গালি, অশ্লীল ও তুচ্ছতাচ্ছিল্যমূলক শব্দ ব্যবহার ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। মুসলমানদের শোভন চরিত্রের সঙ্গে গালিগালাজ কোনোভাবেই মানানসই নয়। এমনকি শয়তানকেও গালি দেওয়া যাবে না, বরং তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করতে হবে।
আল্লাহ ও রাসুলকে গালি দেওয়া কুফরি
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘নিশ্চয়ই যারা আল্লাহ ও তাঁর রাসুলকে কষ্ট দেয়, আল্লাহ তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে অভিশাপ করেন এবং তিনি তাদের জন্য অপমানজনক শাস্তি প্রস্তুত রেখেছেন।’ (সুরা আহজাব, আয়াত ৫৭)
ঈমানদারকে গালি দেওয়া ফাসেকি
রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘মুসলিমকে গালি দেওয়া ফাসেকি এবং তার সঙ্গে লড়াই করা কুফরি।’ (বুখারি, হাদিস ৬০৪৪)
সময়কে গালি দেওয়া যাবে না
নবী (সা.) বলেন, ‘মানুষ সময়কে গালি দিয়ে আমাকে কষ্ট দেয়। অথচ আমিই সময়।’ (বুখারি, হাদিস ৭৪৯১)
অন্য ধর্মের উপাস্যকে গালি দেওয়া নিষিদ্ধ
কোরআনে বলা হয়েছে, ‘আল্লাহকে ছেড়ে তারা যাদের আরাধনা করে, তোমরা তাদেরকে মন্দ বলো না।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১০৮)
মা-বাবাকে তুলে গালি দেওয়া বড় গুনাহ
রাসুল (সা.) বলেছেন, ‘কবিরা গুনাহগুলোর একটি হলো নিজের বাবা-মাকে অভিশাপ করা।’ (বুখারি, হাদিস ৫৯৭৩)
পশু-পাখি, মৃত ও রোগ-ব্যাধিকে গালি দেওয়া যাবে না
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমরা মোরগকে গালি দিয়ো না।’ (আবু দাউদ, হাদিস ৫১০৩)
আরেক হাদিসে তিনি বলেছেন, ‘তোমরা মৃতদের গালি দিয়ো না।’ (বুখারি, হাদিস ১৩৯৩)
এছাড়া জ্বর সম্পর্কে নবী (সা.) বলেন, ‘জ্বরকে গালি দিয়ো না। এটি পাপ মোচন করে।’ (মুসলিম, হাদিস ৬৭৩৫)
বাতাস ও শয়তানকেও গালি দেওয়া যাবে না
নবী (সা.) বলেন, ‘বাতাসকে গালি দিয়ো না, বরং কল্যাণ কামনা করো।’ (আবু দাউদ, হাদিস ৫০৯৭)
আরেক হাদিসে বলেন, ‘শয়তানকে গালি দিয়ো না, বরং তার অনিষ্ট থেকে আল্লাহর আশ্রয় প্রার্থনা করো।’ (সহিহুল জামি, হাদিস ৭৩১৮)