গভীর রাতে খাবার খেলে যেসব ক্ষতি

অতিথি লেখক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
গভীর রাতে খাবার খেলে যেসব ক্ষতি
গভীর রাতে খাবার খেলে যেসব ক্ষতি

গভীর রাতে খাবার খাওয়া অনেকের জন্য সাধারণ অভ্যাস। রাতে অফিস বা পড়াশোনার চাপ, শারীরিক কাজের পরে ক্ষুধা— এসব কারণে রাতের খাবার ছাড়া থাকা কঠিন মনে হতে পারে। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, গভীর রাতে খাবার খেলে শরীরের জন্য নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। শুধু ওজনই নয়, ঘুম, হজম ও শারীরিক রোগও প্রভাবিত হয়।

১. ওজন বৃদ্ধি

রাতের খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, বিশেষ করে ভারী বা তেলযুক্ত খাবার। রাতের সময় শরীরের মেটাবলিজম ধীর থাকে। এর ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়, যা চর্বি হিসেবে সংরক্ষিত হয়। নিয়মিত গভীর রাতে খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি ঘটে।

২. হজমের সমস্যা

রাতের খাবার হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় না পেলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজম ও বদনজর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

৩. ঘুমের ব্যাঘাত

ভারী খাবার খাওয়ার পর শরীর ঘুমাতে গেলে স্বাভাবিক ঘুম ব্যাহত হয়। ঘুমের প্রক্রিয়া ধীর হয় এবং নিদ্রাহীনতা, স্বপ্নের অস্বস্তি বা ঘুমের খারাপ মান তৈরি হতে পারে।

৪. হার্ট ও রক্তচাপের সমস্যা

গভীর রাতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি পেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগ, রক্তচাপ ও ধমনীজনিত সমস্যা বাড়াতে পারে।

৫. শর্করা ও মেটাবলিজমের প্রভাব

রাতের খাবার সঠিক সময়ে না খেলে ইনসুলিনের মাত্রা ও রক্তে শর্করার সমতা প্রভাবিত হয়। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং মেটাবলিজম ঠিক থাকে না।

৬. মানসিক স্বাস্থ্য ও সতেজতা

রাতের খাবার হজমে মনোযোগ ব্যাহত হলে সকালে ক্লান্তি, মনোযোগের ঘাটতি ও কর্মক্ষমতার হ্রাস দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হতে পারে।

গভীর রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। ওজন নিয়ন্ত্রণ, হজম, ঘুম, হার্ট এবং শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাতের খাবার হালকা ও সময়মতো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মূল বিষয় হলো— গভীর রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজন হলে হালকা স্ন্যাক্স বা ফল খাওয়া।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

গভীর রাতে খাবার খেলে যেসব ক্ষতি

গভীর রাতে খাবার খেলে যেসব ক্ষতি
গভীর রাতে খাবার খেলে যেসব ক্ষতি

গভীর রাতে খাবার খাওয়া অনেকের জন্য সাধারণ অভ্যাস। রাতে অফিস বা পড়াশোনার চাপ, শারীরিক কাজের পরে ক্ষুধা— এসব কারণে রাতের খাবার ছাড়া থাকা কঠিন মনে হতে পারে। তবে চিকিৎসকরা সতর্ক করে বলছেন, গভীর রাতে খাবার খেলে শরীরের জন্য নানা ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। শুধু ওজনই নয়, ঘুম, হজম ও শারীরিক রোগও প্রভাবিত হয়।

১. ওজন বৃদ্ধি

রাতের খাবার হজম হতে বেশি সময় নেয়, বিশেষ করে ভারী বা তেলযুক্ত খাবার। রাতের সময় শরীরের মেটাবলিজম ধীর থাকে। এর ফলে অতিরিক্ত ক্যালরি জমা হয়, যা চর্বি হিসেবে সংরক্ষিত হয়। নিয়মিত গভীর রাতে খাবার খেলে দ্রুত ওজন বৃদ্ধি ঘটে।

২. হজমের সমস্যা

রাতের খাবার হজমের জন্য পর্যাপ্ত সময় না পেলে অ্যাসিডিটি, গ্যাস, বদহজম ও বদনজর সমস্যা দেখা দিতে পারে। এতে গ্যাস্ট্রিক আলসার বা অন্যান্য হজমজনিত সমস্যা হওয়ার ঝুঁকিও থাকে।

৩. ঘুমের ব্যাঘাত

ভারী খাবার খাওয়ার পর শরীর ঘুমাতে গেলে স্বাভাবিক ঘুম ব্যাহত হয়। ঘুমের প্রক্রিয়া ধীর হয় এবং নিদ্রাহীনতা, স্বপ্নের অস্বস্তি বা ঘুমের খারাপ মান তৈরি হতে পারে।

৪. হার্ট ও রক্তচাপের সমস্যা

গভীর রাতে অতিরিক্ত খাবার খাওয়ার ফলে শরীরে কোলেস্টেরল ও ট্রাইগ্লিসারাইড বৃদ্ধি পেতে পারে। দীর্ঘমেয়াদে এটি হৃদরোগ, রক্তচাপ ও ধমনীজনিত সমস্যা বাড়াতে পারে।

৫. শর্করা ও মেটাবলিজমের প্রভাব

রাতের খাবার সঠিক সময়ে না খেলে ইনসুলিনের মাত্রা ও রক্তে শর্করার সমতা প্রভাবিত হয়। এতে ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়তে পারে এবং মেটাবলিজম ঠিক থাকে না।

৬. মানসিক স্বাস্থ্য ও সতেজতা

রাতের খাবার হজমে মনোযোগ ব্যাহত হলে সকালে ক্লান্তি, মনোযোগের ঘাটতি ও কর্মক্ষমতার হ্রাস দেখা দেয়। দীর্ঘমেয়াদে মানসিক চাপ ও অবসাদ তৈরি হতে পারে।

গভীর রাতে খাবার খাওয়ার অভ্যাস শরীর ও মানসিক স্বাস্থ্য উভয়ের জন্য ক্ষতিকর। ওজন নিয়ন্ত্রণ, হজম, ঘুম, হার্ট এবং শর্করার ভারসাম্য বজায় রাখতে রাতের খাবার হালকা ও সময়মতো খাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। মূল বিষয় হলো— গভীর রাতে ভারী খাবার এড়িয়ে চলা এবং প্রয়োজন হলে হালকা স্ন্যাক্স বা ফল খাওয়া।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত