ইসরায়েল বাহিনী রবিবার (৮ অক্টোবর) লেবাননের দক্ষিনাঞ্চলে হামলা চালিয়েছে। এর আগে হিজবুল্লাহ বাহিনী বিতর্কিত ইসরায়েলের তিনটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছিল,যার মধ্যে জায়গার মালিকানা নিয়ে বিতর্কিত শেবা ফার্ম অন্তর্ভূক্ত ছিল। তবে প্রাথমিকভাবে ক্ষয়ক্ষতির খবর পাওয়া যায়নি।
তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি। ইসরায়েলের শহরগুলোতে ফিলিস্তিনি হামাস গোষ্ঠীর হামলার একদিন পর আন্তঃসীমান্ত অগ্নিকাণ্ডের ওই ঘটনায় কমপক্ষে ২৫০ ইসরায়েলি নিহত হন। পরে ইসরায়েলের পালটা বোমাবর্ষণে ২৩০ গাজাবাসী নিহত হন।
এদিকে হিজবুল্লাহ জানিয়েছে, তারা ফিলিস্তিনি জনগণের সাথে “সংহতি প্রকাশ করে” শেবা ফার্মের তিনটি পোস্টে গাইডেডে রকেট এবং আর্টিলারি হামলা চালিয়েছে।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী রবিবার জানায়, তারা লেবাননের একটি এলাকায় কামান নিক্ষেপ করেছে যেখানে আন্তঃসীমান্ত অঞ্চল থেকে মর্টার ফায়ার করা হয়েছিল।
সেনাবাহিনী আরও জানায়, আইডিএফ’র (ইসরায়েল প্রতিরক্ষা বাহিনী) আর্টিলারি বর্তমানে লেবাননের সেই অঞ্চলেই আক্রমণ করছে যেখান থেকে গুলি চালিয়েছিল লেবানন।
সামরিক বাহিনী সূত্রে জানা গেছে, তাদের একটি ড্রোন শেবা অঞ্চলের হার ডভ এলাকায় হিজবুল্লাহর একটি পোস্টে আঘাত করে।
ইসরায়েল ১৫ বর্গ-মাইল (৩৯ বর্গ কি.মি) বিস্তৃত জমির শেবা ফার্মগুলো ১৯৬৭ সাল থেকে দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। অন্যদিকে সিরিয়া এবং লেবানন উভয়ই দাবি করে আসছে যে শেবা ফার্মগুলো তাদের ভূখন্দের অংশ।
এদিকে দক্ষিণ লেবাননে অবস্থিত জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মিশন তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার বিষয়ে কোনও মন্তব্য করেনি। শনিবার রকেট হামলার পর ইসরায়েল এবং গাজার চলমান অস্থিরতা মোকাবেলায় দক্ষিণ লেবাননে তাদের সৈন্য সংখ্যাও বাড়িয়েছে শান্তিরক্ষা মিশন।
দক্ষিণ লেবাননকে কার্যকরভাবে নিয়ন্ত্রণকারী হিজবুল্লাহ শনিবার জানায়, তারা ফিলিস্তিনি “প্রতিরোধ” গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে “সরাসরি যোগাযোগ” করে যাচ্ছেন। ইসরায়েলের ওপর ফিলিস্তিনি হামলাকে “ইসরায়েলের অব্যাহত দখলদারিত্বের নিষ্পত্তিমূলক প্রতিক্রিয়া এবং যারা ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে বিষয়টিকে স্বাভাবিককরণের চেষ্টা করছেন তাদের জন্য এটি একটি বার্তা বলে জানায় হিজবুল্লাহ।”
এদিকে রবিবার ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের বন্দুকধারীদের সঙ্গে ইসরায়েলি বাহিনীর সংঘর্ষ হয়েছে। এ সংঘর্ষের সময় প্রায় ৫০০’র অধিক নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র: খালিজ টাইমস