পবিত্র ইদুল ফিতর উপলক্ষে কেনাকাটার জন্য রাজধানীবাসীর চলাচল নির্বিঘ্ন করতে উদ্যোগ নিয়েছে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষ। সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, আগামী বুধবার (২৭ মার্চ) থেকে রাত ৯টার পরও চলবে মেট্রোরেল। আর এজন্য বাড়ানো হবে ট্রেনের সংখ্যাও।
মেট্রোরেল নির্মাণ ও পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) জানিয়েছে, ১৬তম রোজার দিন মতিঝিল থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ৪০ মিনিটে এবং উত্তরা থেকে সর্বশেষ ট্রেন ৯টা ২০ মিনিটে ছাড়বে। বাড়তি সময়ে ১২ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করবে। এতে চলাচলরত ট্রেনের সংখ্যা ১০টি বাড়বে। এখন দিনে ১৮৪ বার ট্রেন চলে। আর রমজান উপলক্ষে নতুন শিডিউলে চলবে ১৯৪ বার। তবে, পবিত্র ঈদুল ফিতরের দিন মেট্রোরেল বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, মেট্রোরেলে দিনে পাঁচ লাখ যাত্রী চলাচল করার সক্ষমতা রয়েছে। এ ক্ষেত্রে প্রতি চার মিনিট পরপর ট্রেন চালাতে হবে। এজন্য প্রয়োজনীয় ২৪ সেট মেট্রোরেল আছেও। তবে, এখনও পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতায় মেট্রোরেল চালু করতে জুন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাচ্ছে ডিএমটিসিএল।
বর্তমানে সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা ৪০ মিনিট পর্যন্ত চলে মেট্রোরেল। যার মধ্যে পিক আওয়ারে সকাল ৭টা থেকে বেলা সাড়ে ১১টা এবং দুপুর ২টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রতি ৮ মিনিট পরপর ট্রেন চলাচল করে। আর বেলা ১১টা থেকে দুপুর ২টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত অফ পিক আওয়ারে ১২ মিনিট পরপর মেট্রোরেল চলাচল করে।
ডিএমটিসিএল সূত্র বলছে, রোজা শুরুর আগের ১৫ দিন প্রতিদিন গড়ে পৌনে তিন লাখ যাত্রী যাতায়াত করেছে। কিন্তু রোজা শুরুর পর দিনে গড়ে ২ লাখ ৩৫ হাজার যাত্রী যাতায়াত করছে। মেট্রোরেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের ধারণা, রোজার শেষ অর্ধে যাত্রীর চাপ বাড়বে। এ ছাড়া চলাচলের সময় বাড়ানোর ফলে যাত্রীসংখ্যা আগের জায়গায় চলে যাবে বা এর চেয়েও বেশি হবে। আর ঈদের পর বাড়তি যাত্রী অব্যাহত থাকলে এপ্রিলেই দুই ট্রেনের মধ্যে চলাচলের যে সময় নির্ধারিত আছে, তা কমিয়ে আনার উদ্যোগ নেওয়া হতে পারে।
সক্ষমতা থাকার পরও পূর্ণাঙ্গ সক্ষমতায় ট্রেন চালুর বিষয়ে অপেক্ষা কেন, এমন প্রশ্নে ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক জানান, মেট্রোরেল চালুর পর থেকেই যাত্রী চলাচলের ধরন নিয়ে বিশ্লেষণ করছেন তারা। প্রয়োজন অনুসারে দুই ট্রেনের সময় কমিয়ে আনছেন। মূলত নিজেদের আয়ে পরিচালিত হচ্ছে মেট্রোরেল। সরকার থেকে কোনো ভর্তুকি নেওয়া হচ্ছে। সুষ্ঠুভাবে মেট্রোরেল পরিচালনা ও বিদ্যুতের খরচ ওঠানো গুরুত্বপূর্ণ। তাই যাত্রী না বাড়িয়ে ট্রেনের সংখ্যা বাড়ালে লোকসান গুনতে হবে।