৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

ডেস্ক এডিটর এজেড নিউজ বিডি, ঢাকা
৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি
৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৬৫ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। আর শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে ১ হাজার ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সকাল ১১টায় একযোগে ফল প্রকাশিত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এবারের পরীক্ষায় ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও শিক্ষার্থী পাস করেনি। আর শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে ১ হাজার ৩৮৮ প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২৩ সালে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪০টি, এবার বেড়েছে। তবে গত বছর আমরা চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও শিক্ষার্থী পাস করবে না, তাদের বিরুদ্ধে এবারও ব্যবস্থা নেবো।’

কেউ পাস না করা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অধ্যাপক স্থাপন কুমার সরকার বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করে না, এমন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী থাকে কম দুই-একজন। এসব প্রতিষ্ঠান নন-এমপিও।’

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। মোট উত্তীর্ণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে।

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার সারা দেশে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দেয় সরকার।

এরপর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে স্থগিত পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছিলো, জেএসসির বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এইচএসসির ৭৫ শতাংশ যোগ করে যে নম্বর পাবে সেই নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে।

প্রস্তাবের পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুধু এইচএসসি পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে ফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি

৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি
৬৫ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কেউ পাস করেনি। ফাইল ছবি

এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় দেশের ৬৫ প্রতিষ্ঠানে কেউ পাস করেনি। আর শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে ১ হাজার ৩৮৮টি প্রতিষ্ঠানে।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ২০২৪ সালের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষার ফল প্রকাশ করা হয়। সকাল ১১টায় একযোগে ফল প্রকাশিত হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড মিলনায়তনে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব কমিটি সভাপতি অধ্যাপক তপন কুমার সরকার আনুষ্ঠানিকভাবে ফল ঘোষণা করেন।

অধ্যাপক তপন কুমার সরকার বলেন, ‘এবারের পরীক্ষায় ৬৫টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও শিক্ষার্থী পাস করেনি। আর শতভাগ পরীক্ষার্থী পাস করেছে ১ হাজার ৩৮৮ প্রতিষ্ঠান থেকে। ২০২৩ সালে শূন্য পাস প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ছিল ৪০টি, এবার বেড়েছে। তবে গত বছর আমরা চারটি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিয়েছি। যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কোনও শিক্ষার্থী পাস করবে না, তাদের বিরুদ্ধে এবারও ব্যবস্থা নেবো।’

কেউ পাস না করা প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে অধ্যাপক স্থাপন কুমার সরকার বলেন, ‘যেসব প্রতিষ্ঠান থেকে কেউ পাস করে না, এমন প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষার্থী থাকে কম দুই-একজন। এসব প্রতিষ্ঠান নন-এমপিও।’

এ বছর ১১টি শিক্ষা বোর্ডে মোট পরীক্ষা দিয়েছেন ১৩ লাখ ৩১ হাজার ৫৮ জন। মোট উত্তীর্ণ ১০ লাখ ৩৫ হাজার ৩০৯ শিক্ষার্থী। পাসের হার ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

গত বছর ১১টি বোর্ডে গড় পাসের হার ছিল ৭৮ দশমিক ৬৪ শতাংশ। সেই হিসাবে পাসের হারও কিছুটা কমেছে।

চলতি বছরের ৩০ জুন থেকে সারা দেশে একযোগে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা শুরু হয়। এবার সারা দেশে পরীক্ষার্থী ছিল ১৪ লাখ ৫০ হাজার ৭৯০ জন। কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতার কারণে গত ১৮, ২১, ২৩ ও ২৫, ২৮ জুলাই এবং ১ ও ৪ আগস্টের পরীক্ষা স্থগিত করা হয়। সবশেষে ১১ সেপ্টেম্বর থেকে নতুন সময়সূচি প্রকাশ করে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড। এরপর অবশিষ্ট পরীক্ষা না নেওয়ার দাবি করে পরীক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে পরীক্ষা না নিয়ে সাবজেক্ট ম্যাপিংয়ের মাধ্যমে ফলাফল ঘোষণার দেয় সরকার।

এরপর আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয় সাবজেক্ট ম্যাপিং করে স্থগিত পরীক্ষার ফলাফল দেওয়া হবে। আর যেসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে সেসব পরীক্ষার মূল্যায়ন করা হবে। প্রস্তাবে বলা হয়েছিলো, জেএসসির বিষয়ভিত্তিক প্রাপ্ত নম্বরের ২৫ শতাংশ এবং এইচএসসির ৭৫ শতাংশ যোগ করে যে নম্বর পাবে সেই নম্বরের ভিত্তিতে পরীক্ষার ফল নির্ধারণ করা হবে।

প্রস্তাবের পর মন্ত্রণালয় সিদ্ধান্ত দেয়, স্থগিত পরীক্ষাগুলো শুধু এইচএসসি পরীক্ষার নম্বরের ভিত্তিতে ফলাফল দিতে হবে। সেই সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফরীক্ষার ফলাফল প্রস্তুত করে শিক্ষা বোর্ডগুলো থেকে ফল ঘোষণার তারিখ নির্ধারণের প্রস্তাব দেওয়া হয়।

এজেড নিউজ বিডি ডট কম’র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।

Download
ঠিকানা: পূর্ব কাজীপাড়া, রোকেয়া সরণি, মিরপুর, ঢাকা-১২১৬ নিবন্ধনের জন্য তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ে আবেদনকৃত