সেপ্টেম্বরেই শুরু হবে পাবনা থেকে ঢাকা সরাসরি আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল। আগামী ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে যেকোনো দিন পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হবে।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পাকশী রেলওয়ে বিভাগীয় পরিবহন কার্যালয় সূত্র জানায়, পাবনা থেকে বঙ্গবন্ধু সেতু হয়ে এ ট্রেন চলাচল করবে। পাবনা স্টেশন থেকে সকাল ৮টা ১৫ মিনিটে ছেড়ে কমালপুর রেলওয়ে স্টেশনে পৌঁছাবে দুপুর ২টা ১৫ মিনিটে। চাহিদা অনুযায়ী এ ট্রেনে ১২ থেকে ১৪টি যাত্রীবাহী কোচ সংযুক্ত করা হবে। অন্য আন্তঃনগর ট্রেনের মতো থাকবে শোভন চেয়ার, এসি চেয়ার ও কেবিন।
পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কার্যালয়ের সূত্র জানায়, এ মাসের মধ্যেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে কোন কোন স্টেশনে ট্রেন স্টপেজ হবে এবং টিকিটের মূল্য কত হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। দুই একদিনের মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে দপ্তর থেকে এসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হবে বলে জানাযায়।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে ম্যানেজার (ডিআরএম) শাহ সূফি নূর মোহাম্মদ বলেন, ২৪ থেকে ৩০ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ঢাকা-পাবনা সরাসরি ট্রেন চলাচল উদ্বোধন হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি পাবনা-ঢাকা সরাসরি ট্রেন চলাচলের ঘোষণা দেওয়ার পর থেকেই রেল বিভাগ বিষয়টি নিয়ে কাজ শুরু করে। ট্রেন চলাচলের সব আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত পর্যায়ে। ট্রেনের নাম ও উদ্বোধনের দিন এখনো নির্ধারণ হয়নি। মহামান্য রাষ্ট্রপতি অথবা মাননীয় প্রধানমন্ত্রী যেকোনো একজন পাবনা-ঢাকা ট্রেনের উদ্বোধন করবেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন বলেন, চলতি মাসের শেষ সপ্তাহে পাবনা-ঢাকা রুটে নতুন আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু হবে। এখন পর্যন্ত ট্রেনের নাম নির্ধারণ করা হয়নি। ট্রেনটি কোন কোন স্টেশনে স্টপেজ থাকবে সেটাও এখনো ঠিক করা হয়নি।
এ প্রসঙ্গে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে প্রকৌশলী (ডিএন-২) বীরবল মন্ডল বলেন, ঢাকা-পাবনা রুটে নতুন ট্রেন চালানোর সব প্রস্তুতি শুরু হয়েছে। চলতি মাসের শেষ সপ্তাহের যেকোনো দিন ট্রেন চলাচল শুরু হবে। পাবনা-ঢাকা ট্রেন চলাচলের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে কর্মচারী ও কর্মকর্তারা এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন।
পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে সহকারী বাণিজ্যিক কর্মকর্তা (উত্তর) এ কে এম নুরুল আলম বলেন, পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে কার্যালয়, রাজশাহী থেকে আমরা জেনেছি এ মাসের মধ্যেই ট্রেন চলাচল শুরু হবে। তবে কোন কোন স্টেশনে ট্রেন স্টপেজ হবে এবং টিকিটের মূল্য কত হবে তা এখনো নির্ধারণ করা হয়নি। আশা করি দুই একদিনের মধ্যেই পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে দপ্তর থেকে এসব বিষয়ে নির্দেশনা পেয়ে যাবো।