২০২৪ সালের শেষ নাগাদ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনাল চালু হবে। এরপর এই টার্মিনালের সক্ষমতা পুরোপুরি ব্যবহার উপযোগী হবে।
তবে বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক) জানিয়েছে, সম্ভব হলে নির্ধারিত সময়ের আগেই তৃতীয় টার্মিনাল পুরোপুরি চালু করতে চায় সংস্থাটি।
বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান এয়ারভাইস মার্শাল মো. মুফিদুর রহমান সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, এই বিমানবন্দরের (তৃতীয় টার্মিনাল) দায়িত্ব আপাতত আমরা ঠিকাদারের কাছ থেকে বুঝে নেব। এরপর, টার্মিনাল ১ এবং ২ থেকে আমাদের যে অপারেশনটা, কীভাবে এই বিমানবন্দরটা অপারেশন শুরু করা যায় সেই প্রক্রিয়া শুরু করব। এই প্রক্রিয়াটির নাম অরাট (অপারেশনাল রেডিনেস অ্যাক্টিভেশন অ্যান্ড ট্রানজিস্টন)।
তিনি বলেন, এই প্রক্রিয়া সফট ওপেনিং এর পর চালু করব। আমরা যদিও বলছি আগামী বছরের (২০২৪) শেষ নাগাদ এটা ফাংশনাল হবে, তবে তার আগেই থার্ড টার্মিনাল যাত্রীদের জন্য উন্মুক্ত করার জন্য আমাদের চেষ্টা থাকবে।
তিনি আরোও বলেন, সফট ওপেনিংয়ের আগে আমাদের টার্মিনালের কাজ শেষ হয়েছে। লিফট, ব্যাগেজ হ্যান্ডেলিং, বোডিং ব্রিজ বসে গেছে। এগুলো সফট ওপনিংয়ের মাধ্যমে সম্পন্ন হলো। বাকী ১০ শতাংশ কাজ সফট ওপেনিংয়ের পর শুরু হবে। আপাতত আমরা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে বুঝে নেব। সবকিছু ঠিক থাকলে আগামী বছরে (২০২৪) আমরা বিমানবন্দরটি সবার জন্য উন্মুক্ত করতে পারব।
থার্ড টার্মিনাল নির্মাণের ফলে এভিয়েশন সেক্টরে নতুন মাত্রা যোগ করা হবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা। এভিয়েশন ঢাকা কনসোর্টিয়াম (এডিসি)-এর অধীনে জাপানের মিৎসুবিশি ও ফুজিতা এবং কোরিয়ার স্যামসাং এই টার্মিনালের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন করবে।