উপপ্রেস সচিব লিখেছেন, ‘মেনে নিচ্ছেন নিষিদ্ধ পুরুষ এডিসি হারুনকে নিজের স্ত্রীর পাশে দেখে আজিজ নেতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছেন, এর প্রতিশোধে দুজন তরুণের জীবন পঙ্গু করে, ভবিষ্যৎ জীবন দুর্বিষহ করে তোলা কি না প্রশ্ন তার।

খোকন লিখেছেন, হট্টগোল যদি আগে হয়েও থাকে, সেটা থানার বাইরে। ইসিজি-ইটিটি রুমের পর্দার ভিতরে, সিভিল পোশাকে, এডিসি হারুনকে পেয়ে যদি গায়ে কেউ হাত দিয়ে থাকে, এটার জন্য তিনি মামলা করতে পারতেন। কোন নাগরিককে ধরে এনে থানায় পেটানোর অধিকার দেশের আইনের কোথাও নেই। এডিসি হারুন যে মার খেয়েছে, তাকে দেখে একবারও কি তা মনে হয়েছে? ছাত্রলীগ মারামারি করতে চাইলেতো তারা তিনজন যেতেন না, চার/পাঁচশো ছাত্র নিয়ে যেতেন।

এক শেয়ালের লেজ কাটা গেছে, এখন সবার লেজ কাটতে হবে। মিডিয়াকে ব্যবহার করে একটি গোষ্ঠী সেই অপচেষ্টাই করে যাচ্ছে। কে প্রথমে হট্টগোল তৈরী করেছে, এটা প্রতিষ্ঠিত করে যারা শাহবাগ থানার পৈশাচিক ঘটনাকে জায়েজ করতে চাচ্ছেন, তারা এডিসি হারুনের মতোই অপরাধী।

হারুন-সানজিদার তদন্ত কমিটি নিয়ে প্রশ্ন তুলে প্রধানমন্ত্রীর সাবেক উপপ্রেস সচিব লিখেছেন, তদন্ত কমিটিতে যারা সদস্য তারা শুধুই পুলিশ ক্যাডারের, কমিটিতে এডমিন ক্যাডার এবং ছাত্রলীগকেও রাখা উচিত। কারণ, ঘটনার সাথে তিনটা পক্ষ জড়িত। নয়তো রিপোর্ট একতরফাই হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে মনে করেন আশরাফুল আলম খোকন।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: মনসুরাবাদ হাউজিং, ঢাকা-১২০৭ এজেড মাল্টিমিডিয়া লিমিটেডের একটি প্রতিষ্ঠান।