স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন শিল্পমন্ত্রী নুরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূন।
বুধবার (১৮ অক্টোবর) শিল্প মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘শেখ রাসেল দিবস-২০২৩’ উদযাপনকালে তিনি এ কথা বলেন।
এসময় শিল্পমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর পদাঙ্ক অনুসরণ করে তার সুযোগ্য কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন শিল্প-সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছেন, ঠিক তখনই স্বাধীনতাবিরোধীরা দেশে অস্থিরতা সৃষ্টির পাঁয়তারা চালাচ্ছে। তাই দেশের উন্নয়ন-অগ্রগতি যাতে কোনোভাবেই থেমে না যায় সেজন্য সতর্ক থাকতে হবে, দেশকে মনেপ্রাণে ভালোবাসতে হবে এবং দেশের সার্বিক কল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে।
তিনি বলেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হবে সংবিধান অনুযায়ী, এর কোনো ব্যতিক্রম হবে না।
পশ্চিমা বিশ্বের উদ্দেশে শিল্প প্রতিমন্ত্রী কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ঘাতকরা বঙ্গবন্ধুর পরিবারকে সমূলে নির্মূল করতেই পূর্বপরিকল্পিতভাবে নির্মমভাবে হত্যাযজ্ঞ চালিয়েছিল। দেশের বাইরে থাকার কারণে বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা সেদিন প্রাণে বেঁচে গিয়েছিলেন। আজ যারা মানবতার কথা বলেন, ১৯৭৫ সালে তাদের মানবতা কোথায় ছিল?
তিনি বলেন, যারা ফিলিস্তিনসহ বিশ্বের বিভিন্ন জায়গায় নির্বিচারে মানুষকে হত্যা করছে তাদের মুখে মানবতার কথা মানায় না। জিয়াউর রহমানই হ্যাঁ-না ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছিল এবং গ্রামে-গঞ্জে উন্নয়নের নামে মদ-জুয়া-হাউজি চালু করেছিল। তার ছেলে তারেক রহমান এখন দেশের বাইরে থেকে বড় বড় কথা বলে। সৎ সাহস থাকলে সে নিজের মাকে দেখতে এবং মামলা মোকাবিলা করতে অবশ্যই দেশে আসত।
শিল্প সচিব জাকিয়া সুলতানা বলেন, শেখ রাসেলকে মাত্র ১০ বছর বয়সেই ঘাতকরা নির্মমভাবে হত্যা করেছে। প্রতিভাবান শেখ রাসেল বেঁচে থাকলে নিজেকে এক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যেতেন। দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করতেন, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতি আরও ত্বরান্বিত হতো।
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শকে বুকে ধারণ করে মহান মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত হয়ে সবাইকে নিজ নিজ অবস্থানে থেকেই মানবকল্যাণে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। দেশের উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রাকে অব্যাহত রাখতে হবে। সবার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় গড়ে তুলতে হবে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা তথা স্মার্ট বাংলাদেশ।
এর আগে, শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিচতলার লবিতে স্থাপিত শেখ রাসেলের প্রতিকৃতিতে শিল্পমন্ত্রী, প্রতিমন্ত্রী, শিল্প মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিবসহ মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এবং বিভিন্ন দপ্তর সংস্থার প্রধানরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।