২০১৪ ও ২০১৮ সালের মতো এবারো নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করলে তা প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে বাম গণতান্ত্রিক জোট। এমন পরিস্থিতি হলে সারা দেশে আন্দোলন গড়ে তোলারও হুমকি দিয়েছে এ জোট।
নির্বাচন কমিশনের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার আগারগাঁওয়ের আইডিবি ভবন এলাকা থেকে নির্বাচন কমিশন অভিমুখে বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তারা এ ঘোষণা দেন।
বিক্ষোভ মিছিলে বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন দিয়ে সুষ্ঠু ভোট হবে না। ইসির কাজ দেখে মনে হয় তারা জনগণের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে।
চলমান রাজনৈতিক সংকটের সমাধানে তিন পরামর্শ দিয়ে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিবি) সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, সরকার পদত্যাগ করে সংসদ ভেঙে নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠনের ঘোষণা দিয়ে আলোচনায় বসা; নির্বাচন কমিশন সরকারকে বলবে যে, আপনি বলেছেন দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে, কিন্তু সারা দেশের মানুষ চায় নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচন। তাই আপনি নির্দলীয় সরকার দেন তারপর আমরা নির্বাচন করবো; কমিশন প্রধানমন্ত্রীকে বলবে আপনি যতই আমাদের ওপর আস্থা রাখেন, কিন্তু দেশের ৯৯% মানুষের আমাদের ওপর আস্থা নেই। তাই আমাদের পুনর্গঠন করেন। না হলে আমরা পদত্যাগ করব।
পরে বিক্ষোভ সমাবেশ শেষ করে নির্বাচন ভবন অভিমুখে যাত্রা শুরু করলে পুলিশের বাধার মুখে পড়ে। সেখানে তারা ১০ মিনিটের মতো অবস্থান করেন।
সেখানে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ইকবাল কবীর জাহিদ বলেন, প্রহসনের নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করা হলে তা প্রতিহত করা হবে এবং এর বিরুদ্ধে সারা দেশে কঠোর আন্দোলন করা হবে।
সিপিবির কেন্দ্রীয় নেতা সাজেদুল হক রুবেল বলেন, আরেকটি প্রহসনের নির্বাচন মঞ্চস্থ করা হচ্ছে। জনগণ এটি প্রতিহত করবে।
বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, এটি একটি অতিগুরুত্বপূর্ণ এলাকা। এই এলাকায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অফিস রয়েছে। তাই পূর্ব অনুমতি না নিয়ে তারা এখানে বিক্ষোভ মিছিল করতে পারেন না। আমরা বিষয়টি জানতাম না। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রথম বিষয়টি জেনেছি। তারপর তাদের অনুরোধ করে শান্তিপূর্ণভাবে সরিয়ে দিয়েছি।