স্বাস্থ্য-মানসিক সতর্কতার জন্য সকালে যা করণীয়

অতিথি লেখক এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
স্বাস্থ্য-মানসিক সতর্কতার জন্য সকালে যা করণীয়
স্বাস্থ্য-মানসিক সতর্কতার জন্য সকালে যা করণীয়

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথম ঘণ্টাগুলো আমাদের দেহ ও মনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে নেওয়া সঠিক অভ্যাস সারাদিনের স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস আমাদের শরীর ও মনের জন্য অপরিহার্য।

পানি পান করা: শরীরের সতেজতা ও বিপাক সচল করা

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ ঘুমের সময় দেহের জলীয় পরিমাণ কমে যায়। পানি পান করলে শরীরের ত্বক সতেজ থাকে, হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং দেহের বিপাক সচল হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকাল বেলায় এক গ্লাস বা এক কাপ উষ্ণ পানি শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং পেশী ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং: শরীরকে সক্রিয় রাখা

সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পেশী শক্তি উন্নত করে এবং মনকে সতেজ রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু ৫–১০ মিনিটের হালকা স্ট্রেচিংও সারাদিনের উৎপাদনশীলতা এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে। যোগব্যায়াম বা হালকা হাঁটাহাঁটিও সকালকে আরও কার্যকর করে তোলে।

স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট: শক্তি ও পুষ্টির উৎস

সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট আমাদের দেহের জন্য প্রধান শক্তি ও পুষ্টির উৎস। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার সকালেই গ্রহণ করা উচিত। ফল, ডিম, দই এবং ওটমিল জাতীয় খাবার শরীর ও মস্তিষ্ককে কার্যকরভাবে সক্রিয় রাখে। স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট মানসিক সতেজতা ও সারাদিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মনকে প্রস্তুত করা: ধ্যান ও মননশীলতা

সকালের কিছু সময় ধ্যান, প্রার্থনা বা ধ্যানচিন্তায় ব্যয় করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মনকে শান্ত রাখে, চাপ কমায় এবং ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালের ধ্যান বা সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস আমাদের মনকে সঠিকভাবে দিন শুরু করার জন্য প্রস্তুত করে।

পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ

সকালের প্রথম সময়টিতে দিনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি কার্যতালিকা তৈরি করা, গুরুত্বপূর্ণ কাজ চিহ্নিত করা এবং সময় নির্ধারণের মাধ্যমে সারাদিনকে কার্যকর করে তোলে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, দিনের শুরুতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা মানসিক চাপ কমায় এবং উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছু সঠিক অভ্যাস আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। পানি পান, হালকা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট, ধ্যান এবং দিনের পরিকল্পনা এই অভ্যাসগুলোকে সারাদিনের শক্তি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি আমরা প্রতিদিন সকালে এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করি, তা আমাদের দৈনন্দিন জীবন, কর্মক্ষমতা এবং সামগ্রিক সুস্থতায় দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

স্বাস্থ্য-মানসিক সতর্কতার জন্য সকালে যা করণীয়

স্বাস্থ্য-মানসিক সতর্কতার জন্য সকালে যা করণীয়
স্বাস্থ্য-মানসিক সতর্কতার জন্য সকালে যা করণীয়

সকালে ঘুম থেকে উঠার পর প্রথম ঘণ্টাগুলো আমাদের দেহ ও মনের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই সময়ে নেওয়া সঠিক অভ্যাস সারাদিনের স্বাস্থ্য, মনোযোগ এবং উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধিতে বিশেষ ভূমিকা রাখে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনযাত্রার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে সকালের কিছু গুরুত্বপূর্ণ অভ্যাস আমাদের শরীর ও মনের জন্য অপরিহার্য।

পানি পান করা: শরীরের সতেজতা ও বিপাক সচল করা

সকালে ঘুম থেকে ওঠার সঙ্গে সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি পান করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। দীর্ঘ ঘুমের সময় দেহের জলীয় পরিমাণ কমে যায়। পানি পান করলে শরীরের ত্বক সতেজ থাকে, হজম প্রক্রিয়া সহজ হয় এবং দেহের বিপাক সচল হয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, সকাল বেলায় এক গ্লাস বা এক কাপ উষ্ণ পানি শরীরের টক্সিন বের করতে সাহায্য করে এবং পেশী ও অঙ্গপ্রত্যঙ্গের কার্যক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

হালকা ব্যায়াম ও স্ট্রেচিং: শরীরকে সক্রিয় রাখা

সকালে ঘুম থেকে উঠে হালকা ব্যায়াম বা স্ট্রেচিং করা শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। এটি রক্তসঞ্চালন বৃদ্ধি করে, পেশী শক্তি উন্নত করে এবং মনকে সতেজ রাখে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, শুধু ৫–১০ মিনিটের হালকা স্ট্রেচিংও সারাদিনের উৎপাদনশীলতা এবং মনোযোগ বৃদ্ধি করতে পারে। যোগব্যায়াম বা হালকা হাঁটাহাঁটিও সকালকে আরও কার্যকর করে তোলে।

স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট: শক্তি ও পুষ্টির উৎস

সকালের নাস্তা বা ব্রেকফাস্ট আমাদের দেহের জন্য প্রধান শক্তি ও পুষ্টির উৎস। বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দেন, প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট এবং ভিটামিন সমৃদ্ধ খাবার সকালেই গ্রহণ করা উচিত। ফল, ডিম, দই এবং ওটমিল জাতীয় খাবার শরীর ও মস্তিষ্ককে কার্যকরভাবে সক্রিয় রাখে। স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট মানসিক সতেজতা ও সারাদিনের কর্মক্ষমতা বৃদ্ধি করে।

মনকে প্রস্তুত করা: ধ্যান ও মননশীলতা

সকালের কিছু সময় ধ্যান, প্রার্থনা বা ধ্যানচিন্তায় ব্যয় করা মানসিক স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি মনকে শান্ত রাখে, চাপ কমায় এবং ধৈর্যশক্তি বৃদ্ধি করে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, সকালের ধ্যান বা সচেতন শ্বাস-প্রশ্বাস আমাদের মনকে সঠিকভাবে দিন শুরু করার জন্য প্রস্তুত করে।

পরিকল্পনা ও লক্ষ্য নির্ধারণ

সকালের প্রথম সময়টিতে দিনের পরিকল্পনা নির্ধারণ করা গুরুত্বপূর্ণ। এটি কার্যতালিকা তৈরি করা, গুরুত্বপূর্ণ কাজ চিহ্নিত করা এবং সময় নির্ধারণের মাধ্যমে সারাদিনকে কার্যকর করে তোলে। মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, দিনের শুরুতে লক্ষ্য নির্ধারণ করা মানসিক চাপ কমায় এবং উদ্দীপনা বৃদ্ধি করে।

সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর কিছু সঠিক অভ্যাস আমাদের শারীরিক, মানসিক এবং মনস্তাত্ত্বিক স্বাস্থ্যের জন্য অপরিহার্য। পানি পান, হালকা ব্যায়াম, স্বাস্থ্যকর ব্রেকফাস্ট, ধ্যান এবং দিনের পরিকল্পনা এই অভ্যাসগুলোকে সারাদিনের শক্তি ও উৎপাদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, যদি আমরা প্রতিদিন সকালে এই অভ্যাসগুলো অনুসরণ করি, তা আমাদের দৈনন্দিন জীবন, কর্মক্ষমতা এবং সামগ্রিক সুস্থতায় দীর্ঘমেয়াদে উল্লেখযোগ্য প্রভাব ফেলবে।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত