কয়েক বছরের বিরতির পর আবার শুরু হতে যাচ্ছে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে নতুন নীতিমালা ও সময়সূচি প্রকাশ করেছে, যা পরীক্ষার্থী, স্কুল ও অভিভাবকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ দিকনির্দেশনা তুলে ধরবে।
নতুন নীতিমালা ও কাঠামো-
নতুন নির্দেশনায় বলা হয়েছে, মাধ্যমিক ও নিম্ন মাধ্যমিক স্কুলে অধ্যয়নরত অষ্টম শ্রেণির সর্বোচ্চ ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী এই পরীক্ষায় অংশ নিতে পারবে — তাদের নির্বাচন প্রধানত সপ্তম শ্রেণির সামষ্টিক মূল্যায়নের ভিত্তিতে হবে।
প্রশ্নপত্র পদ্ধতিতেও পরিবর্তন আনা হয়েছে। প্রতিটি বিষয়েই বহুনির্বাচনী (MCQ), সংক্ষিপ্ত উত্তর এবং সৃজনশীল প্রশ্নের মিশ্রণ থাকবে।
পরীক্ষার মোট নম্বর হবে ৪০০ — বাংলা, ইংরেজি ও গণিত প্রতি বিষয়ের জন্য ১০০ নম্বর, এবং বিজ্ঞান ও বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয়ের জন্য প্রতি বিষয় ৫০ নম্বর।
পরীক্ষার সময় প্রতিটি বিষয়ে ৩ ঘণ্টা নির্ধারণ করা হবে। কিছু ক্ষেত্রে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের জন্য অতিরিক্ত ৩০ মিনিট সময় দেওয়া হবে।
ফি কাঠামো নির্ধারণ করা হয়েছে বোর্ড ফি ৪০০ টাকা ও কেন্দ্র ফি ২০০ টাকা মিলিয়ে ৬০০ টাকা।
সময়সূচি ও প্রস্তুতির ধাপ-
পরীক্ষার রুটিন অনুযায়ী, ২১ ডিসেম্বর থেকে শুরু হবে পরীক্ষা, শেষ হবে ২৪ ডিসেম্বর।
প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রবেশপত্র আগেই সংগ্রহ করতে হবে এবং উত্তরপত্রে OMR ফরমে রোল, কোড ইত্যাদি সঠিকভাবে লিখতে হবে।
প্রস্তুতির চ্যালেঞ্জ ও পরামর্শ-
প্রথম দিকে এই পরীক্ষার পুনরায় শুরু হওয়ায় অনেকেই প্রস্তুতির দিকনির্দেশ না পেয়ে ঝামেলায় পড়ছেন। বিশেষ করে নতুন প্রশ্নপদ্ধতি ও নির্ধারিত শিক্ষার্থী সীমাবদ্ধতা বিষয়টি বড় চ্যালেঞ্জ।
শিক্ষা বিশেষজ্ঞরা নিম্নলিখিত প্রস্তুতির পরামর্শ দিচ্ছেন-
প্রশ্ন প্যাটার্ন বুঝে কাঠামো অনুযায়ী প্রস্তুতি নেওয়া।
পাঠ্যবইকে কেন্দ্র করে অধ্যয়ন ও রিভিশন করা।
প্রতি বিষয়ের জন্য আলাদা সময় নির্ধারণ করে চর্চা করা।
আগের বছরের প্রশ্ন ও মক টেস্ট সমাধান করা।
পরীক্ষার দিন স্ট্র্যাটেজি (প্রথমসর্বোচ্চ নম্বরের বিষয়, সময় বণ্টন) ঠিক করা।
আগামী পরীক্ষায় ভালো ফলাফলের প্রত্যাশায় এখন সারা দেশের শিক্ষার্থীরা শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে ব্যস্ত। শিক্ষক ও অভিভাবকরা আশাবাদী, সঠিক পরিশ্রম ও মনোযোগ থাকলে শিক্ষার্থীরা জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অর্জন করতে সক্ষম হবে।