ট্রাম্প-নেতানিয়াহু যৌথ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা

আন্তর্জাতিক ডেস্ক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
ট্রাম্প-নেতানিয়াহু যৌথ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান স্থগিত এবং বন্দি-বদলের মাধ্যমে পরিস্থিতি শীতল করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি ও নিহতদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে এবং এর বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। একই সাথে প্রতি একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরতের বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন নিহত গাজার বাসিন্দার মরদেহ ফেরত দেবে—এভাবে বিচার্য ও মানবিক বিনিময় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।

প্রস্তাবে উল্লেখযোগ্য যে হামাস গাজার শাসনভার গ্রহণ করতে পারবে না; ভবিষ্যতে একটি সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ রাখা হলেও গাজার শাসন রাজনৈতিকভাবে বদলানো হবে না। যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে যতক্ষণ না ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট সেনা প্রত্যাহারের শর্ত পূরণ হয়। হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলা হয়েছে এবং তাদের টানেল ও অস্ত্র কারখানা ধ্বংস করার শর্ত রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক ভূমিকা নিশ্চিত করতে প্রস্তাবে একটি ‘বোর্ড অব পিস’ গঠন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প; এতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ কয়েকজন আন্তর্জাতিক নেতা অংশ নেবেন। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে গাজা পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এবং এতে উল্লেখ রয়েছে যে ইসরায়েল গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না—ট্রাম্প বলেন, গাজায় মানুষের সেখানে থেকে একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হবে।

ট্রম্প সংবাদ সম্মেলনে একে ‘শান্তির ঐতিহাসিক দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সতর্ক করে বলেছেন যে হামাস যদি প্রস্তাব মানতে না চায় তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থেকে ‘হামাসকে ধ্বংসের কাজ শেষ করার’ জন্য পূর্ণ সমর্থন দেবে। নেতানিয়াহুও মিলিটারির বিকল্প হিসেবে একই রকম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন—প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটিকে ‘আন্তরিক ও দৃঢ় প্রচেষ্টা’ বলে অভিবাদন জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা ও বন্দি বিনিময়ের জন্য কাজ শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সবাই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সকল পক্ষকে সুযোগটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে হামাসের প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্রক্রিয়ার ওপর; যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয় তবে উভয় পক্ষের সতর্কবার্তা অনুসারে সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হতে পারে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

ট্রাম্প-নেতানিয়াহু যৌথ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা

ট্রাম্প-নেতানিয়াহু যৌথ শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু গাজার জন্য একটি নতুন শান্তি পরিকল্পনা ঘোষণা করেছেন। পরিকল্পনায় তাৎক্ষণিকভাবে সামরিক অভিযান স্থগিত এবং বন্দি-বদলের মাধ্যমে পরিস্থিতি শীতল করার প্রস্তাব রাখা হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হামাসকে ৭২ ঘণ্টার মধ্যে জীবিত ২০ জন ইসরায়েলি জিম্মি ও নিহতদের মরদেহ ফেরত দিতে হবে এবং এর বিনিময়ে শত শত ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেয়া হবে। একই সাথে প্রতি একজন ইসরায়েলি জিম্মির মরদেহ ফেরতের বিনিময়ে ইসরায়েল ১৫ জন নিহত গাজার বাসিন্দার মরদেহ ফেরত দেবে—এভাবে বিচার্য ও মানবিক বিনিময় নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হবে।

প্রস্তাবে উল্লেখযোগ্য যে হামাস গাজার শাসনভার গ্রহণ করতে পারবে না; ভবিষ্যতে একটি সম্ভাব্য ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র গঠনের পথ রাখা হলেও গাজার শাসন রাজনৈতিকভাবে বদলানো হবে না। যুদ্ধক্ষেত্রের বর্তমান অবস্থা অপরিবর্তিত থাকবে যতক্ষণ না ধাপে ধাপে নির্দিষ্ট সেনা প্রত্যাহারের শর্ত পূরণ হয়। হামাসকে অস্ত্র সমর্পণ করতে বলা হয়েছে এবং তাদের টানেল ও অস্ত্র কারখানা ধ্বংস করার শর্ত রাখা হয়েছে।

আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক ভূমিকা নিশ্চিত করতে প্রস্তাবে একটি ‘বোর্ড অব পিস’ গঠন করার পরামর্শ দেয়া হয়েছে, যার নেতৃত্বে থাকবেন ট্রাম্প; এতে সাবেক ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী টনি ব্লেয়ারসহ কয়েকজন আন্তর্জাতিক নেতা অংশ নেবেন। অর্থনৈতিক উন্নয়ন কর্মসূচির মাধ্যমে গাজা পুনর্গঠন এবং পুনর্বাসনের প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে, এবং এতে উল্লেখ রয়েছে যে ইসরায়েল গাজা দখল বা সংযুক্ত করবে না—ট্রাম্প বলেন, গাজায় মানুষের সেখানে থেকে একটি ভালো ভবিষ্যৎ গড়ার জন্য উৎসাহ দেয়া হবে।

ট্রম্প সংবাদ সম্মেলনে একে ‘শান্তির ঐতিহাসিক দিন’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন এবং সতর্ক করে বলেছেন যে হামাস যদি প্রস্তাব মানতে না চায় তবে যুক্তরাষ্ট্র ইসরায়েলের পাশে থেকে ‘হামাসকে ধ্বংসের কাজ শেষ করার’ জন্য পূর্ণ সমর্থন দেবে। নেতানিয়াহুও মিলিটারির বিকল্প হিসেবে একই রকম সতর্ক বার্তা দিয়েছেন—প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হলে অভিযান চালিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি থাকবে। ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ প্রস্তাবটিকে ‘আন্তরিক ও দৃঢ় প্রচেষ্টা’ বলে অভিবাদন জানিয়েছে এবং যুক্তরাষ্ট্র ও আঞ্চলিক অংশীদারদের সঙ্গে মিলে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা ও বন্দি বিনিময়ের জন্য কাজ শুরু করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী স্যার কিয়ার স্টারমার, ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট এবং ফরাসি প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাক্রোঁ সবাই প্রস্তাবকে স্বাগত জানিয়ে সকল পক্ষকে সুযোগটি কাজে লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন।

পরিকল্পনার বাস্তবায়ন নির্ভর করবে হামাসের প্রতিক্রিয়া এবং আন্তর্জাতিক তত্ত্বাবধায়ক বোর্ড ও সংশ্লিষ্ট পক্ষগুলোর সমন্বয়ে গঠিত প্রক্রিয়ার ওপর; যদি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয় তবে উভয় পক্ষের সতর্কবার্তা অনুসারে সামরিক অভিযান পুনরায় শুরু হতে পারে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত