ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকার বৃহৎ হাসপাতাল আল-শিফার কাছ থেকে এক নোয়া মার্সিয়ানো নামের এক মৃত সেনার মরদেহ উদ্ধার করেছে ইসরায়েলি সেনারা। উদ্ধারের পর তাকে ইসরায়েলে নিয়ে আসা হয়েছে।
শুক্রবার (১৭ নভেম্বর) তার মরদেহ উদ্ধারের দাবি করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ)। এ ব্যাপারে এক বিবৃতিতে তারা বলেছে, ’১৯ বছর বয়সী কর্পোরাল নোয়া মার্সিয়ানোকে গত ৭ অক্টোবর অপহরণ করা হয়। আল-শিফা হাসপাতালের কাছে তার মরদেহ পাওয়া যায়। সেখান থেকে অন্যান্য সেনারা তার মরদেহ উদ্ধার করেন। আইডিএফ তার পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছে এবং আমরা তাদের সহায়তা করে যাব।’
তিন দিন আগে হামাস দাবি করে, ইসরায়েলি সেনা নোয়া ইসরায়েলের চালানো বিমান হামলাতেই প্রাণ হারিয়েছে। ওইদিন তারা তার একটি ভিডিও প্রকাশ করে। সেটিতে দেখা যায়, নোয়া বলছেন, তাকে ৭ অক্টোবর হামাসের যোদ্ধারা গাজায় ধরে নিয়ে আসেন। ওই ভিডিওতেই নোয়ার মরদেহ দেখানো হয়। তখন আরবীতে একটি লেখা ভেসে ওঠে, সেটি বলা হয়, নোয়া ইসরায়েলিদের চালানো বিমান হামলায় নিহত হয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইহুদিত ওয়েস নামের ৬৫ বছর বয়সী অপর এক জিম্মির মরদেহ উদ্ধারের তথ্য জানায় ইসরায়েলি সেনারা। তার মরদেহও আল-শিফা হাসপাতালের কাছে পাওয়ার দাবি জানিয়েছে ইসরায়েল।
এই নারীকে গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েল থেকে ধরে গাজায় নিয়ে যায় হামাসের যোদ্ধারা। ওইদিন তার স্বামীকে হত্যা করে তারা।
গত বুধবার গাজার আল-শিফা হাসপাতালের ভেতর অভিযান শুরু করে দখলদার ইসরায়েলি বাহিনী। এরপর থেকে এই হাসপাতালের ভেতর তাণ্ডব চালিয়ে আসছে তারা। ইসরায়েল দাবি করেছে, আল-শিফার নিচে হামাসের কমান্ড সেন্টার আছে। যদিও এ দাবির পক্ষে এখন পর্যন্ত শক্তিশালী কোনো প্রমাণ দেখাতে পারেনি তারা।