আমরা সকলেই কমবেশি মুভি দেখে থাকি আর এটাও জেনে থাকি মুভি/সিনেমা করার জন্য অভিনেতা/নায়করা প্রচুর পরিমাণে অর্থ নিয়ে থাকে। মুভির হিরোরা মুভি ছাড়াও, টিভি শো, লাইভ অনুষ্ঠান, ইত্যাদি করে প্রচুর পরিমানের অর্থ ইনকাম করে থাকে, আর এই সবকিছু মিলে তারা প্রতিবছর বিপুল পরিমাণ এর অর্থ উপার্জন করে থাকে, এই রোমাঞ্চকর পর্বে আমরা দেখব বিশ্বের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাসীল ১০ হিরো সম্পর্কে আর তার সাথে দেখবো তাদের ইনকাম টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ, তাদের পরিবার, বাড়ি গাড়িসহ আরো অজানা তথ্য।
ভিন ডাইসেল
তার টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ ২০০ মিলিয়ন ডলার , যা বাংলাদেশি টাকায় ১ হাজার ৬৮০ কোটি টাকা, ভিন ডাইসেল তার ফাস্ট এন্ড ফিউরিয়াস মুভি জন্য সারা পৃথিবীতে বিখ্যাত, এ পর্যন্ত এই মুভিটির ৮ টি পার্ট বের হয়েছে, যার সবগুলোই ছিল দর্শকের কাছে তুমুল জনপ্রিয়। ভিন ডাইসেল মুভি গুলোর সিরিজ থেকে প্রচুর পরিমাণে টাকা ইনকাম করেছে। একসাথে আরো মুভিতেও কাজ করেছে ,এর জন্য তাকে হলিউডের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাশীল অভিনেত্রীর মধ্যে একজন বলা হয়।
আমির খান ইন্ডিয়া
তার টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ ২১০ মিলিয়ন আমেরিকান ডলার যা বাংলাদেশি টাকায় ১,৭৬৪ কোটি টাকা, আমির খান তার জীবনের ৬০ টির চেয়েও বেশি মুভিতে কাজ করেছেন, এবং প্রতি মুভির জন্য তিনি ৬০ কোটি টাকার মত পারিশ্রমিক নিয়ে থাকেন। আর এর জন্য তাকে বলিউডের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাসীল অভিনেতাদের মধ্যে একজন মানা হয়।
লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও
তার টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ ২৪৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ২০৫৮ কোটি টাকা, আপনি হয়তো জীবনে একবার হলেও টাইটানিক মুভি দেখে থাকবেন? টাইটানিক মুভি জ্যাক এবং রোজ এর ভালোবাসা যেমন রোমান্টিক ছিল মুভি, শেষের দিকে জ্যাকেট সমুদ্রে ডুবে যাওয়া আর রোজার বেঁচে থাকা কাঁদিয়েছিল সবাইকে। এই মুভিটি ছিল সেই সময়ের বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ইনকাম করা মুভি, লিওনার্দো ডিক্যাপ্রিও, আরো অনেকগুলো মুভিতে কাজ করেছে। যার প্রতিটি মুভি ছিল ব্লকবাস্টার, আর এই কারণেই তাকে হলিউডের সবচেয়ে ধনী তারকাদের মধ্যে একজন মানা হয়।
উইল স্মিথ
তার সম্পদের পরিমাণ ২৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ২১ হাজার কোটি টাকা , উইল পৃথিবীর সবচেয়ে. সাকসেসফুল ব্ল্যাক এক্টর, তার সবচেয়ে সাকসেসফুল মুভি ছিল ম্যানেজ লাক, এর পরে একের পর এক সুপারহিট মুভি করে দর্শকদের উপহার দেন। তার মধ্যে অন্যতম সুইসাইড স্কুয়ার্ড , ব্রাইট, দা প্রেসিডেন্ট অফ হ্যাপিনেস, ইত্যাদি এই কারণেই তাকে হলিউডের সবচেয়ে ধনী এবং ক্ষমতাশীল তারকাদের মধ্যে একজন মানা হয়।
জ্যাকি চান
তার টোটাল সম্পত্তির পরিমাণ ৩৫০ মিলিয়ন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় ২ হাজার ৭৪০ কোটি টাকার মতো.। আমার মতে জ্যাকি চ্যানের মত এত মেহনত এক্টর পুরো পৃথিবীতে আর নেই ,জ্যাকি চ্যান ১৯৫২ সাল থেকে ফিল্মে কাজ করেন এ পর্যন্তই অভিনেতা ১০০ টির ও বেশি মুভিতে কাজ করেছেন। আর এগুলোর মধ্যে জ্যাকি চ্যানের ফাইটিং দৃশ্য গুলো এক অন্য মাত্রা যোগ করে। তার সকল ফাইটিং দৃশ্য অরিজিনাল হয়ে থাকে জ্যাকি চ্যান এখন বড় হয়ে গেছেন, তারপরও এখনো তার ছবি মুক্তি পায়।


