প্রথমবারের মতো বাংলাদেশের কনসার্টে অংশ নিলেন ভারতের সংগীতশিল্পী দর্শন রাভাল। বৃহস্পতিবার (১৪ সেপ্টেম্বর) রাতে গান গেয়ে মাতান ঢাকার শ্রোতাদের।
রাজধানীর আন্তর্জাতিক কনভেনশন সিটি বসুন্ধরার (আইসিসিবি) নবরাত্রি হলে গান পরিবেশন করেন তিনি।
‘দর্শন রাওয়াল লাইভ ইন ঢাকা’ শীর্ষক কনসার্টটির আয়োজক টোয়েন্টি টু ইভেন্টস।
এর আগে কনসার্টে অংশ নিতে বুধবার ঢাকায় এসে পৌঁছান দর্শন। এদিন বিকেলে হয় সংবাদ সম্মেলন।
সেখানে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন এ গায়ক।
আয়োজকেরা জানিয়েছিলেন, দর্শনের আগে গান পরিবেশন করবেন দেশের তরুণ গায়ক তানভীর ইভান।
সন্ধ্যা সাতটার পর মঞ্চে ওঠেন এই গায়ক। ঘণ্টা খানেক সময় ধরে উপস্থিত দর্শকের সামনে গান পরিবেশন করেন তিনি।
তবে, তানভীরের পরিবেশনায় নিজের গান ও দেশি গানের চেয়ে প্রাধান্য পায় হিন্দি গান। বেশ কিছু হিন্দি গান পরিবেশন করেন তিনি৷ যা নিয়ে উপস্থিত দর্শকের মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা যায়। কেউ কেউ তার গায়কীর প্রশংসা করেন। বিপরীতে তার হিন্দি গান পরিবেশনের সমালোচনাও করেন কেউ কেউ। তাদের ভাষ্য, এ যেন ঘর জামাইয়ের আচরণ! হিন্দি গান শোনাতে তো দর্শন রাভাল রয়েছেন, এরপরও তার কেন হিন্দি গান পরিবেশন করতে হবে?
এদিকে, তানভীর ইভানের পরিবেশনার পরেই মঞ্চে ওঠার কথা ছিল দর্শন রাভালের। কিন্তু এক ঘণ্টারও বেশি সময় বিলম্ব হয় তার৷ এ সময় দর্শকরাও এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে ওঠে। পরে জানানো হয়, ট্রাফিক জ্যামের কারণে অনুষ্ঠানে আসতে দেরি হয় দর্শন ও তার টিমের।
রাত যখন নয়টা পেরিয়ে গেছে সেসময় মঞ্চে আসেন দর্শন রাভাল। তবে প্রিয় গায়ককে পেয়ে বিলম্বের যাতনা ভুলে যান দর্শকরা। দুই ঘণ্টা গান গেয়ে শোনান বলিউডের এই গায়ক। নিজের গাওয়া ‘তেরা জিকর’, ‘বেখুদি’, ‘কামারিয়া’, ‘রঙ্গিলা তারা’সহ অন্যদের জনপ্রিয় গানও পরিবেশন করেন তিনি৷ পুরো সময় ধরেই তার গায়কীতে মেতেছিলেন ঢাকার দর্শকরা।
২০১৪ সালে ভারতের একটি সংগীত রিয়েলিটি শোতে অংশ নিয়ে পরিচিতি পান দর্শন রাভাল। এরপর ২০১৫ সালে সালমান খানের ‘প্রেম রতন ধন পায়ো’ সিনেমার ‘যাব তুম চাহো’ গান দিয়ে বলিউডে প্লেব্যাক শুরু করেন। সর্বশেষ ‘রকি অউর রানি কি প্রেম কাহিনি’ সিনেমার ‘ঢিন্ডোরা বাজে রে’ গানটিও জনপ্রিয়তা পেয়েছে তার।
শুধু বলিউড নয়, গুজরাটি ও তেলুগু সিনেমায়ও দর্শন রাভাল গাইছেন সমানতালে। গান গাওয়ার পাশাপাশি গান লেখা ও সুর করায়ও সুনাম আছে তার।