পরকীয়া বা বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক শুধু ব্যক্তিগত নয়, সমাজের জন্যও ভয়াবহ প্রভাব ফেলতে পারে। এটি পরিবারের অস্থিরতা, মানসিক চাপ এবং সামাজিক মর্যাদা হ্রাসের মূল কারণ হিসেবে বিবেচিত। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, পরকীয়া একদিকে ব্যক্তিগত বিশ্বাসঘাতকতা এবং অপরদিকে সমাজে নৈতিক অবক্ষয়ের সূচনা করে।
১. পারিবারিক অস্থিরতা
পরকীয়ার ফলে পরিবারে অস্থিরতা তৈরি হয়। স্বামী-স্ত্রী বা প্রেমিক-প্রেমিকার মধ্যে বিশ্বাসহীনতা দেখা দেয়। সন্তানদের মানসিক বিকাশের উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। পরিবারে বিরোধ, ঝগড়া এবং বিচ্ছেদের সম্ভাবনা বৃদ্ধি পায়।
২. সামাজিক মর্যাদা ও সুনামের ক্ষতি
পরকীয়া ব্যক্তির সামাজিক মর্যাদাকে ধ্বংস করে। গ্রাম, সমাজ বা কাজের জায়গায় বিশ্বাস কমে যায়। এতে পরিবার এবং ব্যক্তির সম্পর্ক উভয়ের সামাজিক অবস্থান দুর্বল হয়।
৩. মানসিক চাপ ও উদ্বেগ
পরকীয়ায় লিপ্ত ব্যক্তি এবং তার পার্টনার উভয়ই মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তা ও অপরাধবোধ অনুভব করে। দীর্ঘমেয়াদে এটি বিষণ্ণতা, উদ্বেগ এবং সম্পর্কের ভাঙন ঘটাতে পারে।
৪. আইনগত ও আর্থিক ঝুঁকি
বিবাহবহির্ভূত সম্পর্ক অনেক সময় আইনি জটিলতার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। সম্পত্তি, কস্টডি বা বিচ্ছেদের মতো বিষয়গুলো জটিল হতে পারে। অপরাধমূলক বা হুমকিস্বরূপ সম্পর্ক সমাজে আর্থিক ক্ষতির কারণ হতে পারে।
৫. নৈতিক ও ধর্মীয় প্রভাব
পরকীয়া সমাজে নৈতিক অবক্ষয় ঘটায়। ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে এটি নিষিদ্ধ এবং পাপ হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের সম্পর্কের ফলে সামাজিক মূল্যবোধ ও নৈতিক শিক্ষার ক্ষতি হয়।
পরকীয়া শুধু ব্যক্তিগত নয়, পুরো সমাজের জন্য বিপজ্জনক। এটি পারিবারিক অস্থিরতা, সামাজিক মর্যাদা হ্রাস, মানসিক চাপ এবং নৈতিক অবক্ষয়ের কারণ। সমাজ ও পরিবারকে শক্তিশালী রাখতে ব্যক্তিগত দায়বদ্ধতা, সততা এবং নৈতিক মান বজায় রাখা অপরিহার্য।