সরকার এ বছর ভারতে ১২ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির অনুমতি দিলেও সময়সীমা শেষ হওয়ার আগেই রপ্তানি হয়েছে মাত্র এক লাখ ৩০ হাজার কেজি। এ পর্যন্ত রপ্তানি আয় হয়েছে প্রায় ১৬ লাখ ৩৭ হাজার ডলার বা ২০ কোটি টাকা। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) এ তথ্য জানিয়েছে।
এবার ইলিশ রপ্তানির অনুমতি পেয়েছে ৩৭টি প্রতিষ্ঠান। তবে সোমবার (৩০ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত রপ্তানি করেছে মাত্র ১৬টি প্রতিষ্ঠান। বাকি ২১টি প্রতিষ্ঠান এক কেজিও রপ্তানি করতে পারেনি। রপ্তানি হয়েছে মূলত বেনাপোল ও আখাউড়া স্থলবন্দর দিয়ে। শেষ সময়ে দুই বন্দর বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর ইলিশ রপ্তানির সুযোগ নেই বলেই জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
২০১৯ সালে এক দশক পর ইলিশ রপ্তানি শুরু হয়। ওই বছর রপ্তানি হয়েছিল ৪ লাখ ৭৬ হাজার কেজি, আয় হয়েছিল ৩৯ লাখ ডলার। সবচেয়ে বেশি রপ্তানি হয় ২০২০-২১ অর্থবছরে—সেই সময় ১৭ লাখ কেজি ইলিশ রপ্তানির মাধ্যমে আয় হয় ১ কোটি ৩৪ লাখ ডলার (১৩৯ কোটি টাকা)। তুলনায় এ বছর রপ্তানির অনুমোদন থাকলেও বাস্তবে সবচেয়ে কম ইলিশ রপ্তানি হচ্ছে।
এ বছর ন্যূনতম রপ্তানিমূল্য নির্ধারণ করেছে সরকার—সাড়ে ১২ ডলার প্রতি কেজি (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১,৫৩২ টাকা)। এর কম দামে রপ্তানি করা যাবে না, তবে বেশি দামে রপ্তানির সুযোগ আছে। তথ্য বলছে, ২০১৯-২০ অর্থবছর থেকে এখন পর্যন্ত সাধারণত বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ন্যূনতম মূল্যে রপ্তানি হয়ে আসছে। তার চেয়ে বেশি দামে রপ্তানির নজির খুবই কম।
ভারতের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্যমতে, দেশটি বাংলাদেশ ও মিয়ানমার থেকে ইলিশ আমদানি করে। ২০২৪-২৫ অর্থবছরে ভারত মিয়ানমার থেকে আমদানি করেছে ৬.৫ লাখ কেজি ইলিশ, গড় দাম ৬.২৩ ডলার প্রতি কেজি। একই সময়ে বাংলাদেশ থেকে আমদানি করেছে ৫.৪২ লাখ কেজি ইলিশ, তবে গড় দাম পড়েছে ১০.৯৩ ডলার প্রতি কেজি।
রপ্তানিকারকদের দাবি, স্থানীয় বাজারের দামের ওঠানামার কারণে সব সময় অনুমোদিত কোটা পূরণ সম্ভব হয় না। বাজার পরিস্থিতি অনুকূল থাকলেই তারা রপ্তানির দিকে ঝোঁকেন।